নতুন গল্প বলার মানুষটি নেই,
ক্ষণিক আগে অদৃশ্যতা জব্দ করেছে,
বোবা দেহে ক্ষণিক অবলোকনে,
আমিও মরার অপেক্ষায়। এই বরষায়,
কত যে গল্প বলেছি
বেঁচে থাকার, ভালোবাসার।
সে মনোমুগ্ধ শ্রবণকারী-
ঘন্টা দু’য়েক শুনে যেত কত বকবকানি! হঠাৎ,
কোনো এক অজুহাতে হাত ধরে-
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতাম,
এক সাথে মরবো!
না, পারলাম কই?
ডাহা মিথ্যে বলেছি, সে একাইতো মরলো!
আমি না বড়ই মিথ্যাবাদী! এখন,
হাত

শখের মাথায় রূপালি কবিতার বসবাস
কষ্ট নোনা কবির ভাবনায় সোনালি সুখ;
অথচ দুচোখ জুড়ে মৃতু শোকের মাতম
তারপরও কবিতার শুধু রঙিন রঙধনু চায
এভাবেই জীবনের ঘাত প্রতিঘাত জলবায়ু পরিবর্তন আনে প্রেমের যত সব খেলা সর
তবু কবির বুকে একটা নদীর

বিতৃষ্ণায় মন ভরে উঠে, মুখে না দেখলে তোমার হাসি
এমন জটিল মনের মানুষ কেমনে বলো ভালোবাসি;
তোমার চাহনীতে রক্ত ঝরে,
মন থাকে না আর মন ঘরে! কেমন যেন তুমি
সারাক্ষণই গুয়ার্তুমি;
ভাল্লাগে না কথা বলি, তবুও বলি, কও না কথা,
তোমার সাথে বাক্য ব্যয় অযথা। তবুও ভাবি ইশ

বিশ্রাম চাই গো আমি,
হে আমার অন্তর্যামী!
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত এই ভগ্নসার কায়া,
অস্থির মননে খুঁজি চতুর্দিকে সুশীতল ছায়া।
দেবে কি পুষ্পিত বাগ,
বক্র চক্ষু নেই যেথা হিংসা দ্বেষ
দুর্জনের অনুরাগ? ’অন্ধের অস্ফুট আশা ক্ষুধিতের শ্বাস,
অবলার হৃদে তুমি সুদৃঢ় বিশ্বাস’
কেন জমবে তবে ব্যস্ত নাবিকের হার,
অকূল পাথারে যেবা ক্ষণে

১
স্মৃতিময় শৈশব
সকাল-বিকাল হৈচৈ কলরব
লাফালাফি দুষ্টুমিও করে সব
চাওয়ারও কমতি নেই যত্তসব। হাত-খড়ি সবে শুরু
অ আ ই ঈ শেখায় শিক্ষাগুরু
পাঠশালায় গমন মন করে দুরুদুরু
এভাবেই প্রাইমারি শেষে হাইস্কুল শুরু। ২
দুরন্ত কিশোর
যখনই হয় রাত ভোর
দে দৌড় হৈ-হুল্লোড়
ছুটে চলে দূর

(শুরু করছি ভারত – বাংলাদেশ – পাকিস্তানের ময়নাতদন্তমূলক নিবন্ধ “এদেশ ওদেশ”। লেখাটি আগে এক‌টি কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১৫ সালে লেখা এই নিবন্ধ এখনো প্রাসঙ্গিক। বুঝতেই পারছেন লেখাটি সামান্য বড়, তাই কয়েক পর্বে এখানে দেব।) ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১

ড্যান্ডি লায়নের পাপড়ি হাওয়ায় মিলিয়ে যায়
কদমের রেণু ঘাসের ওপর ঝরে ঝরে পড়ে
রোদেলা আকাশে মেঘদের নৌকো ভেসে চলে
পাহাড়ের মাথায় সবুজের আঁকিবুঁকি
তেরছা আলো ঝুঁকে আছে দোরের আনাগোনায়
দূরে একটি ফড়িং পাতার চৌখুপিতে উঁকিঝুঁকি মারে
বনশালিক কিছু মাথা নাড়িয়ে বচসায় রত
ছবির মত বাড়িগুলি নদীর ওপারে

০১
সখিনা তাড়াতাড়ি হাত চালায়। এখনও অনেক কাজ বাকি। পাশের বাড়ির মজা পুকুরে একবার যেতেই হবে। ওখানে কলমি শাক পাওয়া যায়। কারো চাষ করা নয় । একদম নিরেট প্রাকৃতিক। ভেজালের যুগে এই ঢের! কলমি শাক কদম আলীর খুব পছন্দ। যেদিন কলমি

আমাদের সামনেই হারিয়ে গেল মহান সন্ধ্যা। স্মৃতিচূড়ায় ধারণকৃত গুল্মরোদ
বলে গেল, আবার দেখা হবে বন্ধু ! আবার কাছে এসে ছায়া দেবে প্রাণের
ভৈরব। সবকথা বলা হবে অথবা নাও হতে পারে। যা জরুরী নয়, এমন
শঙ্খস্বর্ণ ছুঁয়ে গ্রহগামী মানুষেরা জেনে যাবে বিনোদনের দ্বাদশ জলকলা।
নেভানোর আনন্দ নিয়ে বয়ে গেল