রাতের বেলা করছে খেলা
আকাশ তলে তারা,
দিনটা হলে যায় যে চলে
না মেলে আর সাড়া।
জোনাক দলে সন্ধ্যা হলে
আলো জ্বেলে জ্বেলে,
কেনো তারা পাগলপারা
ঘোরে ডানা মেলে ?
সুরুজ মামা তার নেই থামা
সাতসকালে জাগে,
তাও প্রতিদিন কী বিরামহীন
ভারি অবাক লাগে
নার্সের গাছচোখ-অনিদ্রিত পাখির কোলাজ যেন
প্রকাশ পাচ্ছে। বিলাপ হৃদয়ে-এত সুন্দর রচিত মুখ;
হৃদয়ের শিখায় শক্তিহীন জিনিস, একদম খাঁটি-
তরতাজা আপেলের মতো; সুগোল, ভাবলেশবুঝ-
চতুর স্রোতে একবার তাকালে এমন কনটেন্টের
নমুনা কেবল প্রগতি বাড়ায়-মরবার আগে
এক নিস্তরঙ্গ সীমাহীন দিনে প্রেম থাকা সঙ্গগুলো
জীবন একটা ব্যক্তিগত উপন্যাস, হাসপাতালের-
৫ নম্বর কেবিন, নির্ভরযোগ্য নির্জনতায় কাঁপিয়ে
ওঠানো
হতাশাদের যায় না করা বিদায়, ছুঁয়ে থাকে মন,
কোলাহল আর ভাল্লাগে না, আমি খুঁজি নির্জন;
কেন জানি না কিছু নিরাশা এসে বুকে বাঁধে বাসা;
আর সেইসময়গুলো থাকে বিষাদে ঠাসা।
আমার ভালো লাগে না, বসে না মন কাজে,
এবেলা আমার যাচ্ছে তাই সময়, কাটছে বাজে,
কিছু দীর্ঘশ্বাস
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৫ বার দেখা
| ১৬৩ শব্দ ১টি ছবি
দু’ একটি বর্ণচোরা অপাংক্তেয় শব্দ
আজ হঠাৎ কমরেড হয়ে উঠতে চাইছে
ওরা এমনই ভয়ংকর যে,
কোনোপ্রকার বুলেট-বোমার ধার ধারে না!
কালবৈশাখী ঝড়ের মতো সত্যকে সত্য বলে
টাইফুনের মতো মিথ্যাকে মিথ্যা বলে!!
অথচ সত্যবাদীকে কেউ কেউ বলে থাকেন
সম্ভবতঃ তাকে পাগলা কুত্তা কামড়াইছে,
তা না হলে এইভাবে কেউ নির্লজ্জের মতো
সত্য বলে!!
অতঃপর
পর্দার
দেখতে দেখতে ১০ বছর হয়ে গেল মীরা আপার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর মাঝে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। আমি কিশোরী থেকে যুবতী হয়েছি। বড় চাচার গোলাপ গাছটি ঝরে গেছে। পাড়ার জাকির মাস্তান আমাকে প্রেমপত্র দিয়েছে। মোড়ের দোকানদার বাচ্চু মারা
গল্প|
৭ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮১ বার দেখা
| ৫৮৯ শব্দ ১টি ছবি
গরু কিংবা ছাগলের বাচ্চাদের
কিছু দিন পর গলায় দড়ি লাগাই
জানেন, কি কারণে দড়ি লাগায়;
দড়ি না লাগলে চার পায়ের বাচ্চারা
খেত খামারে র ফসল বিনষ্ট করবে;
এমন কি শিং দিয়ে ডিসাডিসি করবে।
সবকিছুরি নিয়ম কানুন ধর্ম কর্ম আছে;
কিশোর কিংবা যৌবন ব্যাপ স্বাধীনতার
কণ্ঠে জয় গান ধরি!
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২১ বার দেখা
| ৬৫ শব্দ ১টি ছবি
সাত
সকাল থেকে এই নিয়ে চার নম্বর ভিখারি। পেট ডুগ্রে গলা সরু একটা ন্যাংটো বাচ্চা কোলে তার মা এসে দাঁড়িয়েছে। বাচ্চাটার দু’নাক দিয়ে মোটা হলদে সিক্নি। মাঝেমাঝে নাক টানলে বেরিয়ে পড়ছে সিক্নির নীচে দুটো লম্বা লাল ঘায়ের দাগ।
প্রতিবার রান্নার চাল নেওয়ার পর হাঁড়ি থেকে
কিছুকাল পর জানা যাবে
আমার কবিতারা আমাকেই গালি দেয়,
কি অথর্ব লোক তাদের লিখে গেছে
আবোল-তাবোল বিদঘুটে সব অর্থ!
কেন মরে যাওয়ার আগে তাদের পুড়িয়ে যাই নি
তার জন্য গালি দিবে নিশ্চিত।
গালি দিবে নামের শেষে লম্বা ডিগ্রী না লিখতে পারার জন্য।
গালি দিবে শুধু বিফল হয়ে
অনিশ্চিত
নির্বাকের উত্তরীয় পরেই যজ্ঞিডুমুরের তলায় ঘুমিয়ে থাকি একরাশ বাক্যস্থিত স্বপ্নে
যখন ঘুম ভাঙে তখন পূবের চাঁদ পশ্চিম দিগন্তে ছুঁয়ে আসে
কখনো মধ্যরাতে বিষ্ময় জাগে, ঘুম ও স্বপ্ন মারামারি করে
কখনো তিলক স্পর্শ করে করোটির ব্যথা
আগের শীতের মতো রুক্ষদলীয়!
একযোগে একরকম চলতে চলতে ওরা ক্লান্ত শরীরে
ওরাও
মৃত্যু এমন একটা শব্দ এই শব্দ শুনে যারা ভয় পায় তারা আসলেই মৃত এমনকি তারা নিজের জীবন নিয়ে নিজেকে বিভক্ত রাখে। যখন আমরা জন্মগ্রহণ করেছি ঠিক তখনই আমাদের মৃত্যুর কারণ ও সময়ও লেখা হয়ে গেছে । শুধুমাত্র আমাদের না জানার মধ্যে আছে আমরা কোথায়
একজন বলল আপনার প্রিয় জায়গার নাম বলুন।
আমি বললাম ‘টিকর বাড়ির টিলা’
-বলেন কী কবরস্থান কী কারো প্রিয় হতে পারে?
-আমার পারে, কারণ এই কবরস্থানে আমার শৈশব প্রোথিত আছে, লাশের সারি দেখে দেখে আমি বড় হয়েছি, শুভ্র কাফনের চেয়ে পবিত্র বস্ত্র আর কিছু হতে পারে না,
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৮ বার দেখা
| ১২৯ শব্দ