না, সেদিন সন্ধ্যায় জাকির মাস্তান আমাকে তুলি নিতে আসেনি। বরং সেদিন তার উপকারের কথা ভুলবার মত নয়। বাবা মদ খেয়ে বাড়ী ফিরছিলেন। বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে ডান হাত ভঙ্গে নেন। জাকির মাস্তান তাকে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে

পর্ব -৬
সকালে একপ্রস্থ মামার সাথে ঘুরে এসেছে মিলু। প্রথম হেমন্তের সকাল। কাঁচাসোনা রোদের নরম পরশ নিতে নিতে ওরা পৌঁছে গিয়েছিল কীর্তনখোলার তীরে। উছলে পড়া নদীর ওপারের মাঠভরা সোনার বরণ পাকা ধান। মিলু মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে

সময়ের বোঝাপড়া যখন অসময়ে তখন তা নিরানন্দের সাথে অমসৃণ স্মৃতি শেষ পর্যন্ত যা দুঃখ ও চোখের জল ছাড়া কিছু নয়, দিতে পারেনা। তুমি যাদেরকে ভালো জানো, ভালো মানো, বিশ্বস্ত অনুচর অথবা সহচর মনে কর তোমার সেই সকল ম্যাক্সিমাম

চাঁদ দেখেছো সদা
অবয়ব দুর্গামি চোখে
জোছনা দেখেছো, তুমি শিশিরের রংতুলি হাতে
ছুঁয়ে দেখা স্বাদ ছিলো তাঁর কবেই হয়েছে কাতর।
অকাতরে জানালার ফাঁকে
হয়ে চলে স্পর্শকাতর। এভাবেই বন্দি শরীর
চোখের টানে ছুটে যায় লাখো মাইল চোখ
স্তব্ধ হওয়া বুক করে ধুক ধুক
প্রতিফলন ঘটিয়েছে ছুটে
মেঘের আজ পরাজিত হয়
পৃথিবীর শূন্যতায়

পাঁচ
জ্বর, তুমি কোথা হইতে আসিয়াছ? খগবতীর মৃত্তিকা হইতে। মাটি থেকে মানুষের পায়ের আঙুল বেয়ে আস্তে আস্তে উরু, কোমরে উঠে যাই। ওদিকে হাতের তালু থেকে নাক-গলা হয়ে মাথায়। তারপর দুই ঢেউ এক সঙ্গে ভেঙে পড়ি বক্ষতটে।
এই তরঙ্গ উইপোকার, তার আস্তরণে ঢেকে গেছে সমস্ত শরীর।

একটা খুব শান্তিনিকেতনী গিফ্ট্ নিয়ে
এদান্তি বড়োই বেতালায় বেজেই চলেছি, – ক’দিন।
তালেবর স্মৃতিচারী বড়ো জব্দে নাজেহাল মন ও মনন।
ভুল তাই হয়ে যেতে পারে বেমালুম যখন ও
তখন। এখন কোথায় যে পোক্ত বেড়া টেনে তুলে দিয়ে
সজীব জমিন্ কে ইচ্ছালীন – স্ববশে রেখে দিতে হয়,
জায়গা বিশেষে তার চুলচেরা

মাঝে মাঝে জানান দিই আমার অস্তিত্ব। বলি, বেঁচে আছি
ভালো আছি কী না- জানি না, তবে আছি- এখনও আছি। থাকা খুব জরুরি নয়,
ঘুম এবং ঘূর্ণির ভেতর
গদ্য এবং গন্দমের ভেতর
গহীন এবং ঘনত্বের ভেতর তবু চিরদিন থাকবো না বলেই, বলি-
আছি, আমিও আছি। অনেক কথা না জানালেও পারি, অনেক
দুঃখের উষ্ণতা,

বীজ পুঁতে অপেক্ষা করবার মতো
আর্তনাদ শিস দিয়ে ওঠে,
ঘাই খাওয়া শরীরে কখন একটা
সবুজবন এসে বসবে, পাখি এসে বসবে
এই দুইয়ের মুখোমুখি এক হতে পারলে
অগ্রহায়ণের চূড়ান্ত ফলাফল অবশ্যই
পাওয়া যেতো, রোদ না মেঘ
কীভাবে ডাকনাম প্রকাশ করাতে হয় ট্রেন পথের ওধারে হাট-বাজার,
স্তিমিত ত্বরণে এক বয়েসী নিমাই’কা,
পৃথিবীর সবুজ তরমুজ ক্ষেত ধরে
বাঁশি

ভোরের বেলা যখন বাসি
বেলি আর জুঁইয়ের গন্ধ
তখনো ছড়ানো আমাদের
ওই ঝুলবারান্দায়,
আহা কি মধুর সে গন্ধ
ভেসে আসে অদূরে
পাশের বাড়ির আমবাগানে
যেথায় মুকুল ধরে আছে,
ডালে ডালে, বাতাস
দুলিয়ে দেয় আম্রমঞ্জরী
পাশেই সুপারি গাছে
লেগে থাকা শিশির
ঝিকমিক করতে থাকে।
মাটিতে কাঁপা কাঁপা
দোদুল্যমান পত্রছায়া।

কখন যে এসেছিলো একাদশী চাঁদের ঢেউ আধ-ডোবা
জল জোছনা, কোনদিন কেউ খোঁজও নিল না!
তখন সে পৈথানে রেখে গিয়েছিল প্রশান্তের ভাঙাবুক,
অথচ একদিন দু’আঙ্গুলে
আলগোছে তুলে ধরেছিল এই গাঙ্গেয় চিবুক! এখন সে তাল খুঁজে বেড়ায় বেতালের কবরে,
রাজপথ ধরা খায় কাগজের ভাঁজে ভাঁজে,
গোকুলের খবরে; বেদনার পাথার

ইচ্ছে করে ছবি তুলি আকাশের, সব মেঘ করি বন্দি
একই জায়গায় রোজ ছবি তুলি, আরও তোলার করি ফন্দি,
মেঘগুলো রঙবাহারী, ইচ্ছেগুলো তাই যায় না মরে,
মেঘের আকাশ দেখলেই শান্তি ফিরে মন ঘরে। ইচ্ছে করে মেঘেদের বন্দি করি চোখের আয়নায়
মেঘেরাও দুষ্ট ভারি হ্যাঁ মিলায় না