নজরুলের বঙ্গমাতা রবি’র সোনার বাংলা,
এসব এখন কথার কথা বলার জন্য বলা।
গোয়াল ভরা গরু আর গোলা ভরা ধান,
পুকুর ভরা মাছের কথা ভারী করে কান।
নববর্ষে পান্তা মেলে ইলিশ মেলা ভার,
বিদেশীদের নজর এখন চোখে দেখাই সার।
নবান্নের পিঠা-পুলি ক্ষয়ে গেছে কালে,
এসব এখন আটক আছে পিৎজা স্যুপের জালে।
ষড়ঋতুর
পর্ব – ৯
রাতে সত্যানন্দ নিজের পড়ার টেবিলে লেখালেখি করছেন। অশোক ঘুমোচ্ছে। পরিবারের সকলের রাতের খাওয়া হয়ে গেলেও মায়ের রান্নাঘরের কাজ শেষ হয়নি।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মিলু গতরাতে মায়ের বলা বেহুলার গল্পটার কথা মনে করছে। চাঁদসওদাগরের মধুকর কালীদহে ডুবে যাওয়ার কথা
নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মান সূচক পুরস্কার হলো নোবেল। আর আমরা যারা লেখালেখির সাথে সংশ্লিষ্ট তারা সবাই সাহিত্যে নোবেলজয়ী কে হন সেই দিকে সবিশেষ নজর রেখে থাকি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সুইডেনের স্টকহোমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
শৈশবে মনু নদীর সাথে কথা বলতাম
অবিশ্বাস্য মনে হলেও
মনু আমার কথা বুঝতে পারত।
একবার চকলেট চুইয়ে মুখ
ভিজে গেছে, ধুতে হবে
মনুর পাড়ে পৌঁছে দেখলাম জল
অনেক দূরে বললাম
‘আমি তোকে ছুঁতে এলাম;
তুই দূরে চলে গেলি’।
মনু বলল ‘দাঁড়া এক মিনিট’
মিনিট খানেকের মধ্যে জল চলে
এলো
আজও পৃথিবীতে গোধূলি এসে নামে,
পল্লবের ফাঁকে শিস দিয়ে পাখিরা দেশে গ্রামে
দুলিয়ে যায় বাতাসের শরীর,
সুখের মতো কচি ঘাসে শিশির ঝরে পড়ে শবরীর
মতো, তাতে ফুটে থাকে সূর্যের অফুরন্ত দেয়ালা।
কার্তিকেয় বাতাস এখন প্রথম প্রেমের মতো মেদুর, আর
সবুজ প্রান্তরের উপর গড়িয়ে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৮ বার দেখা
| ১২৮ শব্দ ১টি ছবি
পর্ব -৮
– মিলু দাদা, ও মিলু দাদা!
কারো একটা ডাকার শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ব্রহ্মানন্দ।
– ও মামুদালি এসেছো? – তা চল বাগানের দিকে।
– শুধু আপনে গেইলে তো হইবে না কত্তাবাবু। আমার যে মিলু দাদারে লাইগবে। – মামুদ আলি বলে।
মামুদ
তোমার আমার স্মৃতিগুলো জল সিঁদুরে ঢাকা
চমকিতো ওই দৃশ্যগুলো আড়ালে তোলা থাক
দূরগামী সেই অতীত দিনের গল্পগুলো বাঁধা
মন মন্দিরের সব দেওয়ালে তোমার ছবি আঁকা।
কষ্ট না হয় আমার কাছেই ইচ্ছে মতন থাক
তোমার মাঝে নাই বা হলো থাকা
মুছে ফেলো খেলনা ভেবে পথের পরিচয়
গোল পৃথিবী
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৬৬ বার দেখা
| ৪৬ শব্দ ১টি ছবি
বয়সের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে দেখি
রুচি কমছে সব স্বাদের একি!
দুধ চা ছাড়া চলতোই না একদা,
সেই দুধ চাতেই স্বাদের পড়লো বাঁধা।
ঝাল খেলে দুনিয়া অন্ধকারে যায় ছেয়ে
পেটের উপর এক টন বিষ যায় বেদনার গান গেয়ে
চায়ে চিনি চার চামচ খেতাম আগে
এখন চিনি এক
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৩ বার দেখা
| ১৬২ শব্দ ১টি ছবি
সময় মাঝে মাঝে আমাদের সাথে আজব আচরণ করে। কখনো কোনো রাস্তার বাঁকে চলতে চলতে দেখা হয়ে যায় এমন কারো, যার সাথে একসময় একটা রোমান্সের সম্পর্ক হয়েছিল কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে এই হঠাৎ দেখা থেকে শুরু হয় ফের যোগাযোগ।
প্রতিদিন একজন মেঘভিক্ষুকের সাথে আমার
দেখা হয়। প্রতিরাতে আমাদের ডেরায় উঠে আসে
চাঁদগল্পের ছায়া। আমি চাষাবাদ জানি। তাই –
সাজিয়ে রাখি স্তরে স্তরে বিনীত কাশমৌসুম।
মেঘের সাথে মানুষের সম্পর্ক নতুন নয়। বরং
মুহুর্তের মহিমায় ডুবে থাকে যে জীবন;
সে’ ই লিখতে পারে অনন্ত উৎসের উপাখ্যান।
মেঘ তখন সেই জীবনকে