ধর্ম মানো না, কর্ম মানো না, স্রষ্টাকে করো না বিশ্বাস
অসুখ-বিসুখ হলে ক্যানো তাঁকে ডেকে ডেকে ফ্যালো দীর্ঘশ্বাস?
আজকে তুমি বিশ্ব সুন্দরী কিংবা সেলিব্রেটি নায়ক শাহরুখ খান
কালকে কি হবে তা ভাবছো কি তুমি, মনোযোগসহ একটিবার?
দাদা গেলো, দাদী গেলো; গেলো মাতা-পিতা, ভগ্নি-ভ্রাতা
তোমার আমার উচাটন দেহখান কুচকে হলো
এমনই কোন এক পূর্ণিমার মধ্যরাতে
যাব আমি একদিন,
সমুদ্রের কল্লোলের মাঝে ঘুমন্ত
রাবণের দেশে।
দশরথের ভীরু পুত্রের
অলীক গল্পের মত করে নয়,
নয় বিভীষণকে বন্ধু করে
কাপুরুষের মত।
যাব আমি ঝড় হয়ে
মেঘনাদের মতন,
সর্পিল ঢেউ গুলো চূর্ণ করে
নারকেলের দেশে-
ছিনিয়ে আনতে তোমায়,
অনুসৃতা।
অবহেলিত প্রাণী কুকুর
ভাবলাম! কী রাখি ওর নাম?
সাদার মাঝে কালো রঙ,
ধলু রেখেছি তার নাম!
মোটাসোটা শরীর তার
মনেহয় দেখতে একটা বাঘ,
বাঘের চেয়ে বল তার
ওর চেহারাতেও ভীষণ রাগ।
চুপচাপ বসে থাকে
আবার কখনোবা ঘুমিয়ে থাকে,
চোখ মিলিয়ে যাকে দেখে
ওমনি লাফিয়ে ধরে তাকে।
কখনও কামড়াবে না,
ধরা পর্যন্তই
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২২৫ বার দেখা
| ১০২ শব্দ ১টি ছবি
এক
এক দাঁড়ে পাশাপাশি আমি-প্রাণপাখি
আমার উন্মাদ হতে অল্প কিছু বাকি
বাইরে বসন্তশিলা, সরানো যাবে না
আলো তার ধর্ষক, অত্যাচারী সেনা
ডায়েরি নেয় না তবু থানা, মনোবিদ
আমার উন্মাদদশা কত দূরে, নবী?
দেখি আজ রাতে তুমি কোন স্বপ্ন দাও
নিজে আসো, না ভাড়ার মেয়েকে পাঠাও
নৈবেদ্য, তাঁতের শাড়ি, কাঁসায় পালিশ
ঝুরো ফুল, জলশঙ্খ, যেন
আড়াই দিনের বৈরাগ্য শেষে
যখন ফিরে এলাম
গ্রাম ভেঙ্গে পড়ল আমার উঠোনে।
অবজ্ঞা, টিটকারি, বিদ্রূপ
মনে হল পুনরায় ফুড়ুৎ করে উড়ি।
উঠানের ওপর পারে উদ্বিগ্ন মুখ
সব সহ্য করতে প্ররোচনা দিল।
আরও আড়াই দিন পরে
উদ্বিগ্ন মুখে হাসি ফুটল,
বৈরাগ্য উধাও। সংসার ধর্মের প্রতি
অনীহা ছিল, এই আমি ঘোর সংসারী।
উঠানের ওপর পারের
আকাশ সাক্ষী, বাতাস সাক্ষী
সাক্ষী এই গ্রাম বাংলার মেঠোপথ,
পাকদের সাথে নিয়ে রাজাকারেরা গ্রামের সব সম্পদ লুন্ঠন করেছে যে রথ রথ।
বাধা দিয়েছে মা বাবা, দিয়েছে বাধা তার সন্তান,
তাদের মেরে পাক আর রাজাকারেরা গ্রামকে করেছে গোরস্থান।
এত অত্যাচারে ফুল ফুটে না,
পাখি তার মনের আকিঞ্চনে গায় না,
নদী ও তার
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৯ বার দেখা
| ১৪৩ শব্দ
মাতৃস্নেহের কি তুলনা আছে?
সেই স্নেহকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য
নিন্দুক ঘোরে মায়ের পাছে পাছে।
ওরে নিন্দুক একটু এগিয়ে এসে শোন
যদি মাতৃস্নেহ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারস
স্বপ্নভরা পৃথিবী দেব আরো দেব রাজকুমারী বোন।
এই পৃথিবীর
কোথাও কেউ নেই
তবু্ও
কেউ কেউ থাকে
অনুভবে, অস্তিত্বে,
কেউ কেউ থাকে আশা জাগানিয়া।
নিভু নিভু প্রদীপ
পূনর্বার জ্বলে উঠতে
আচমকা আবির্ভূত হয়
অমূল্য জ্বালানি হয়েও কেউ কেউ।
কেউ কেউ পাশে থাকে
সাহস হয়ে,
অদম্য শক্তি যোগায়
ঘুরে দাঁড়াবার প্রত্যয়ে।
নিঃস্বার্থ ঢাল হয়েও
পাশে থেকে, সাথে রেখে
বাঁচিয়ে রাখে শ্বাস কেউ কেউ।
তবুও যেন কোথাও কেউ নেই।
গরিবের সন্তান বড় হয় এতিম খানায়
বড় লোকের মা-বাপ মরে আশ্রয় কেন্দ্রে।
মাওলা এ কেমন জগত বানাইলা বুঝি না
বুঝি না মাওলা তোমার এ কেমন খেলা।
ব্যথা পাবো বলে বাপে কোন দিন চিমটি কাটে নাই
সে
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮২ বার দেখা
| ১৩৩ শব্দ ২টি ছবি
কখনো দেখেছ রাতের তারাদের বদলে যাওয়া? কখনো বদলে যেতে দেখেছো আকাশের চাঁদ কে? কিংবা চলতে ফিরতে কখনো খেয়াল করেছো চারপাশের দৃশ্যপটগুলো কিভাবে বদলে যায়? সন্ধ্যায় আগে পাশের বাড়ির আমগাছে রোজ কত পাখি এসে বসতো। কত পাখি বাসা বানাতো, সংসার পাততো,
জীবন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪১৮ বার দেখা
| ২৩৮ শব্দ ১টি ছবি