প্রিয় হৃদি, চলো আজ কিছু বিজ্ঞান শিখি।
রাতের জঠরে ধীরে ধীরে কিভাবে জন্মায় প্রতিটি ভোর
যদি জানতে চাও আকাশে তাকাও, তাকিয়েই থাকো
শেষ তারাটি মুছে যাওয়ার ক্ষণ পর্যন্ত।
প্রাচীন নাবিকের মত তুমিও দেখবে
ধলপহর গিলে আদম-সুরত, কম্পাসের কাটায় ভোর।
ভোরের খোলস থেকে বেরোয় দুপুর
প্রতিদিন কিছু না কিছু হারিয়ে যায়
গত বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর উপহার
হাতঘড়ি, সময়ের বেখেয়ালে
কোথায় যে হারিয়ে গেল।
ঘড়ির জন্য কাতর ছিলাম
তবু স্ত্রীর তীর্যক তীর থেকে
রক্ষা পেলাম না। অবহেলা।
তার, তার উপহারের প্রতি
ব্যাপক অবহেলা।
জন্মদিনে মেয়ে ছাতা উপহার
দিয়েছিল, বাবার মাথায় বৃষ্টির
ফোটা দাপট দেখায়। তীব্র রোদে
চামড়া ফেটে যায়। বাবার
বিড়ম্বনায় মেয়ের
ফুলে ফুলে ভরে গেছে ঐ পথের ধারের
পলাশ আর কৃষ্ণচূড়া গাছটা,
সেই কবে থেকে কোকিল গাইছে প্রাণ খুলে
ঐ জানালার পাশের স্রোতস্বিনীর ধারে গাছটায়।
কথা ছিলে এই বসন্তে খোকা তুই আসবি
ওহে খোকা আজ বসন্ত প্রায় শেষ,
তুই কেন আসছিস না কেন?
এই মা
মা শব্দটি মধু মাখা
মায়া মমতায় জড়িয়ে থাকা,
হৃদয়ের গহিন থেকে আসা
একটি মমতা মাখা শব্দ – মা।
সাংবাদিক থেকে বড় সাংবাদিক
সে হলো -মা,
সন্তানের আপদ বিপদ হলো
মায়ের অন্তরে আগে লাগে ঘা।
মা হলো সন্তানের বড় বন্ধু
বেদনা আর সম বেদনা দিয়ে কি হবে আর, সময় তো আসবে না ফিরে
সাথে নিয়ে মৌ-মাছিদের প্রান; সময় তবে কি পেরেছে কবে;
সময় শুধু পোশাক তৈরীর ক্ষমতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে,
পরিপত্র দিয়ে এখন আর কিছু পরিবর্তন সম্ভব নয়।
জীবন এখন বাঁওড়ের মাঝে স্থীর, মানুষে চাতুর্যতা
এখন প্রতিজিহবায়
চতুর্থ মৃত্যুর আগে প্রাণকে সেরে নিতে হয় তৃতীয়
মহাযুদ্ধ। পাঁজরের স্তরে স্তরে সাজানো এই যে
অভিমান; তাও করে দিতে হয় অবিন্যস্ত।
আলোকানন্দ অথবা বৈশ্যবিষাদ’কে দিতে হয়
সম অধিকার। যারা ছায়াপাতের নামতা পড়তে
পারে, তাদেরকেই দীক্ষক মেনে বিশ্লেষণ করতে
হয় পথে পথে পড়ে থাকা বীজাণু।
অন্তর বাজিয়ে আকাশ বলতে হয়-
তুমি