এই নৃত্যগীত একদিন থেমে যাবে
বেসুরো সুরের দাপটে
ছিঁড়ে যাবে সেতারের তার।
একদিন খিলখিল হাসি
বেদনায় মোড় নেবে। একদিন
বুকের পাঁজরে জমানো ব্যথা
অন্যের ঘরনি হবে, একদিন
একান্ত মাঝির কাছে বলা
গুপ্তকথা বাজারে চাউর হবে। অবিশ্বাসী ঘুড়ির কারণে একদিন
বিশ্বাস উড়বে না। ছল করে
ফেলে যাওয়া জলে
আশ্বাস পা পিছলাবে।
দিগন্তের ঘাসে ওড়া ফড়িং
একদিন ভুলে যাবে

উৎস্বর্গঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে কাকে বলবো?
পরিবার! সমাজ! রাষ্ট্র!
চিন্তাধারা পরিবর্তনের কথা বলতে চাই
তবে কাকে বলি?
বলার মত তেমন কোনো মানুষ নাই। যে পিতা নিপীড়িত মানুষের মুক্তির মহানায়ক
সাড়ে সাতকোটি মানুষের আস্থা
যে পিতার একটি তর্জনীর হুংকারে
ধর্মের ভেদাভেদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে
যে পিতা নিরীহ জাতির জন্যে
জালিম শাসকের সাথে ছিলো আপোষহীন,
সে

কিচ্ছু ভুলিনি আমি, তুমিও কিছু ভুলো না
সুখের সব স্মৃতিগুলো করছে উন্মাদনা,
থেমে থেমে পথ চলা, ক্লান্তির গভীর ঘুম
পথে খুঁজে পাওয়া অজস্র সুগন্ধি কুসুম। অতীত সবসময় সুন্দর হয়, প্রাকৃতিক নিয়ম
যতই বুলি আওড়ায় কিছু থাক মনের ইডিয়ম,
অন্য পাখির বাসায় পাখিরা কী বাসা

তুমি যদি আমার কষ্টের ভাষা না বোঝো
তবে ভালোবাসার ভাষা বোঝায় দ্ব্যর্থহীনভাবে ব্যার্থ
তাহলে চলো আমরা আমাদের পরিষ্কার করি
তোমাকে পাবার জন্য তোমার সমীপে জীবনের সবটুকু অর্জন ধীরে ধীরে করেছি বিসর্জন
এখন অবশিষ্ট রয়েছে একটি শূন্য হ্রদ
এখানে আর নেই কোনো জল নেই কোন রং
চোখের সাগর থেকে ফুরিয়েছি

পথহারা পথিক যদি চায় সে
তার হারানো গন্তব্যের নিশানা,
সঠিক পথ দেখাবে তারে
যেন ছুঁতে পারে গন্তব্যের সীমানা। ভুল করেও দেখাবে না তুমি
পথিককে বিপদগামী ঐ পথ,
যে পথ থাকে বিপদমুক্ত সদা
দেখিয়ে দিও তাকে মুক্ত জনপথ। পথিক পাবে সঠিক পথের দিশা
তুমি

ও গো প্রেয়সী,
শুধু তোমায় ভালোবাসি বলে,
অপেক্ষায় কাটিয়ে দিচ্ছি অজস্র প্রহর।
কোনো ভাবে আমি ভুলতে পারি না,
তোমার স্মৃতি বিস্মৃতি গুলো,
কেন, তুমি কি জানো?
তোমার তো জানার প্রয়োজন নেই
শুধু আমার প্রয়োজন,
কারণ আমি তোমায় ভালোবাসি
ভালোবাসি বলে শুধুই তার জন্য। ওগো প্রেয়সী,

একটা গল্প বলার কথা ছিল কবের থেকে
আজকে সেটাই বলার ফুরসৎ —
মোগলমারী গ্রামের আমার বিপদবারণ মিতার
দুহাত ঠেলে কাল পেরোবার সার্কাসী কসরৎ। ছালছাড়ানো শতাব্দীটার অঙ্গজোড়া ব্যাধি
উবে গেছে বছর থেকে অঘ্রাণী ধান ঘ্রাণ
হাতেপায়ে বুক রগড়ে ধুলোর পাহাড় ছেনেও
পায়নি কোথাও আদিম জ্বালার নিকষ পরিত্রাণ — মিতার

যতবার এই পথে সে আনাগোনা করে
জলভরা মেঘ হয়ে জাপটে ধরে
পা দুটো অবশ হয়ে যায়
নিজে কাঁদে আমাকেও কাঁদিয়ে দিয়ে যায় চোখের পাতায় রেখেছে শ্রাবণ
অতিথি বাতাস হয়ে ফিরে ফিরে আসে
নির্বিবাদে ছড়িয়ে পড়ে বৃষ্টি সুবাস
তমিস্রা রাত্রে করতলে কিছু

আজকাল স্বপ্নেও পালাই। কোথায়? সেইসব নদী পাহাড় উপত্যকার কাছে, আমার স্বপ্নের সেই ছোট্ট গ্রামের কাছে। যেতে আর পারি কই? সেসব স্বপ্নও কোথায় চলে গেছে ভেসে। একটা বাড়ি। তারমধ্যে মধ্যে একটা ঘর। খানকতক আসবাব, কিছু দরকারি–অদরকারি জিনিস। কখনো মনে হয় একটা সোজা

এক টুকরো সুখ ঠোঁটে উড়ে যায় পাখী
শূণ্যতাকে সাথে নিয়ে জাগে তার আঁখি
নীল অাকাশ ললাট তাঁর, চাঁদ হয় টিপ
সরোবরে জমানো স্বপ্ন হয়েছে অলীক
অলীকতায় হৃদ পোড়ে ভীষণ সকালে
ঝরে পড়া অশ্রুর দাগ জমেছে কপোলে। আছে ডানা, আছে চোখ, সাথে বাসনা
উড়িতে পারেনা তবু, কারণ

সৃজিত অরণ্য মাঝে চিহ্ন দেওয়া মহানিম গাছ
সেই তার আশ্রয় ছিল, বহু বছরের ঝড়ে জলে
তার তেতোবুকে মধুরস চেটেপুটে বেঁচে থেকেছে,
তার নিমগন্ধী নিঃশ্বাসের কাছে বসে রাতচেরা আলো চিনেছে — তবু্ও সে কোন একদিন
পাতার ঝালর ঘেরা মোমরঙা শ্বেত পাথরের গড়া
বাঁধানো ঘাটের ছবি দেখে
একেবারে স্তব্ধ

ঘুম মানেইতো বিবর্ণ অসাড়তা
ঘুম মানেইতো মৃত্যুর নীরবতা,
ঘুম মানেইতো কাছে থেকেও বহুদূর
ঘুম মানেইতো শব্দহীন মহা সমুদ্দুর। ঘুম মানেইতো জেগে থাকা তুমি
ঘুম মানেই, অর্থহীন পাগলামী।

বল না, মা, বল আর কত দিন,
আমরা সহ্য করব পাকিস্তানীদের,
শাসন নামক পাশবিক পৈশাচিক নির্যাতন ।
বল না,মা বল –
আর কত দিন আমাদের বাক স্বাধীনতা হরিত থাকবে,
আমরা কি কোনো কাজে কোনোদিন মতামত দিতে পারি না।
বল মা, বল –
এভাবে কি জীবন চলতে