টিক টিক করে চলে ঘড়ি বড়ো সচল থাকে
সময় বলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় টুং টাং করে ডাকে;
ক’জন বোঝে তার মানেটা বোঝে জ্ঞানীলোকে
ঘড়ির মনে নেই গো মায়া কাঁদে না যে শোকে।
জীবনঘড়ি থামে যদিও কাঁটা কই তার থামে ?
ক্লান্তি নেই তার দিনে-রাতে শ্রমে নাহি ঘামে;
ঘড়ির কাছে শিখতে পারি
অবহেলার পাহাড়চূড়ায়
নীরব বসে একলাহুতুম
পান করে যায় ভ্রান্তিবিলাস,
বিকেল আজ কি মনমৌজি?
একটু হলেই এদিক ওদিক
বাজ পড়বে জ্ঞানের মাথায়
সুতো খুবই পাতলা এখন
পার হবে কি কালসন্ধ্যে?
স্বাধীনতা তুমি বড় অবাধ্য শব্দ,
তুমি তো পরাধীন জাতির কাছে,
সহজে আসতেই চাও না।
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা
প্যালেস্টাইনের মায়ের চোখে নেই নিদ্রা,
শুধু আর্তনাদ, আর আর্তনাদ ।
সেই মা শুধু জানেন স্বাধীনতা কি?
কত বোন সম্ভ্রম হারিয়ে আত্মা চিৎকার করছে,
ভাইয়া আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে,
গ্রীষ্মের প্রাণ জুড়োনো বিকেল কিংবা রোদমাখা দুপুরেও যদি থাকে ঝিরিঝিরি হাওয়া, হাতে চায়ের কাপ, ম্যাগাজিন—শখের বারান্দায় রাখা আরামকেদারায় পিঠ এলিয়ে তা উপভোগ করার যে মজা, তা বাড়ির আর অন্য কোনও অংশে নেই। শহুরে জীবনের কারাগারে এ যেন একটুখানি খোলা আকাশ।
জীবন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৩৫ বার দেখা
| ৪৫৮ শব্দ ৪টি ছবি
১
তোমায় ভালোবাসি প্রিয়া আগের জন্ম থেকে
মুখেও বাত পায়েও বাত অপেক্ষাতে রেখে
নত হব না তোমার পাশে যদিও পুত্র সমান
কাটব কচু খাওয়াব কচু রুস্তম মোর নাম।
২
নধর আমার শরীরখানি রাখি তাদের তরে
তোমার জন্য আনি প্রিয়া গবাদি পশু ধরে
তবুও যদি তাকাও তুমি অন্য
মুক্তি ছিল চাঁদমারি,
তেজ ছিল আঙুলের টিপে
যখন যেমন পেতো
পেতলের আঙরাখায়
সাবেক কালের চুলো
অথবা প্রদীপে
সলতে পেতে পুইয়েছে তাপ
বন্ধতায় মুক্তি পেতে আপন প্রতাপে।
তুমি চাইলে আমি বিহগের মতো গান গেয়ে যাব,
শুধু তোমায় শুনবো বলে।
তুমি চাইলে আমি স্রোতস্বিনী হব,
অবিরাম জল দেব তোমার জন্মভূমিকে।
তুমি চাইলে আমি নেতা হব, বিশ্বনেতা,
তোমার কথায় শাসন করব সারাবিশ্ব।
তুমি চাইলে আমি ঘাসফুল হব,
হওয়ায় দোল খাব তোমায় আনন্দ দেবার জন্য।
মানুষ ভাবে এক, হয় দুই, তিন, চার পাঁচ, ছয়, সাত
কেউ আর অপেক্ষা করে না আটকোরা প্রভাত
কেবল ভোলা পাগলা একাই
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চেঁচায় জয় দ্বিতীয় পৃথিবীর জয়!
একদা কনিষ্ঠা আঙ্গুলি থেকে জন্ম হয়েছে যে রাত
সে এখন দিব্যি তর্জনী, মধ্যমা থেকে শাহাদাৎ!
গাড়োয়ান জানে না, কোথায় তার সাধের