দৃপ্ত পায়ে পুলকিত মনে
সবুজ শ্যামল গ্রামের পথে বয়ে বয়ে,
যাচ্ছি আমি আমার শেকড়ের সন্ধানে,
গ্রাম থেকে গ্রামান্তর।
ঐ পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বুভুক্ষা কদম মালী,
শুধায় আমারে যাচ্ছো কোথায়,
বললাম শেকড়ের সন্ধানে ঐ দূরান্তে গ্রামে,
শুনেছিলাম ওয়াজেদ মিয়ার কাছে,
ওখানে নাকি আমার
একদিন আমি ঘাড়ে সংসারের বোঝা চাপিয়ে বলদের পিঠে করে রওনা দিলাম
দেখলাম এক রাখাল ছাগলের পিঠে চড়ে ঘাসের সন্ধানে মাঠে ঘুরতে বের হলো
এক ব্যবসায়ী গাধার পিঠে বসে নিজে তার পিঠে বিশাল এক লবণের বোঝা চাপালো
আরেকটু সামনে দেখলাম
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৮৪ বার দেখা
| ৩৪২ শব্দ ১টি ছবি
তুমি যদি কখনো আমার পাশে না থাকো তবে আমার ভোরগুলো নীরস হয়ে যাবে,
আমার আঙিনায় আর কোন ফুলই ফুটবেনা, আমার দুয়ারে আসবেনা বসন্ত।
তুমি যদি আমাকে আর নাম ধরে না ডাকো তবে পৃথিবীর সব সুর বদলে যাবে বিশ্রী শব্দ দূষণে,
পাখিদের গানগুলো
এই বসন্তেও আমার আরো একটি পালক খসে পড়েছে
শুক্লা দশমীর আদুরে চাঁদ যেমন তাঁর রাত কাটিয়ে
হেঁটে যায় শেষ মৃত্যু পূর্ণিমার দিকে ঠিক তেমনই
এই আলোর অানন্দ শেষে শুরু হবে নূতন যাত্রা
হীম অাঁধারে পথে অনুভূতিহীন শরীর ফেলে রেখে
হেঁটে হেঁটে চলে যাবো কোন কল্পিত
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৬ বার দেখা
| ১৫৫ শব্দ ১টি ছবি
নীরব নিশুতি রাতে যখন চলি একা,
দূর থেকে ভেসে আসে বকুলের গন্ধ।
সারি সারি গাছের ফাঁকে আঁকাবাঁকা পথ
ফুলের গন্ধে সুগন্ধি বাতাস বয় মন্দ।
দূরের আকাশে ওঠা একফালি চাঁদ
আলোয় ভরায় আমার অজানা এ পথ।
ভয় হয় যেন না হারাই এই আঁধারে
চলার সাথে সাথে গতি হয় শ্লথ।
দূরে শুনি
অনেক দিনের আশা ছিল তোমায় দেখিবার
মনের মুকুরে দীপ জ্বেলে ভালবাসিবার।।
আসা যাওয়ার পথের পাশে ক্লান্ত আঁখি মেলে
বসে আছি উদাস মনে সকল ভাবনা ফেলে।।
তোমার দেখা পাই না বলে মেঘের ছায়া পড়ে
বেলা শেষে চাঁদের আলো নিভে গেল অবশেষে।।
দ্রাক্ষার রস টক আমিও
কী জেনেছিলাম!
যেদিন চোখের সামনে
আকবরের বাইকে চড়লে, শাঁ করে
উঠে গেলে সদর রাস্তায়,
আকাশে কান্না দেখলাম।
পড়শির অধিকারে
বার বার গিয়েছি উঠানে,
নির্লজ্জ ভিখারির মত
হয়েছি নজরের কাঙ্গাল।
কৃপা পেলে বর্তে যেতাম
হে কৃপাময়ী!
ছেঁড়া ন্যাকড়ার
প্রতি রাজকুমারীর কোন
আসক্তি থাকে না, বড় কষ্টে
জেনেছিলাম। কষ্টে বুক
আজও মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা,
যেদিন গুলোতে আমরা দু বন্ধু মিলে,
বাসন্তী ফুল গাছের নিচে বসে কাটিয়েছি প্রহর ।
আমার সব, সব মনে আছে,
কিন্তু তুমি নেই, বন্ধু।
সকাল বেলা একসাথে হাতে হাত রেখে
দৃপ্ত পায়ে পুলকিত মনে আমরা হেঁটেছি কত,
আজ
অনেক দিন আগেকার এক বাণী
আমি জানি
আসে নীরবতা ঝড়ের আগে
সল্প সময়ের তরে, সবেগে
তারপর ঢল নামে, তখন তোমরা বলো
রোদমাখা দিন বৃষ্টি হয়ে এলো
রিনিঝিনি
আমি জানি।
তুমি কি দেখেছো বৃষ্টি ঝরে এমন অঝোরে
উজ্জ্বলতা নেমে আসে , জলে ভর করে?
আমি জানতে চাই, তুমি কি কখনও দেখেছো
কিছু স্বপ্ন মনের ভেতর গুমোট বেঁধে আছে –
শহর থেকে একটু দূরের সেই নদীটার পারে দাঁড়িয়ে
তোমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকবো।
নৌকা দিয়ে নদীর ওই পারে যাওয়ার সময়
যখন নৌকার দুলুনিতে তুমি ভয় পাবে, তখন-
তোমার হাতটা ধরে বলবো ‘ভালোবাসি তোমাকে।’
বাড়ির উঠোনে
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৪০ বার দেখা
| ১৩৫ শব্দ ১টি ছবি
একটা মিছিল হবে রাজপথে আবার
দাবি নিয়ে মানুষের অধিকার
ভাতের অধিকার ;কথা বলার অধিকার
নিরাপদে চলার,বেঁচে থাকার অধিকার।
একটা মিছিল হবে রাজপথে আবার
যে মিছিলের অগ্রভাগে থাকবে
সালাম বরকত রফিক জব্বার
একটা মিছিল হবে রাজপথে আবার।
এ মিছিল নয় কোন ব্যক্তিস্বার্থের পয়গাম
এ মিছিল মানুষের অধিকারের সংগ্রাম।
থুতু গেলা হর হামেশা-
ঘেন্না ধরে যায় এই
লোক-দেখানি রঙিন চেহারা –
থুতু ফেলে দিতে গেলে নিচের মাটিতে
সমস্ত সংসার হাসে মুখের ওপরে,
মাগনায় জ্ঞান মেলে যত্রতত্র বিগশপার ভরে –
– একহাতে কি করতালি বাজে?
এক মুখে শুনে কিন্তু কোরোনা বিচার।
খোঁজ নাও, হয়তো মনোবিকারই বা হবে! –
নিচে নইলে, থুতু