টাপুর টুপুর পড়ে বৃষ্টি
দেয়ার একটু ডাক,
পুকুর ডোবাতে সদা চলে
সোনা ব্যাঙের হাঁক।
সোনা ব্যাঙ, কুনোব্যাঙ
ব্যাঙের নানা জাত,
লাফালাফি করে তারা
ছোট্ট দু’টা হাত।
দেয়ার ডাকে ময়ূর নাচে
ঐ না ঘরের কোণে,
গাছ পালা সব ভেঙে শেষ
ঐ না
পরিবার, দায়বদ্ধতা ও অন্যান্য।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক রিক্সাচালক বাবা তার মেয়েকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে–। ছিঃ কেমন বিশ্রী কথা ও কেমন বিশ্রী বাবা। নিজের মেয়ে তার লালসার স্বীকার। পেপার পত্রিকায় প্রায় দেখি এমন বাবাদের খবর, চাচাদের খবর, মামাদের খবর কিংবা ভাইদের খবর।
একটা সময় মানুষ কিছু করে
একটা সময় মানুষ কিছু বলে
একটা সময় মানুষ ঘুম ঘোরে
একটা সময চুমোয় সৃষ্টির গালে
একটা সময় মানুষ ঘর ছাড়ে
একটা সময় মানুষ ঘরে ফিরে
একটা সময় আকাশ পানে ছুটে
একটা সময় সাগর টানে হাটে
একটা সময় মানুষ হতে চায়
একটা সময় পশুতে ফিরে যায়।
ফকির
ক্ষমতা ছেড়ে মহান হওয়া মানুষের ধাতে নেই
তাই তো তার বোধপরিচয় হারিয়ে ফেলে খেই,
যে করে হোক আকাশকে তার রাখবে ধরাছোঁয়ায়
ইচ্ছে খুশি ঘোরাবে ছড়ি পোয়া বারোর মায়ায়।
এলাকা তার চিহ্নিত থাকে প্রভুর আসনে প্রভু
কোন কিছুতেই হার মানতে চাইবে না তো কভু,
সেভাবেই ঘর সাজিয়ে গুছিয়ে চলছে চলমান
ক্ষমতা তার
আমাদের ছোটবেলাটা আজকের বাচ্চাদের শৈশবের মতো এমন তুতুপুতু ছিল না। ছিল না এতরকম অনর্থক ‘এটা কোরোনা কার্টসি শেখো, ওটা কোরোনা প্রোটোকল জখম হবে’ র ত্রিবন্ধনী। পড়ার সময় বাদে অন্য সময় চেটেপুটে সদব্যবহার করেছি। দেখেছি দুচোখ মেলে। সেদিনের দেখে শেখা আজও
আমার কাছে শেখ মুজিব
বাংলার ধ্রুবতারা,
তাঁকে বিহীন বাঙালির জীবন
ভীষণ ছন্নছাড়া।
আমার কাছে শেখ মুজিব
মলিন মুখের হাসি,
ক্লান্ত দুপুরে রাখালের
মন ছুয়ে যাওয়া বাঁশি।
আমার কাছে শেখ মুজিব
বাঙালির অজস্র আশা,
তাঁর থেকে বাঙালি পেয়েছে
অগণিত ভালোবাসা।
আমার কাছে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৮ বার দেখা
| ৯৬ শব্দ ১টি ছবি
ঘুরে ফিরে হাজারও প্রশ্নের মুখে
উত্তর পাই না- তুমি না থাকলে
এ সংসার- এ দেশ ক্ষমতায় হতো না;
তবুও ভুল ভাল গল্পে কান পেকে যায়
অথচ কি স্বার্থপর- দুনিয়ার নিয়ম
উপকারের উপকার বলে না।
আমি তো ভাই ক্ষণস্থায়ী প্রাণী
তারপাও ইতিহাস আমার অসংগতি !
নষ্ট সময় এখন, উত্তরের
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৫ বার দেখা
| ৭৭ শব্দ ১টি ছবি
খরিদ্দার খাবারের অপেক্ষায়;
আমি মধ্যস্বত্বভোগী, দুই পক্ষের সংযোগ
হোটেল এবং খরিদ্দারের মাঝে
আমার মুনাফা সাড়ে তেত্রিশ।
মুনাফার জন্য পদে পদে অপমানিত;
কেউ মুখের সামনে দরজা লাগিয়ে দেয়,
কেউ কুকুর লেলিয়ে দেয়,
কেউ ভিক্ষুকের মতো ছুঁড়ে দেয় ধাতব মুদ্রা।
সব অপমান হজম করি, মুনাফার সাড়ে
তেত্রিশ অপমানে
জানিনে আমি কে আমার বাবা আর কে মা
এই ফুটপাতে বসে আমার কাটে সারাবেলা
যে দেখে আমায় করে শুধু অবজ্ঞা পোষণ
চাইলে কোনো কাজ করে সবাই হেলা।
এ কেমন সমাজ আমি তো পায় না
মানুষ হিসাবে কোনো অধিকার,
সবাই তো আমায় দূর দূর করে
কি এমন ডাক রে ভাই- কি এমন ডাক
নাই কোন যার ঢাক ঢোল শব্দ আওয়াজ!
তবুও ডাক আসে- এমনি সময়- কেউ
পারে না ফিরাতে- তবু চলে যাতে হয়-
নির্দয়, নীরময়, জগৎময় সংসার ছেড়ে-
ভাবছো না- কার আগে- কে যাবে।
কি এমন আঁধার-
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৬৪ বার দেখা
| ৭৮ শব্দ ১টি ছবি
প্রতি বরষায় এই শহরে ভিড় জমে
রক্ত-কাদা-জল আর ট্রাফিক সার্জেন্টের হুইসেল
আবারো ফিরিয়ে আনে রজঃস্বলা মাকে;
মায়ের যৌবন
স্পষ্ট শুনি ছমছম নূপুরের শিহরণ
ঝুম বৃষ্টি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কলকল
ছোট বড় সব রাস্তা ছুঁয়ে বাড়ীটির পাশে।
জটিল আঁধারেও মুখ ছিল তার শরদিন্দু মোহর
দুধের নধর বাটি সারা গায়ে
কত
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩৪ বার দেখা
| ১৩১ শব্দ ১টি ছবি