এই নদী নক্ষত্র দেশে,
আমি তো এসেছি অচিনপুর থেকে
মুসাফিরের বেশে।
থাকব কয় দিন,
সৃষ্টিকর্তা আয়ু রেখেছে যতদিন ।
তারপর চলে যাব যে কোথায়,
সৃষ্টিকর্তা নিয়ে যাবে যেথায়।
যেখানকার খবর কেউ নেই নেবার
সুখ বা দুঃখের নেই কেউ শোনার।
রচনাকালঃ
২৯/০৪/২০২১
পাখি জামা পরে ওড়তে পারে না
আকাশের ধূসর সিঁথি ধরে
পিঠবোতাম খুলে দাঁড়ায়ে আছে
নাচতে দেখি হাওয়ার শিরায়-
জটিল প্রাণী এক, সংগীত-প্রেম
দিন শেষে, সন্ধের দিকে
নেশাগ্রস্ত বৃক্ষপাতা কাঁপছে
আমার অনেকগুলো ইশারা
টক টক বুনোরাত্রির ঘ্রাণ
ঘড়ির দুরুদ শব্দ! আলপথ-নগরে।
জল কাঁদার মতো ভেসে যাচ্ছে অপবাদ!
সোনালি রোদ্দু শূন্যেই জমাট বাঁধা মেঘ-
শুধু শুধু ঘর শূন্য করচ্ছে এ ফসলি আবাদ;
মাঠগুলো অন্ধ হয়েছে আলোতেও দেখে না
নদী ভরা জল কাঁদার কথা ভাবে না- অথচ
স্বপ্ন দেখে চোখ জোড়া ছিড়াকাঁথার নিদ্রায়;
তবুও সব অপবাদ আকাশ ছুঁয়া তারার
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯৪ বার দেখা
| ৫২ শব্দ ১টি ছবি
মুখাগ্নি বা অন্ত্যোষ্টি বা অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া হলো, জীবনের শেষ যজ্ঞ। অন্তইষ্টি=অন্ত্যোষ্টি বা অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া। অন্ত মানে শেষ আর ইষ্টি মানে যজ্ঞ আর ক্রিয়া মানে কার্য। আমরা জানি আমাদের সুপ্রাচীন পূর্বপুরুষদের বৈদিক সমাজ ছিল যজ্ঞপ্রধান সমাজ। জীবনের শুরু থেকে শেষাবধি সবই
সে এক নির্ঘম থম থম কালো রাত,
মৃদু হাওয়ায় ভর করে জোনাকিরা চলে,
জীবন সংগ্রামের হাজারো পথ।
মিটমিট করে গগনে জ্বলছিলো তারা,
তুষারের ছেলেকে ধরেছে ছেলে ধরা।
শুরু হলো গোলমাল লোকে ভরা বাড়ি,
এলো থানা থেকে পুলিশ ভর্তি গাড়ি।
জনতা ছেলে ধরাকে করে প্রহর এলোপাতাড়ি,
দূর গ্রামে খবর এসেছে এই ব্যক্তি
বাংলা ভাষা সেরা ভাষা,
মধুর ভাষা খুবই খাসা!
বাংলা ভাষা আন্দোলন,
একই কথা সব জনগন!
বিকাশ তার ৮০০ সাল,
১৮০০ তে ধরলো হাল!
চর্যাপদ প্রাচীন নিদর্শন,
বিকৃতির বাঁঁধা প্রয়োজন!
১৯৪৭ থেকে ৫২ সন,
ভাষার জন্য সবার মন!
৮৭ তে প্রচলন আইন,
খেলাপে হয় কি ফাইন?
ভাষা-আয়না এক চির
ব্যবহারে অনেক ধীর!
ধীরে ধীরে হচ্ছে ক্ষয়,
অসুখের
শূন্য দিয়ে বিকাশ তার পেছনে ঈশ্বর,
চন্দ্র সুর্য সাগর পর্বত গাছ নারী-নর।
সৃজন করেছে সবকিছু তিনিই এক,
তৈরি করেছেন সৌম্য ধরায় হরেক।
ইহকাল পরকাল দু’টি পাবে এক গা,
ধনাত্মক ঋণাত্মক সে সাথে দুটি পা।
অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ মিলে তিন,
জন্ম মৃত্যু বিয়ে তার কাছে যে ঋণ!
কিতাব খলিফা হামাগুড়ি সবই চার,
কোন ব্যস্ততা?
পদ্মা নদীর পাড়ি, হাঁস সারি সারি,
করছে ওরা স্নান,
পদ্মার কালো জল, করছে যে টলমল,
হয়নি তো ম্লান।
নদীর তীরে সব, বিহগের কলরব
মনোরম দৃশ্য,
চলন্ত পথযাত্রী, গভীর হল রাত্রি
সাইকেলের ব্রেকের মতো
তোমার ঠোঁটের ব্রেক নাই-
আবল তাবল ঘুর্ণিপাকের মতো
যা কিছু তাই বলছো-এবার একটু
ব্রেক মার সাইকেলের মতো।
আকাশের মতো রঙ বদলাছ!
ধর্মকর্ম বলে কিছুই মানছ না-
ব্রেকহীন গাড়ির মতোই চলছো-
একটু ব্রেক মার সাইকেলে মতো;
আর কতদিন এভাবে চলবে? পাপ যত,
মায়াহীন, ছায়াহীন শুধু অনুভূতি বাতাসের
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮২ বার দেখা
| ৫৪ শব্দ ১টি ছবি
জগৎসংসার একপেশে লাগছে;
যে সবুজ বৃক্ষ একসময়
সুখ নিদ্রায় ছায়া হয়ে থাকতো;
বিবর্ণ হয়ে গেছে;
পাশে গেলে আগের সজীবতা
অনুভূত হয় না। প্রবাহিত নদী
গেছে শুকিয়ে, দুর্বার যৌবন
ভাটা পড়েছে। প্রতিটি দিন ছিল
সম্ভাবনার, প্রতিটি ভোরে দিগন্তের
ডাকে উড়াল দিতাম।
দিগন্ত এখন ধূসর। উড়ালপুরের ডাক
আগের মত আলোড়ন তুলে না।
মরে গেছে জীবনের রঙ;
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৫ বার দেখা
| ১৪০ শব্দ
ঐযে গাছে ঝুলে আছে
এত্তো এত্তো কাঁঠালও
খাইতে ভীষণ মজা হলেও
খুলতে বড্ড আঠালো!
লটকে থাকা কাঁঠাল গুলো
একটাও যে আমার নয়
অন্যের কাঁঠাল দেখেদেখে
এই মনে আর কত সয়।
শর্সে তেলে হাত মেখে রই
তাতে মোটেই ক্লান্তনা।
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল
দেখেই মনের শান্তনা।
যাদের আছে কাঁঠাল
জানলা খুলে ফেলেছি। সামনে লাফিয়ে উঠল তুষারের দেশ।
আর তুষার ঢাকা গাছে একটি হলদে বৌ অনেক বৈভব নিয়ে এসে বসল বেশ!
বৃষ্টি হলেই তো সে আসে বলে জানি।
তবে কি আশা আছে বউঠাকুরাণী?
পাত পেড়ে আবার বসব ঢলে পড়া দুপুরে পংক্তিভোজনে!
কান্নার ঝরনাগুলো আবার লাফিয়ে উঠবে আর