স্বাধীনতা চাই,
যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
শিশু মায়ের কোলে নিরাপদে দুগ্ধ পান করতে পারব।
কেউ চাইলে বোমা বিস্ফোরণ করতে পারে না
সেই টুকু স্বাধীনতা । যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে
রাখাল উদাস মনে বাঁশি বাজাতে পারবে খোলা মাঠে
শঙ্কাহীন ভাবে প্রকৃতির সাথে ।
যে-ই টুকু স্বাধীনতা পেলে,
কৃষক

দূরের পাখিরা জানে এই আষাঢ়ের অন্যনাম-তোমার চিঠি। অথবা ভালোবাসার
পুরনো খাম- নতুন অক্ষরে সাজানো একটি কদমফুল। ভুল করে উজানে বয়ে
যাওয়া নদীর প্রশ্বাস জমা রাখা দুপুর। হতে পারে ভোর- কিংবা দুপুর। যে সময়ের কাছে রেখে এসেছি আলোর অতীত।
মনে পড়ে ? এই আষাঢ়েই আমরা গেড়েছিলাম আরেকটি বিশ্বাসের ভিত

গোপন ভাবনার পিচে ললাট দেহে
আষাঢ় শুধু চমকে যায়- চমকে যায়
রঙধনুর বৈকালি সাতটি রঙ অথচ
কামচক্ষু রুপালিময় ঠোঁট নতুন হয়-
হাসিটার দৌড় কামচক্ষু রূপালিময়; এক চিমটি মেঘের ছোঁয়ায়-
শ্রাবণ হতে চাই না- না- চাই না
সমস্ত কামনা বাসনা মাটির আরাধনা
আর উত্তাপ হাওয়াই

প্লাটিপাসরা স্তন্যপায়ী
মানুষও তাই ওরা মোটেই পাখি বা মাছ নয়,
তবে সন্তান প্রসব করে,
দুধ খাওয়ায় সন্তানদের
হাঁসের মতো চোখ চঞ্চু ও পা
বাদামী রংয়ের ছোট্ট এক প্রাণী!
মানুষের চোখ ও পা আছে
কিন্তু চঞ্চু নেই প্লাটিপাসদের নেই বাড়ি,
সাদু পানিই তাদের বাসা!
নিঃসঙ্গ অবস্থায় ঘোরাঘুরি,
দিনের বেলায় ঘুম আর
রাতের বেলা চলাফেরা,
খাওয়া ঘুম এগুলোতেই

আজি মেঘ গরজিছে শ্রাবণ আকাশে
গুরু গুরু ডাকে দেয়া সুবাসিত বাতাসে।। ঘনঘটা বেজে শোন পিয়ালের বনে
উথলে বিরহ জ্বালা প্রিয়ার মনে
এ লগনে তারে বলা যায় কি আভাসে
যদি না বাতাস বহে বকুল সুবাসে।। ধীরে ধীরে বরষণে মন নিশীথে
পুলকিত হরষে চায় তারে দেখিতে
না দেখিয়া তারে ভাবি

আমরা দু’জন নেই জায়গা নেই জমি
নেই যে বাড়িঘর,
পরের বাড়িই আমার বাড়ি
ভাড়া একটা ঘর। ঘরখানা মোর ছোটখাটো
ভাড়া চার হাজার,
টোনাটুনি দু-জনই থাকি
আমার সামান্য রোজগার! ছেলে ছিলো মেয়েও ছিলো
এখন ছেলে পরপারে,
মেয়েটা থাকে তার শ্বশুরবাড়ি
তিন মানিক ওর ঘরে। দুটো মেয়ে

গৃহঘোর জীবনের শুরুতেই যদি ম্রীয়মান যত সন্ধ্যা
হ্যালোজেনে খুলে দেয় আপন ভাঁজ
দোষ দেয়া যায় না এই জন্মের
যে জন্ম জলের, যে জন্ম প্রেমের
মানবজন্ম হাইব্রিড পদ্ধতি অনুসরন করেনা
কোন মাঝরাত কেবল প্রেমজ উপাদানে ভরে ওঠে
নিঃশ্বাসের ওঠানামায় তৈরী হয়ে যায় আস্ত একখানা মানুষ। বিস্ময় কাটেনা যেন কিছুতে
একটা মানুষ! কত কষ্টে

তবুও ভুলভালসহ ঠিকই কাটছে জীবন
খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে পাথর সময় – নগ্ন ইতিহাস
আর যুৎসই কৌশলে বৃষ্টিকে নামিয়ে আনি
ঠিক বুকের ওপর – নদীকে দত্তক দিয়েছি যে! তবুও পাখির উড়ে যাবার কী তীব্র বাসনা
গায়কী ঢঙ – বিজ্ঞাপন প্রচারের মতো
আঙুলে গুণে রাখছি নিজস্ব কিছু সংখ্যা
বাড়ছে ভ্রুণের মতো ঠোঁটের কিনারে

জীবন পথে বাধা আসবে
সব সময় তাই হয়,
সাহস করে এগিয়ে যাও
তবেই হবে জয়। পথের কাঁটায় ভয় পাবে না
সামনে ধেয়ে যাও,
রক্ত ঝরুক মনকে আরো
শক্ত করে নাও। ঐ যে দেখো শশী হাসে
যখন তবে রাত,
সৎ পথে যে প্রভু সহায়
দূর করে দেন ঘাত। যুদ্ধ করেই গড়তে হবে
তোমার জীবনখান,
জয়ী

আমার নাম দুঃখমতি
জন্মের পর দুঃখ লেপ্টে আছে।
মাথা, কোমর, হাটু, গোড়ালি
দুঃখে ভরপুর! শুধু মধ্যাংশ কিছু পরিমাণ
সুখদ, পেট দেখে যেকেউ
সুখী ভেবে নেয়। পেটের জন্য
দুঃখবাদী জীবন পাত্তা পায় না। শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা
বসে পড়লে উঠতে পারিনা
কোনরকম দাঁড়ালে পুনরায় বসতে
কষ্ট হয়। কষ্ট সহ্য

কবিতার ভাব মুখর আজ মৃত প্রায়!
চোখের কালোকেশি মেঘে আষাঢ়ের ঘনঘাটা-
অথচ কবিতার চঞ্চলতা নেই- আকাশে ঘুড়িও নেই;
কদম ফুলের মিষ্টি হাসি ছড়িয়ে গেলো কোথাও?
বিস্মৃতির পথে, রক্তাক্ত কাটায় থুবরে খেয়েছে। অতঃপর আষাঢ়ের গায়ে জ্বর সর্দি হলেই বা কি?
শ্রাবণ তো

নীরার সবদিন টাই শ্বশুড়বাড়িতে জেলবন্দী জীবন। এইদিন অত্যাচারের মাত্রা বেশী ছিল। সকাল থেকে খেতে ইচ্ছে করছিল না। বর রীতিমতো লোকদেখানো র জন্য রান্না করে আর নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করে, বৌ কে পদে পদে ছোট করানো হল তাঁর কাজ। সংসার সুখের

“শ্রী” একটি বিশেষ্য পদ। ‘শ্রী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ। ভারত উপমহাদেশীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ করে সনাতন ধর্মে নামের পূর্বে ‘শ্রী’ লিখে থাকেন। তা নারীপুরুষ সকলের নামের সাথেই শ্রী যুক্ত করা হয়। যেমন: পুরুষের নামে পূবে ব্যবহার করা হয়, “শ্রী লক্ষ্মণ