আমরা নাকি মানুষ
কোথায় তবে সে হুঁশ ?
মানবতা নেই আজ
পশুর মত সব কাজ।
কেউ ভাবে না শান্তি
চলার পথ সে ভ্রান্তি;
খায় মানুষের রক্ত
মুখটা রয় যে শক্ত।
কারো নেই গো মায়া
মানবরূপ তার কায়া;
হৃদ তার ভরা পাপে
জীবন রয় যে শাপে।
কে বা ভাবে সোজা ?
মাথায় পাপের বোঝা;
মানুষ
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৭৯ বার দেখা
| ৫৫ শব্দ ১টি ছবি
মধ্যবিত্ত পরিবারের শুধু কষ্ট আর কষ্ট
হয় না তো স্বপ্ন পূরণ, স্বপ্ন গুলো হয় শুধু নষ্ট।
বলতে পারে না তো তাদের অভাব অনাটন কথা
সদা ঘুরে বেড়ায় বুকে নিয়ে গিরি সমতুল ব্যাথা।
কেউ নেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের কথা শোনার,
সমাজে কেউ নেই তাদের বিষয়ে জানার।
কেউ থাকে দালান কোঠায়, কেউ রাজপ্রাসাদে,
কেউ থাকে ঝুপড়ি ঘরে, কেউ রাস্তাতে কাঁদে।
কেউ ঘুরে দেশ বিদেশে, কেউ ঘুরে মনের স্বাদে,
কেউবা আবার বিনা দোষে পড়ে যায় ফাঁদে।
কেউ সম্পদশালী কেউ ক্ষমতার বড়াই দেখায়,
কেউ আবার বস্তিবাসী, না খেয়ে দিন কাটায়।
কেউ অহংকার
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৮৯ বার দেখা
| ৭৫ শব্দ ১টি ছবি
একদিন এই মাঠে মেলা বসতো;
দূরদূরান্ত থেকে দোকানি পসরা সাজাত।
একদিন এই মাঠ কিশোরের পায়ের ভারে
দেবে যেত, কিশোরীর গোল্লাছুট
দৌড়ে নাগাল পেত না। একদিন এই
মাঠের পাশে দেখা যেত ফুল ফুটেছে।
একদিন সযত্ন মালি দূরে ফেলে দিত
অযাচিত আগাছা। একদিন এই মাঠে
হত ষাড়ের লড়াই। বিছাল যুদ্ধ দেখতে
লাখো মানুষ
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩২ বার দেখা
| ৩৬৯ শব্দ
স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪৪/৪২
মাগো আমার ইচ্ছে করে
পাখির সাথে গাইতে।
মাঝির মতো তরী নিয়ে
মনের সুখে বাইতে।
মাগো আমার ইচ্ছে করে
বিধুর মতো হাসতে,
রোজ প্রভাতে পাখির সাথে
ভীষণ ভাবে নাচতে।
মাগো আমার ইচ্ছে করে
ফুলের মতো ফুটতে,
নদীর মতো ইচ্ছে খুশি
সাগর প্রাণে ছুটতে।
কী-ই বা যায় আসে যখন কেউ ঝকঝকে কলারের নীচে বেখাপ্পা ময়লাটে গেঞ্জি পরে
আগডোম বাগডোম ঢোলের সঙ্গে সঙ্গতে নেমে পড়ে?
আসলে বিভাজন শব্দটা একটা সর্বৈব সত্য, কলার আর ময়লা গেঞ্জির মতোই।
বাংলা কবিতা যেমন ইংরেজির মাস্টারমশাইদের হাতে শায়েস্তা হলো, থুড়ি ফুল ফোটাল!
তারপর বিষয়টা খুব
করোনা তোমার জন্য আজ বিশ্ব স্থবির,
মানুষে মানুষে নেই আলিঙ্গন, শুধু শঙ্কা আর শঙ্কিত জীবন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা একটু আলিঙ্গনের জন্য।
করোনা তোমার প্রাদুর্ভাবের জন্য, সতত লকডাউন
লকডাউনের গৃহ বন্দী জীবন, অসহ্য সময়, দীর্ঘ প্রতীক্ষা।
নেই সেই আগের মতো প্রানবন্ত চমৎকার শহর খানি
ফুটপাতের মানুষের দুর্বিষহ
প্রশ্ন করা মানা,
এ যেন এক আজব কারখানা;
প্রশ্ন যদি করো তবে হারাবে ঠিকানা।
প্রশ্ন করা মানা,
দেখবে শুধু বলতে কিন্তু মানা;
বলতে যদি চাও জেল হবে ঠিকানা।
প্রশ্ন করা মানা,
এ কিন্তু এক আজব জামানা;
প্রশ্ন যদি করো তবে তুমি ভালো না।
প্রশ্ন করা মানা,
আইন অন্ধ চোখেও দেখেনা;
আইনের কিন্তু
স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪৪/৪২
ঐ দেখো মা আকাশে তে
উড়ছে কত ঘুড়ি,
ইচ্ছে করে তেমন করে
আমিও যেন উড়ি।
নীল আকাশ ছোঁয়ার জন্য
মনে কত আশা,
পাখির সাথে গাইতে আমার
জাগে মনে ভাষা।
ছায়ার সাথে ইচ্ছে করে
লুকোচুরি খেলতে,
আকাশে তে পাখির মতো
মুক্ত ডানা মেলতে।
রচনাকালঃ
বড় ছেলে হাবা-গুবা
মায়ের মত কালো-শোভা।
তার পরেরটা ল্যাংড়া
সভাবে জাত চ্যাংরা
একটা যে রাত কানা
কারো নাই তা জানা !
যেই ছেলের নাম গাজী
আস্ত একটা পাজি।
ছোট ছেলে লাল্টুস
বাপের মতই পাল্টুস।