৪৪/৪২
পাপে পাপে নষ্ট জীবন
রক্ষা করো আল্লা,
আমল না’রে করলে পাপে
ভারী হবে পাল্লা।
পাপের শাস্তি ভীষণ কঠিন
যায় না কভু বলা,
সবার উচিত নবীর কথায়
পুরো জীবন চলা।
নবীর কথা মেনে চললে
জীবন হবে ধন্য,
পাপের বোঝা তখন হবে
একেবারে শূন্যে।
পাপে পাপে জরাজীর্ণ
অশান্তিতে
গ্রামের স্রোতস্বিনীর পাশে গভীর অরণ্যের
মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে গেছে
একটি সুরু পথ, সেই পথে
বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে,
মনের অভিলাষে গল্প করতে করতে সবাই মিলে,
অবশেষে পৌছলাম কলেজের তেমাথার মোড়ে।
অন্য বন্ধুবান্ধবদের উষ্ণ অভ্যর্থনা,
হাসি আর খুনসুটি ।
রেখেছে আমাদের সকলকে ঘিরে,
স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪৪/৪২
বৃষ্টির দিনে মনে পড়ে
বাল্যকালের কথা,
আজও তা যে মনের কোণে
স্মৃতির পাতায় গাঁথা।
বৃষ্টির শব্দ বড়ই মধুর
শুনতে লাগে ভালো,
গগন জুড়ে ভেসে বেড়ায়
মেঘ যে ভীষণ কালো।
ইচ্ছে মতো যখন তখন
নামে একটু বৃষ্টি,
বৃষ্টি যদি না হয় তবে
হবে অনাসৃষ্টি।
দুঃখগুলো দুঃখজনকভাবে সব স্পর্শের বাইরে
তবুও ইতিকথার পর আরও কিছু কথা থাকে
এখনও কানামাছি, বউচির নাম করে ডাহুক ডাকে!
কেবল সময়ের অসম ফারাকটা কেউ বুঝে না
ভালোবাসার নদীটা আজও ঝড়ো বৃষ্টির মতো কাঁদে
ভেতরে-বাইরে একই রকম ভাঙাচোরা সড়ক
কোথাও কোনো সুবাতাসের সন্দেশ নেই
গন্ধর্ব পৃথিবীর সবখানে লেগে আছে একই মড়ক!
অথচ
ঐ যে দেখো পাখি উড়ে
নীল গগনের মাঝে,
আমি দেখি ব্যাকুল হয়ে
প্রতি সকাল-সাঁঝে।
মাগো আমার ইচ্ছে করে
আমিও তেমন উডি,
জগতটাকে একবার দেখি
ওদের সনে ঘুরি।
যখন তবে বিকেল হয় মা
চলি নদীর ধারে,
নৌকা বেয়ে গাইছে মাঝি
কী সুন্দর গলারে !
গাছের ডালে কতো পাখি
গায় গান মধুর স্বরে,
আমিও চাই মা
আমার সামনে থ্রিডি আয়না
ওপারের আমিকে খুব জীবন্ত লাগছে
অথচ জানি; আমি মরে গেছি
স্থবির হৃদয়ে ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই।
আয়নায় যা প্রতিফলিত সর্বদা সত্য নয়,
অনেক মুমূর্ষ আয়নার বদৌলতে
প্রাণবন্ত হতে পারে; অন্তরে অন্য খোঁজ।
মৃতবৎ মেকাপের জোরে
স্বল্পসময়ের জৌলুসে ফিরতে পারে,
সময় ফুরালে কফিনে ঢুকে
৪৪/৪২
বাবা তুমি আমার কাছে
আনন্দ আর হাসি
তোমায় ছাড়া আমি শুধু
নয়ন জলে ভাসি।
ছেলেবেলার ইচ্ছে খুশি
ধরেছি যে বায়না,
তোমাক ছাড়া আমার মনে
আর তো কিছু চাইনা।
বাবা তুমি ছিলে আমার
নিত্য খেলার সাথী,
আঁধার রাতে চলার পথে
চাঁদের মতো বাতি।
হঠাৎ একটা আর্তনাদ এসে জমাট বেঁধে রইল আমার হাতের মুঠোয়। অন্তহীন জলরেখায় এক জ্বলন্ত মোমের মতো। মানুষের মুখোশ চারপাশে ঘিরে থাকে আর ছায়া অপচ্ছায়ার বীভৎস মুখ।
শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও পড়ে রইল কিছু শব্দ, কিছু না বলা কবিতা, একরাশ ঘৃণা,
জীবন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২২১ বার দেখা
| ১৩৪ শব্দ ১টি ছবি
জোর করে যায় না পাওয়া ভালোবাসার মন
জোর করে যায় না হওয়া কারও আপন জন
তোমার মনের ঘরে হয়নি ঠাই
কষ্ট গুলো একা সয়ে যাই
ক্ষমো মোর অপরাধ
মিটবে না জানি সাধ
চলে গেলাম বহু দূরে
ডাকবো না আর সুরে সুরে!
সুখে থেকো
ভাবনার অজানতে দূরের চাঁদকে
এত বেশি ভালবাসতে নেই!
মাঝে মাঝে অপরাধী মনে হবে
জলের মতো ভাল না বাসলে
সে ভালবাসার কোন অর্থবহ হয় না;
ভাল লাগার মানে কিন্তু ভালবাসা নয়
আটার মতো লেগে থাকতে হয়
নিঘুম স্বপ্ন বুনাতে হয়
গোলাপের মতো স্পর্শ করতে হয়
তাহলে ত ভালবাসা
কিন্তু
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪২৬ বার দেখা
| ৬২ শব্দ ১টি ছবি
এবার বাংলাদেশে বর্ষা শুরুর আগ থেকেই আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বৃষ্টি নেমেই চলেছে; ঢাকার রাস্তা যখন কাদায় আর পানিতে পরিপূর্ণ তখন শহুরে জনতার টক অফ দ্যা দেখনো হচ্ছে মুনিয়া, কখনো পরিমনী আবার কখনো আবু ত্ব-হা আদনান। সোস্যাল মিডিয়ার ওপর কখনও মেঘ
সমকালীন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৯৬১ বার দেখা
| ১৫৯৩ শব্দ ১টি ছবি
মেঘের সাথে উড়াল দিতে চাইলেই হল;
আদিখ্যেতা বাদ দাও,
তুমি পাখি না যে ফুরুত করে উড়ে যাবে।
নিজেকে পাখি ভাবো! ঠিকাছে!
তবে ডানাকাটা
উড়বার চেষ্টা করলেই মুখ থুবরে পড়বে।
তারচে শাওয়ারের নীচে
প্রবাহিত হও।
ইচ্ছা থাকলেই হল;
যে ইচ্ছার আগামাথা নেই
তাকে ঝেড়ে ফেল।
কোন একদিন বৃষ্টি হবে হয়তো
তুমিও ভিজবে,
পাখির পালক নয়
সিক্ত
মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ ৫৫/৫২
তোমার কথা পড়লে মনে
হৃদয় কেঁপে ওঠে,
তোমার খোঁজে সেই ছেলেটা
পাহাড় প্রাণে ছোটে।
বাদলা দিনে মনে পড়ে যে
প্রিয়া তোমার কথা,
অপরের সাথে দেখে তোমায়
প্রাণে লাগে যে ব্যথা।
হাসি মজার সময় গুলো
গেছে যে কবে চলি,
তোমার কথা আমি যে শুধু
বারংবার
আকাশ ভরা উদাসী মেঘ
ঝরে তা থেমে থেমে
কদম, কেয়া নাকি প্রিয়া
কাকে তুমি মনে করো হিয়া?
যার জন্য লেখার এই আগ্রহ
এই আকাশ ভরা মেঘ দেখা
এই অঝর বৃষ্টি দেখা
সে যে মিশে গেছে
পাহাড়ের আড়ালে রংধনুতে।
শান্তি আর স্তব্ধতার মাঝে
দূরত্বের প্রাচীরটা থাক
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৫ বার দেখা
| ৬৫ শব্দ ১টি ছবি