৪৪/৪২ রঙের শোভায় আত্মহারা
ভালোবাসা ফুলে,
হৃদয় সহে কাঁটার আঘাত
যায় রে পুষ্প কুলে। পবিত্র প্রেম বিরহে গাঁথা
মনে জাগে আশা
প্রেম কাননের ধারে গিয়ে
খুঁজে পায় না ভাষা। সহে হৃদয় কাঁটার আঘাত
সহে নাহি কথা
মন মালিন্য হলো পারে
প্রাণে লাগে ব্যথা। যেমন আছে পাতার

মহামারী, লকডাউন, ছিন্নমূল মানুষ
রোহিঙ্গা, রিক্সা চালক এবং বাংলাদেশ।
মঞ্চ, ভাষণ আধা সত্য নাকি পুরো মিথ্যা
শ্রোতাসাধারণ জোরে দেয় হাতে তালি। পৃথিবীকে জ্বালিয়ে করেছি মোরা পোড়া
মাটি ছাই, আর আজ পৃথিবীর একটু প্রতিশোধে
মনুষ্য জাত বেসামাল। বাংলাদেশ গরিব একটা
দেশ তবুও সুইস ব্যাংকে টাকার

রিমঝিম রিমঝিম বাদল দিনে তোমার কথা পড়ে মনে
কোথায় আছ তুমি আজ এমনি বরষা মুখর দিনে। তোমার পরশ মাখা স্বপ্ন আমায় করেছে মগ্ন
দিন কাটে ঘরে একা তোমার সুরে গান গেয়ে। বিদায় নিয়েছে বসন্ত এসেছে বরষা তবু কেন
কাটে না যে

একটা মানচিত্র। লাল পৃথিবীর
তার ভেতর নীল মানুষ। বেঁচে থাকে
অসুস্থ চোখ। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে জানা গেল
মানুষের মৃত্যু হয়। জ্বরগ্রস্ত রোগীর মতো
অতঃপর জানলাম। আমাদের দ্বিতীয় কোন ঈশ্বর নেই
পরিচয়হীন একটা চিঠি। পোস্টম্যান হয়রান
খয়রাতি আত্মাকে খুঁজে পাওয়া
অতোটা সহজ কাজ নয়। দীর্ঘ একটা রাত কেটে গেলে আমরা ঢুকে পড়ি
পোস্টবক্সের অন্ধকার

ভাবতে পারো তোমার দেখায়
আমি হলাম অভিমানি
আমি অভিমানী হয়ে
অভিমানে প্রস্থান করবনা
আমি সুউচ্চ পর্বত শৃঙ্গ পার হতে শিখেছি।
স্রোতস্বিনী নদীর বিপরীতমুখী স্রোতের পথ ধরে চলতে শিখেছি। আমি জীবনের অলিগলিতে
পদচারণার পর অনেক পথিকের পথ চলাকে উপলব্ধি করতে পেরেছি। তুমি ভাবছো আমি কোন কিছুতে ভয় পাই
হা

আগে শুনতাম গিরগিটি তার
রঙ বদলায় ভাই,
মানব মাঝেও কত রঙ আছে
সদাই পাল্টে তাই। ক্ষমতা পেলেই হাছুইন্যা সে
হাসেন সাহেব হয়,
পাড়ার লোকেরা পাত্তা দিত না
এখন পায় যে ভয়। স্বার্থের লাগি কী মধুর কথা
সাজে অতিভালো নর,
যে

কী দুরন্তপনায়ই না কেটেছে আমাদের শৈশব! স্পষ্ট মনে আছে, একবার বাঁশের গুলতির বায়না ধরেছিলাম বাবার কাছে। বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কাটা হলো, বাঁশ থেকে খাপ বানানো হলো। তিন সূতার পাটের দড়ি পাঁকানো হলো। খাপের দুই পাশে দড়ি টানিয়ে ধনুক আকৃতির গুলতি তৈরি করা হলো। অতঃপর

মৌলবাদ বাঙালী জাতিসত্তার অংশ নয়,
কিংবা যে সাম্প্রদায়িকতার খোলস পরে আছ তুমি-
তা ও নয় আমার পরিচয়;
আমি জাতহীন মানবের নিধি
দেখ, এই মাটির পাঁজরে মিশে আছে আমার বুকের পরিধি, আর যে আগুনের উল্লাস দেখে তুমি ভীত হও
আমি তার প্রতীক শুধু- এমন একটা
হিসেব লিখে লও
জেনো- যে শক্তি অজাতিসত্তার অসুর,
কবিতায়,

১৪/৪৪ আজ ভেবে ছিলাম
লিখবো শুধু প্রেমের কথা
না শুধু লিখলাম
বুক ভরা ওই দারুণ ব্যথা। আজ শুধু মনে
চাই যে ওগো বন্ধু তোমায়
চাই প্রতি ক্ষণে
তুমি ডাকবে কবে আমায়। চাই আমি শুধু
সুন্দর রাঙা ওই না বধু
থাক বলে দাদু
খুব হয়েছে কাব্য শুধু। পাই

৪২/৪২/৪৪ প্রিয়া তোমার কথা—— প্রাণে লাগে ব্যথা
ভাবি আমি মনে মনে
শুনব নতুন শব্দ—– কেটে যাবে অব্দ
সেই কথা মন ছুয়ে ক্ষণে। দিয়ে নিত্য আশা ——— কেড়ে ন্যায়’রে ভাষা
বলি না তো আমি কিছু
তার প্রেমের ওই আগুন ——- বসন্ত আর ফাগুন
ঘুরি

জল কে বলি চল
চল জলকে চল
ওমনি জল ঝাঁপিয়ে পড়ে
আমার জানালায়। জল যদি হয় পাহাড়
পাহাড় করে আহার
সেতুবন্ধে টুকরো পাথর
মৃত্যু কিনারায়। জল কে বলি আয়
খেলবি যদি আয়
ওমনি জল গোঁসাগনগন
চললো সিতারায়। জলই কাটে দাগ
অকাল হোলির ফাগ
এক চিলতের এদিক ওদিক
বেহেস্ত নিয়ে যায়। আমার আমি’র

অন্ধকারের পায়ে ঘুংঘুর দেখে ভেংচি কাটে শালিকের
জোড়া ঠোঁট, বিশ্লেষণ নেড়ে ছেড়ে দেখা যায়
শরীরের কোথাও নেই কোনো চোট;
তবুও একদিন আড়মোড়া ভাঙে সজল সকাল এরপর থেকে সখির বর্ষার কথা আর মনে পড়ে না!
তবু্ও দৈনিক হিসাবে পাড়ায় গড়ায় কিছু পাথর সুখ
সখিনা জানে তার রুপ

তোমার বুকের ভেতর গল্প দুটো-
অগোছালোয় নড়ে, ইচ্ছে করে ডাকে
নিত্য নতুন আবিস্কারে সঙ্গীতা রাত-রোদ্দুরে
ঘুমিয়ে পড়া নদী, শিশুর মতো মাঠ-
ছাদ বাগানে সন্ধেগুলো যুগল টিকটিকি!