অফিসের সকল ব্যস্ততা শেষে
গুটি গুটি পা ফেলে, ক্লান্ত শরীরে
আমার ঘরের চৌকাঠে ক’ড়া নড়াতে যদি’
আর, আমি অধীর আগ্রহের প্রহর ঘুচিয়ে
তোমার সমস্ত ক্লান্তি মুছে দিতাম
আমার আঁচলভরে! কেমন হতো, এমন হলে?
বিষণ্নতার চাদর মুড়িয়ে নির্ঘুম রাতের
প্রহরগুলোতে, অস্থিরতায়, অবসাদে
পাশ ফিরে যদি তোমাকে পাওয়া যেত?
কেমন হতো, এমন

জীবনের স্রোত বহে নদীর মতন
কলকল তানে তবে গন্তব্য অজানা;
স্বপন ডানায় ঘুরে জগত কানন
সুখের আশায় সহে শত বিড়ম্বনা।
তমস বিবরে খুঁজে বেড়ায় সকাল
অভাব যন্ত্রণা সদা খেলে লুকোচুরি;
ব্যর্থতার উগ্র নৃত্যে হাসির আকাল
হৃদয়ের অতলান্তে কান্না আহাজারি। সোনালি প্রত্যুষ দেয় যেন হাতছানি
ছুটছে জীবন, মিলে যদি সুখখান;
প্রাপ্তির খুশীতে যায় ভুলে সব

স্বরবৃত্ত ছন্দঃ৪৪/৪২ কৈশোরের ওই স্মৃতি গুলো খুবই পড়ে মনে
ইচ্ছে মতোন ঘোরাঘুরি বন্ধুদের ওই সনে।
কৈশোরের ওই দিনগুলো কি যাই রে কভু ভোলা
কৈশোরের ওই কথা মনে দেয় যে ভীষণ দোলা। হাসি মজার সময় গুলো গেছে কবে চলে
কৈশোর কেটে যৌবন আসে কভু কিরে বলে।

করোনা প্যানডেমিকের এই ক্লান্তিকাল
থমকে দিয়েছে দুনিয়াকে
থমকে দিয়েছে শহর-বন্দর গ্রাম, থমকে দিয়েছে পথিকের পথ চলা। কর্মব্যস্ত মানুষ আজ কর্মব্যস্তহীন
এ যেন ঘরে বসে মৃত্যুর দিকে প্রত্যাগমন করা
সবকিছু দেখেও কিছুই যেন দেখছি না সবকিছু বুঝেও কিছুই যেন বুঝছি না।
এইসব দুর্দশাগ্রস্ত খেটে খাওয়া কুলি

তবু দুঃখ বদলে যায় শোকে
দশমিকের ভগ্নাংশে জ্বলে নরম পালক *** দহন ১২ জানা আছে মনখারাপী বয়ঃসীমা?
কতখানি কাটলে তবে রক্ত ঝরায়ে উদাসী দিন?
গ্রীনউইচের

তোমার কি মনে পড়ে
সেই পুকুর পাড়ের কথা
পাড়ে ছিল, কত গোলাপফুল
গাঁদাফুল, আর মাধবীলতা! তোমার কি মনে পড়ে
সেইসব সোনালি দুপর
সকাল-দুপর বিকেল-সন্ধ্যা
বাজতো তোমার সোনার নূপুর তোমার কি মনে পড়ে
সেই পৌষের সকালের রোদ
দু’জনে বসে গল্পে মাততাম
হতো না মনে বিরক্তি বোধ। তোমার কি মনে

ব্যঞ্জনা দিতে এসে ছিলে
দিয়েছ,
তারপর চলে গেলে।
তিন কূলে কেউই রইলনা আর
লাঞ্ছিত হাতে আঁকড়ে রলাম নীলবিষ আর
নির্বাণ অঙ্গার।
এখন তুমি ভালো আছো আগের চেয়ে বেশ;
মধ্যখানে
আমার সাথে খেলে গেলে খামখেয়ালির লেশ!
আধুলির দামে কিনতে পাওয়া জুয়ার ঘরের দাস
এর বেশী আমায় ভবতে পারো নি!
কথিত সুশীল সমাজ
আর

জীবন বেড়ে ওঠে
কখনও ফুল হয়ে,কলি হয়ে,
স্বপ্ন হয়ে, সুন্দর হয়ে।
জীবন বেড়ে ওঠে
শেকর হয়ে, ছায়া হয়ে,
বৃক্ষ হয়ে, রূপসী চাঁদ হয়ে,
মুগ্ধস্পর্শী পূর্ণিমা হয়ে,
মায়া হয়ে, ছায়া হয়ে, কায়া হয়ে,
নীরবে-নিভৃতে বেড়ে ওঠে। জীবন বেড়ে ওঠে
জীবন জেগে ওঠে
এক বিন্দু ভালোবাসা হয়ে,
এক বিন্দু জল হয়ে,
এক বিন্দু শস্য হয়ে,
এক

এই পৃথিবীটা আসলে একটি ছোট্ট
সে অ‍্যাকুরিয়ামের মতন;
আমরা রঙিন ক্ষুদ্র মাছ খুবই তৃপ্ত
পাচ্ছি যে সহস্র যতন। যেমন মৃত্তিকা করে সকল প্রাণীর
লালন পালন ভরণ পোষণ;
রঙিন মৎস্যরাও তো

কবিতার মতো মানুষ খুঁজতে
এক গ্রন্থ ঘোর নিয়ে দাঁড়ায়েছি
কেরোসিন বাতির সম্মুখে- মফস্বলি কাঁচাবাজারের সন্ধ্যা
আমাকে দেখিয়ে দেয়
মরা মাছের চোখ, জমিয়ে ওঠা
খুচরো পয়সার সম্পর্কে
সমস্ত সত্তা বিক্রেতার মুখোমুখি
বাবার স্মৃতির সুদীর্ঘ পথ, যতিচিহ্ন; তোমরা যারা এখানে আসো-
ভিন্নমতে, নৈঃশব্দ্যে লিখে রেখ
মুদ্রিত বিপ্লবের গল্প, রাজার শহর!

প্রদর্শনীর অপর পিঠে
যখন পর্দা নামে;
মঞ্চের নর্তকী মুখের
ময়দা ধুয়ে ফিরে
নিজস্ব অবয়বে;
মঞ্চের ভাড়া উসুল করতে
রিং মাস্টার যখন হিসেবে মত্ত তখন প্রতিকাশে একটি
তারা খসে পড়ার খবর আসে।
একটু আগেই নর্তকীর
দেহবল্লরী আগন্তুকের মনে
কাঁপন ধরিয়েছিল;
সঙ্গমের সুখানুভূতি
নিয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছিল। প্রতিকাশের অন্য ইচ্ছায়
পরাস্ত আগন্তুক ঘরে পৌঁছাবার পূর্বেই
অন্য কোথাও

এক।।
ঘরে মিল্ক কফি নাই
নাই সুগার, নাই টি
মন চায় গিন্নির
ছিড়ে খাই নাইটি। দুই।।
পাওনা টাকা খোঁজতে গেলে
দেবো দেবো বলেন মাসি
মাসির আশায় পথ চেয়ে
আমারতো ভাই গেলো মাস-ই। তিন।।
বাবা মায়ে যত্ন করে
নাম রাখিলা আশীষ
একবার কেউ আদর

কেউ মেঘ হতে চায় বৃষ্টি
কেউ আকাশ নীলে তারা
দক্ষিণা হিমেল হাওয়া বাতাস
হৈমবতী এমন কি বনলতাসেন
অথচ আমার কোন সংজ্ঞা নেই
যেটুকু গন্ধ আছে মাটিময় মাটি কেউ প্রজাপতি ডানায় উড়তে চায়
ময়ূরী পেখম তুলা বাহারি রঙ
টুনটুনি বাসার মত লেবুগাছে বাসা
অথচ আমার গুণতে