৪৪/৪৪ আয়’রে ছেলে আয়’রে মেয়ে
খেলবি তোরা নেচে গেয়ে।
রোজ বিকেলে হবে খেলা
দেখবো সবে সারা বেলা। দারুণ হাসি মজা অতি
ছুটবে সবে নেইকো গতি।
লুকোচুরি খেলবে সবে
ভোজন হবে রাতে তবে। ছোট্টো ছোট্টো ছন্দে ধরে
গানটি তারা যাবে করে।
গানের মেলা ভাঙা যখন
প্রাণে দোলা লাগবে তখন । হাতে হাতে রাখা সারা
নানা খেলা খেলে তারা।
গোল্লাছুট আর

বৃষ্টি এল এই অরণ্যে
উঁচু উঁচুপাইনের মাথা
হাওয়ায় দুলতে থাকে ঘাসে ঘাসে চিকচিকে
জলের অজস্র ফোঁটা
এক হয়ে মাটি ভেজায় কতদিনের শুকনো মাটি
চাতকের মত চেয়ে থাকে
ভিজে সতেজ প্রাণস্পর্শ দোয়েল শ্যামা সুর ধরেছে
রাস্তাঘাট জলে ডুবু ডুবু
উষ্ণতা থেকে শীতলতা পাহাড়ের ঢালু পথ চিরে
নেমে এসে জলের ধারা
পদ্ম শালুক হাসি ছড়ায় পানকৌড়ি আর

ভাবি, বনবাসের প্রতীক হবো। নেবো সকল সৎকারের
ভার। আমার যা কিছু সঞ্চয়, সবকিছু বৃক্ষদের মাঝে
বিলিয়ে দিয়ে, খুঁজবো নিরুদ্দেশ। বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য
নেই আর। খামার পুড়ে গেলে যে কৃষক গালে হাত দিয়ে
হাসে- তার আবার দুঃখ কি! ফাঁকি দিয়ে যে পাখি পিঞ্জর
ভাঙে, তাকে কে ফেরাতে পারে! যারে আঁঁকড়ে

দহন ২৩ বছর পকেটে পুরে এগোয় পাগল
ঝাঁকড়া চুলে লুটোপুটি খায়
আদিম আকাশ
তৈরী করা নকল হাসি কিম্বা
বাকি সব বকোয়াস
*** দহন ২৪ কোথায় যেন একফোঁটা রক্ত ঝরলো কেউ আহা বললো কি! কিম্বা
কোনো উৎসুক চোখ জানলায় কুয়াশায় শুধু বেদনার্ত মুখের মিছিল।
***

৪৪/৪১ জীবন নদে পদে পদে
বাঁধা কত ভাই
জীবন সুখে হাসি মুখে
প্রহর কাটে নাই। জীবন পথে রথে রথে
নানা রকম খেল,
সাথী ভালো জীবন আলো
নইলে দুখের ভেল। জীবন সাথী রাতের বাতি
থাকবে আমার সাথ,
নানা বাঁধা

মাঝখানে কাঁচের দেওয়ালজোড়া অভিমান;
কে কাকে ফেরায়? হাঁটতে হাঁটতে অবিসংবাদিত একটা গোলচক্কর
চারদিকে চারপথ ; কুহকীমায়ার ইশারা।
বেখেয়াল নাজুক হাতের বন্ধন খুলে
কে যে কোন পথ ধরে চলে গেলো!
রেখে যায়নি কোন পদছাপ। এক ঘোরলাল কৃষ্ণচূড়া দুপুর
দূর গোধূলির পথে বেঁকে যেতে যেতে
পিছু ফিরে একবার দেখে নেয়
আর কতো বাকী আছে
রংয়ের প্রলেপ মাখা

ঘাত প্রতিঘাত এর মাঝে
বন্ধুত্বের সৃষ্টি সাগর বয়!
রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও
আত্মার আত্মীয় ঘর বাঁধন ঘর হয়;
মহতের গুণের নাম কি বন্ধু-
ত্যাগের মহিমান্বিত এনে দেয়
বন্ধু থেকে বন্ধুত্ব-
চাঁদের আলো যতদূর দু’চোখ যায়
তার চেয়েও বন্ধুত্বের আলোই সীমাহীন সু-গাঢ়!
বুঝা পুরা সময় তৈরি হয়

যখন আমি তোমার
একান্ত প্রেম কামনায় আত্মমগ্ন;
তখন সমুদ্রের ধূসর মুখবয় শঙ্খচিল
সমুদ্রের ঢেউ, উপরে ওঠা বাজপাখি
আর সোনালী ঈগল আমার ঠোঁট। তখন জীবনের প্রত্যেকটা
বিশেষ মুহূর্ত আমার;
দুরন্ত ছুটে চলা সময়গতি শুধুই আমার। আমার কাছে এসে থমকে যায়
অন্তরে প্রেম জাগে,
ভালবাসা গভীর আচ্ছাদন সাজিয়ে
পূর্ণতায় ছেয়ে নেয়
জীবনের সকল দুর্বিষহ

কতটা কাছে গেলে, খুব কাছে যাওয়া যায়
পাওয়া যায় নিশ্বাসে ছোঁয়া,
কতটা ছুঁয়ে দিলে বল, ওই মন ছোঁয়া যায়,
কতটা পেলে পূর্ণ হয় পাওয়া?

নিঃশব্দের শব্দঋণ জমে আছে
বুকের গভীরে গাঢ় রাতের মত,
চোখের কোণে টলটলে বৃষ্টিজল তবুও
কোথাও বৃষ্টি হয়নি;
অাশাহত স্নিগ্ধতা জেগে আছে অপ্রাপ্তির সবুজ ঘাসে। একদিন সোনালী বিকেলে হলুদ পাখি
হারিয়েছে তার নীড়ে ফেরার স্বাধীন ইচ্ছা,
একদিন ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে দেখি
উঠানের কোলঘেঁষা কৃষ্ণচূড়া গাছটি শুকিয়ে গেছে,
একদিন সিগারেটের

৬৬৬২ মাত্রাবৃত্ত ছন্দ টাকার পিছনে সকলেই ছুটে
হিতাহিত জ্ঞান ভুলে,
পাপের টাকায় পুরো ধরা শেষ
যাই কিরে পাপ ধুলে। টাকার জন্য দূর্নীতি করে
সাধু সেজে আছে বসে
ধরার ভন্ড সকল কিছুই
নিজের জন্য খসে। যত হানাহানি যত খুনাখুনি
সবই টাকার তরে,
মানবের মনে মানবতাহীন
প্রতিটি যে ঘরে ঘরে। দুনিয়ার মোহে জীবন বিরহে
টাকা চাই ভাই টাকা,
পেতে

এই যে ফড়িং হলদে ফুল ছেড়ে
ঘন রক্তের মতো লাল গোলাপে
গিয়ে বসছে। এই যে শিশু খল খল হাসিতে
সুর ছড়িয়ে পৃথিবীকে মায়ায় বাঁধছে।
এইযে ঝর্ণা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে
সমুদ্রের বুকে গিয়ে মিশছে।
এই যে পাখি আনন্দ আশ্রমে
মন খুলে কিচিরমিচির করছে। এই যে
নাইওরি নৌকার

তরল তিমিরে যেন প্লাবিত পৃথিবী
রোদ-স্নানে ফিরে পায় তার সজীবতা;
পাখিদের কলরবে, উচ্ছ্বসিত সবি
মৃদু স্নিগ্ধ সমীরণে নাচে তরুলতা।
উষ্ণ দুপুরে মাটির বুকখানি যেন
হয়ে উঠে ক্লান্ত, হয় অতীব তৃষ্ণার্ত;
পশুপাখি মানুষের কি কষ্ট কখনো
বিকেলের মর্তখানি তবে বড় শান্ত। প্রকৃতির প্রতিরূপ মানব জীবনে
শিশুকাল কাটে যেন আঁধার বিবরে;
ঝলমলে

৩৪৪-৪ স্বরবৃত্ত ছন্দ একটা পথ আঁকড়ে ধরো
জীবন চলার দীর্ঘ রথে
বেশি পথ ধরলে পারে
চলবে ভুলের পথে পথে। পৃথিবীর বুকে গিরি
যেমন আছে নীরব তবে
স্বপ্ন হয় যদি তেমন
তোমার স্বপ্ন সফল হবে। সাফল্য নির্ভর করে
দৃঢ় বিশ্বাস সুন্দর মনে
লক্ষ্যহীন জীবন চলে
এক ঝলকের বৃষ্টি ক্ষণে। মনোবল যাদের ভাঙা
জীবনটা যে সৌরভহীন ফুল
সিদ্ধান্ত যা