বাবা টিয়া গাইছে গান,
আমড়া গাছের ডালে।
ছানাগুলো আশ্রয়ে,
মায়ের বুকের তলে।
রীনা বসে বীনা বাজায়,
মীনা গায় গান।
দীনা বলে পুষবো পাখি,
একটা ধরে আন।
মা শুনে কয় বনের পাখি,
বনেতে মানায়।
বন্দী পাখি হয় যে দুঃখী,
উচিত কাজ নয়।
দীনা বলে ঠিক তবে তাই
বাঁচুক ওরা
আমি ভাষা আন্দোলন দেখিনি
আমি দেখিনি 71
আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি
আমি তার জীবনকে উপলব্ধি করতে পেরেছি
ইতিহাসের মর্মর ধ্বনিত পাতা থেকে…
৭ ই মার্চের রেসকোর্স ময়দানের সেই
মুক্তি সংগ্রামের অমর বাণী
“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম”
স্বাধীনতার সেই অমর বাণী আমাকে উদ্বুদ্ধ
৪৪/৪২
মুজিব হলো শ্রেষ্ঠ নেতা
বাঙালির ওই জন্য,
মুজিবকে যে পেয়ে জাতি
জীবন তবে ধন্য।
মুজিব হলো বাঙালির ওই
স্বাধীনতার জনক,
তার ইতিহাস ওই জগৎ জুড়ে
করছে মাইল ফলক।
মুজিবের ওই নেতৃত্ব ভাই
মুক্ত হলো ভূমি,
মুজিব হলো নক্ষত্র তুল
তোমায় সবাই চুমি।
তোমার জন্য দেশের মানুষ
স্বাধীন ভাবে চ’লে,
মুজিব হলো জাতির পিতা
সারা বিশ্ব ব’লে।
হাজার বর্ষের শ্রেষ্ঠ তুমি
তুমি
৮৬ অক্ষর বৃত্ত ছন্দ
পেত্রার্কীয় সনেট
কখখক/কখখক/গঘগঘগঘ
পশ্চাতের দিনগুলো খুব ছিলো ভালো
হেসেখেলে নানা খেলা সারাদিন কাটে,
গিরিপথ দিয়ে বয়ে গেছি কত হাটে;
পশ্চাতের দিনগুলো প্রাণে খুব আলো।
ইচ্ছে খুশি ঘুরে ফিরে রাগটা যে কালো
পশ্চাতে আছে জীবনে সুখে তো ললাটে
হেনকালে দুখে ভাসে আঁখিজলে পাটে;
নদী তীরে স্নিগ্ধ ভোরে সূর্য প্রভু জ্বালো।
ছেলেবেলা
সুদূর অতীতে আমি রাত জেগে জেগে রূপকথার গল্প,
স্বপ্ন দেখেছি। রাত্রির আকাশ ভরা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে।
বছরের পর বছর ধরে দেখেছি আমি
মৃত্যুর বিরুদ্ধে আলোর ক্রোধ, সে এক মহাক্রোধ।
আমি দেখেছি বৃদ্ধাশ্রম দিনের মত নেতিয়ে পড়া
কিছু মানুষের মুখে দীর্ঘতর অশ্রুপাত।
দেখেছি তাদের জ্বলজ্বলে
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫৪ বার দেখা
| ১৬৫ শব্দ ১টি ছবি
হায় রে আমরা কি উল্টো পান্ডে
ও দেখিকে স্বাধীনতার উল্লাস
আর আমার বুকে বুলেটের রক্ত নদ!
কি বিবেক শূন্যময় আকাশ;
কোনদিন জাগ্রত হবে না?
একটি প্রশ্ন, ভাবনার অন্তরায়
বয়ে যায় হাজার নদ নদী খালবিল।
ধিকার জানাই ঐ হায়নাদের;
উত্তরসূরিদের কথায় ভাবলে
কবিতার লোম
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮৩ বার দেখা
| ৬০ শব্দ ১টি ছবি
‘টিকর বাড়ির টিলা’র গণকবরে
একদিন নিজের কবর দেখেছিলাম;
অনাদরে পড়ে থাকা কবর।
মিউনিসিপাল কর্মী বছরে একবার
সংস্কারের জন্য আসে; বেছে বেছে
মোটাতাজা কবরগুলো মোটাতাজা
করে যায়। জীবিতকালেও দীন ছিলাম।
মৃত্যুর পরেও দরিদ্র রয়ে গেলাম।
একবার বন্যায় সারা শহর তলিয়ে
গেলেও ‘টিকর বাড়ির টিলা’ তার
মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখেছিল। শহরের
সবচেয়ে উঁচু টিবির গৌরবে সেদিন
অগুনতি
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫১ বার দেখা
| ১৫৬ শব্দ
দেবতার মন্দির দেবতায় ভেঙেছে
আমার তোমার যায় আসে কী,
যার আদেশ ছাড়া নড়ে না পাতা
মন্দির ভাঙ্গার সাহস কারোর হবে কি?
তোমরা দুঃখ কেন করো লাঠি কেন ধরো
প্রতিবাদ হানাহানি-ই-বা কেন করো,
হয় যদি দেবতার মন্দির ধৈর্য ধরো
নিশ্চয়ই হবে সাজা একটু সবুর করো!
যার মন্দির তিনিই
রাগ হয় না
কিম্বা ঘেন্না, কিছুই না
শুধু আপসোস,
বুঝলে না, তুমি জানলেও না
শুধু রাবনের চরিত্রে আমায় ধারন করো
কিন্তু এ ক্ষিতির মাঝে পূর্ণিমার শীতলতা
কখনই অনুভব করতে চাওনি,
এ আমার ব্যর্থতা,
একান্ত ভালবাসার নিরস পরাজয়।
নির্বাসিত একাকী যাত্রার লগ্নতায়
ফের আমায় রুদ্র করে, রুক্ষ করে
দু’চোখের প্রান্তর
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬৬ বার দেখা
| ৮১ শব্দ ১টি ছবি
অভিন্ন ভালবাসা গুলো নেকড়ের মতো
চলমান- কখনো হিংস্র- কখনো নীরবতা
আকাশময় যেনো ঝাঁঝাল পূর্ণিমার চাঁদ!
তবুও ভালবাসার সময় এখন অগুণতিক
অথচ কাঠ পোড়া মন বুঝলই না;
বনও নেকড়ের মতো আচারণ করল
শোকাহত সময়ের উঠানেও ঘৃণা
এ এক অন্যজীবন তিক্ত ময় বীণা!
ফলে এক রক্ত নদ, রক্ত বালুচর সৃষ্টি
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৪ বার দেখা
| ৫১ শব্দ ১টি ছবি