সেই মেয়েটি
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
কৃত্তিকাছন্দ ৩৩
৪ শব্দ
আজি আমি জানি – প্রাণ সাথী মানি
সদা হাতে রেখে হাত,
প্রাণ পাখি তুমি -সদা আমি চুমি
কেটে যাবে শত রাত।
এক সাথে থাকি – চোখে চোখ রাখি
সদা ভাবি তোমা
প্রতীক্ষিত পাখি
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪৪/৪২
আমি যাকে ভালোবাসি
তার আশাতে থাকি,
কাতর স্বরে বিজন ঘরে
তারে আমি ডাকি।
যার আশাতে প্রতি প্রহর
দুয়ার খুলে রাখি,
যার ফোনের ওই কলের জন্য
রাত জাগা ওই পাখি।
বিজন ঘরে একলা বসে
ভাবি পাখির কথা,
কথা ছিলো আসবে বোলে
দিলো প্রাণে ব্যথা।
প্রতীক্ষিত পাখির কথা
পড়ে শুধু মনে,
কেন সে যে এমন করে
ভাবছি
পাল্টে যাওয়া নদীর শরীর আজ
জোয়ার ভাটায় মাটির শরীর ভাঙ্গে,
অঙ্গনে থাকা কনক সুগন্ধ হৃদয়;
থেকে থেকে সুখের স্বপ্ন আঁকে।
স্বপ্নে দেখা সকল সুখের দিন
বসবাস করে প্রলয় জতুগৃহে
সব সুখ বন্দী হয় না খাঁচায়
কিছু ভালোবাসা শব হয়ে যায় ভুলে।
অতলান্ত শব্দের গভীরতায়
জীবন তৃষ্ণা আঁধারের পথে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮১ বার দেখা
| ১০২ শব্দ ১টি ছবি
তার দুকোটি তিরিশ লক্ষ কারণ আছে
কেন আমি ভিক্ষে করব
চুরি করব
বা ধার করব
তোমার মানুষটাকে
এক রাত বা সারা জীবনের জন্যে
ও-আমার বোন, আমার মেয়ে
দায়িত্ব বিষয়ে : বড় বেশি, বড্ড তাড়াতাড়ি
খুব অল্প, খুবই দেরিতে/ক্যারোলিন বিয়ার্ড হুইটলো
অজ্ঞতা আর অনিয়ম থেকে তোমার জন্ম হয়েছিল
তোমার জন্ম হয়েছিল অস্বচ্ছন্দে
ঋতুস্রাব এমন এক
এক সময় অলীকতায় করলাম আমি শেষ;
এই পৃথিবীর ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তর সব দেশ!
কোথাও খুঁজে পাইনি আমি মনুষ্যরূপী বেশ
যেথা যায় পাগল হই, অর্ধ শ্বাসে মৃত্য রই!
থাকলেও মুখ, কিছু বলার নেই কো ক্ষমতা
এইতো আজ, চলছে সমাজ, ভগ্ন মানবতা।
স্রষ্টার কিছু নেইকো দেখছি মন্দ কী অমিল
সবার
আমরা কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি
নিজেরাই ভাল করে জানি না-
খাড়াই- পাকিস্তান, আফগান, তালেবান
এমনকি ইন্ডিয়া কলকাতা, আমেরিকা
অথচ লক্ষ কোটি রক্ত গড়া-
দেশ মা ভাবিই না!
শুধু শুধু ভাইয়ে- ভাইয়ে বিদ্বেষ
মারামারি, ফাটাফাটি, দলাদলি-
এই নিয়েই চলছি- কোথায় আছি?
তাও সঠিক জানার চেষ্টাও করি না;
এই তো
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪১৫ বার দেখা
| ৭৪ শব্দ ১টি ছবি
বীর
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৪৪/৪১
বীরত্ব যার যুদ্ধে ক্ষেত্রে
নয়তো আসল বীর,
রাগের সময় রাগ দমিয়ে
উচু রাখে শির।
অতি রাগে ক্ষতি আসে
বিজ্ঞজনে কয়,
অতি রাগলে সেইজনই তো
গভীর জ্ঞানী নয়।
রাগের ফলটা বড় কঠিন
জানে সবাই ভাই,
রাগের মতো বড় পাষাণ
আর তো কিছু নাই।
যুদ্ধে ক্ষেত্রের বীরত্বের তো
অতি সহজ কাজ,
রাগ দমাতে গেলে মাথায়
ভেঙে পড়ে বাজ।
আগুন
শ্রাবণের বৃষ্টির দিন
৪৪৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
শ্রাবণের ওই সন্ধ্যা বেলা ফুলের সৌরভ মনে
গৃহবধূ প্রদীপ হাতে যায় রে ক্ষণে ক্ষণে।
সন্ধ্যা বেলায় নানা খেলা সাথে পাখি ডাকে
গভীর রাতে জোনাক জ্বলে শেয়ালেরা হাঁকে।
সন্ধ্যা বেলায় ঝিঁঝির ডাকে মনটা ভীষণ ভালো
আঁধার পথে চলে বধু সাথে জোনাক আলো।
ফুলের
বই গুলোর ভাগ্যে কি ঘটেছিল!
কিছু সাথে নিয়ে এসেছিলাম। ঠিক এক বছর পর ফিরে গিয়ে দেখি কিছু পোকার আক্রমনের মুখে, কিছু বেহাত। বইয়ের চেয়ে বেশি খারাপ লাগছে কিছু চিঠির জন্য। বইগুলো ইচ্ছে করলেই আবার সংগ্রহ করা যাবে অবশ্য সেই রকম ইচ্ছে
জীবন|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯৮ বার দেখা
| ৪৬২ শব্দ ১টি ছবি