সাল ১৯৭৮ (আমার অদেখা)
ঢাকা মেডিকেলের যৌতুকলোভী ও চরিত্রহীন ডাক্তার ইকবালকে কাজের মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে স্ত্রী সালেহা।
ফলাফল – ইকবাল ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সালেহাকে। বলে আত্মহত্যা। অস্থায়ী বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ
আমার দেশ
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ৮৬
প্রজাপতি ধেয়ে চলে পারিজাত ফুলে
পরাগায়ন করাবে সব আশা ভুলে,
সবুজ শ্যামল ছায়া মনে বহু মায়া
নদীর জলে ভাসতে দেখি মাছে কায়া।
কি সুন্দর যে আমার জন্মভূমি দেশ
যার রূপের শোভার কভু নেই শেষ,
গাছে গাছে ফুলে ফলে পাখি গায় কত
নদী জলে টলমল
প্রবল ঘুর্ণাবর্তে
সবুজ পাতারা উড়ছিল
উড়ছিল ঘাস
উড়ছিল খড়কুটো
সুদূর অতীত থেকে————
সবুজ ঘাসগুলো ধুসর খড়কুটোগুলো
জড়ো হচ্ছিল চারপাশে স্তুপ থেকে স্তুপাকারে।
পৃথিবীটা ঠিক তেমনি তো আছে আজো
রোগাক্রান্ত মানুষের বিষাক্ত নিঃশ্বাস
আজো বুকে টেনে নেয় সবুজ পাতারা।
সেই আনন্দে উল্লসিত হওয়া আছে
প্রতীক্ষার ব্যাকুলতা আছে
ক্ষণে ক্ষণে যন্ত্রনাক্ত হওয়া আছে।
সব ঠিক তেমনিতো আছে।
সময় কি মুছে
পৃথিবীর মুক্ত আকাশ পানে চেয়ে আছি,
কোন একটি পথ আমাকে অতিক্রম করতেই হবে।
যে পথ বেয়ে পৌঁছে যেতে পারব
আমার আপনার অস্তিত্বের দিকে।
পৃথিবীর সুসুপ্ত সেই পথ ধরে
মুক্ত সেই আকাশ পানে তাকিয়ে
বলতে পারবো, এইতো সেই কাঙ্খিত স্থান
যেখানে আমার আপনার জগৎ
এক
এগারো শতকের মানুষ কাজী শু’এব ছিলেন কাবুলের এক রাজ-পরিবারের সদস্য। অন্যমত বলে, রাজ-আমাত্য তিনি। আফগানিস্তানে তখন শাহ শারুখের শাসন। কিন্তু গজনীর মামুদ কাবুল দখল করে নিতেই পরিবারটির কপাল পুড়লো। এখনকার পাকিস্তানে চলে এলেন এই কোরান-সাহিত্যে সুপণ্ডিত ভদ্রলোক, আর শেষ পর্যন্ত ডেরা বাঁধলেন লাহোরের কছাকাছি
দ্বিতীয়বার যখন কতলের জন্য নিয়ে গেল
কোন অজুহাত দেখাতে পারলাম না
প্রথমবারের অপরাধও অত্যন্ত গুরুতর ছিল
চাইলে তারা প্রথমেই কতল করে ফেলতে পারতো,
কিন্তু তাদের দয়া শরীর; সতর্ক করে
মাফ করে দিল। দ্বিতীয়বার মাফ পাব না জানতাম
কিন্তু অভ্যাস; অনেক চেষ্টার পরেও নিজের বিশ্বাস থেকে
সরে
নতুন দিবস
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
অরিত্রিক কবিতা ৮৬
নব সাজে নব রূপে চেয়ে আছে আমি
বিকেলে আরতি চুপে জানে অন্তর্যামী।
বসন্তের আগমনে অলি ছোটে ফুলে
প্রেমের ব্যথা ফাগুনে মনে দু দু কূলে।
ফুলের সৌরভ মনে দীর্ঘ পথে চলা
নাহি আসে সাথে ক্ষণে কি জানি কি বলা।
প্রেমের পরশ পেয়ে উড়ুউড়ু মন
সদা যায়
গোয়াল ঘরে যখন আগুন লাগল তখন সোহেল তার মায়ের সাথে তর্ক করছিল।
গফুর আর সোহেলের চিন্তা ভাবনায় অনেক মিল থাকলেও মায়ের সাথে সোহেলের প্রায়ই তর্ক বেধে যায়। গফুরের মা যখন বলল, তগো ঢং দেইখ্খা আর বাচি না। বলি গফুর কি একলাই বাপ অইব নাকি? দুইন্না
জীবন নদীর ছন্দ
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৫৫/৫২ মাত্রা বৃত্ত
ছন্দ নিবে বললো নদী
দারুণ কলতান,
ছুটে চলার গতিই পাই
মনের সুখে গান।
নদীর মতো জীবন গতি
যাদের আছে ভাই,
সুখের সাথে দুখের কোনো
সতত জুড়ি নাই।
নদী ছন্দে মন খুশিতে
ভীষণ লাগে ভালো,
স্থির জীবনগুলোয় হলো
তিমির মতো কালো।
জীবনপথে আলোর দিশে
পাই নদীর কাছে,
সুখীজনের সাথেই নদী
ছায়ার মতো আছে।
দারুণ
জীবন কাব্যের ন্যায়
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
অক্ষর বৃত্ত ৮৬ (মালঝাঁপ)
করে চাষ বারো মাস ক্ষেতে ঘাস আছে
আমি যাই ক্ষেতে ভাই কাজ নাই পাছে।
গাছপালা ভেঙে ঢালা নদীনালা বন
পূর্ব পাশে পাখি আসে নিত্য ভাসে সন।
সারাবেলা করে খেলা রঙে মেলা হবে
মনে কোণে ক্ষণে ক্ষণে পরে সনে তবে।
ক্ষণ বৃষ্টি অনাসৃষ্টি