এই যে শুনুন, আপনাকে বলছি
আমাকে বলছেন?
জ্বি, আপনার নামটা কি আমি জানতে পারি?
কেন বলুন তো?
আমার নাম দিয়ে আপনার কি দরকার?
আচ্ছা বিরক্ত হচ্ছেন কেন?
আপনার নাম আমার জানা দরকার
বিশ্বাস করুন :
আগে নাম বলুন পরে কারণ বলছি,
ওহ্! ঠিক আছে
আমি নীলা।
ওহ্! তাই বলুন কি
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৩৩ বার দেখা
| ৯১ শব্দ ১টি ছবি
আমার বুকে কান্না বৃষ্টি হয় না
আমি কী তবে সীমার হয়ে যাচ্ছি!
কষ্টে কাতরাতে থাকে মানুষ
মায়া জাগে না, আমি কি তবে
পাষাণ হয়ে যাচ্ছি!
চারিদিকে নিদারুণ কাল, গ্রহণের সূর্য
ছড়াচ্ছে উত্তাপ, আমি দিব্যি
সঙ্গম শেষে চুমুক দিচ্ছি
আয়েশের চা’য়ে।
কিছু কী করার কথা ছিল, ব্যতিক্রমী
কিছু! জানি না, মানুষের মত
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৪৭ বার দেখা
| ১০০ শব্দ
ফিরে দেখা অতীতঃ
যারা হজ্ব কিংবা ওমরা করতে গিয়েছেন তারা দেখেছেন অত্যন্ত ছোট্ট একটা পাখি মসজিদুল হারামের ভিতর উড়াউড়ি করতে এবং মসজিদের ভিতরে ছোট ছোট মাটির ঘরে বসবাস করতে আর এই পাখিটিই আবা-বীল। যার কাজ এবং বর্ণনা কোরানে মুসলিম মাত্রই
সমকালীন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৯ বার দেখা
| ১১৬৬ শব্দ ১টি ছবি
এই ভূমিতে লুটিয়ে পড়া শিশুদের মাথার খুলি
পাথর হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই!
যে পাখিটি সিরিয়া থেকে উড়ে এসেছিল—
একটি পা হারিয়ে সে’ও এখন আর নির্বাক
তাকায় না আকাশের দিকে!
গাজা উপত্যকার আনাচে কানাচে যে গোলাপগুলো
তুমি দেখছ—
তা’তে লেগে আছে বিধবার সর্বশেষ রক্তের দাগ!
সাদা ভবনটির লনে দাঁড়িয়ে চার বছর পর পর
খুনির
আমি কখনো কবি
কখনো তুলি
কখনো ভাস্করের জীবন্ত নদী।
আমি কখনো মানুষ
কখনো না-মানুষ
কখনো ভালবাসার ছবি।
আমি কখনো প্রেমিক
কখনো জল
কখনো ছায়ায় বিদ্রোহী।
আমি প্রেমিকের নিশানায়
দৃষ্টি অনলে
মানুষ মননে অপরাধী।
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৯ বার দেখা
| ২২ শব্দ ১টি ছবি
জাগো নবীন
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ ৬৬/৬২
বিবেক জাগাও নবীন সমাজ
মুক্তির পথ ধরো,
মনের আবেগ কলুষতা সব
দূর করো দূর করো।
তোমরা জাগলে পৃথিবীর পথে
হানা দেবে না তো কেউ,
তোমাদের শ্রম তোমাদের বল
রূখে দেবে সব ঢেউ।
তোমাদের কথা তোমাদের কাজে
পৃথিবীর হবে জয়,
তোমরা সবাই বসে থাকলে গো
হবে যেন সব ক্ষয়।
তোমাদের শ্রম
স্বার্থপর ভুবন
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৫৫/৫২
ধরার বুকে স্বার্থছাড়া
কাজ করে না কেউ,
নিজ স্বার্থ কুক্ষিগত
করতে তোলে ঢেউ।
নিজ স্বার্থ হাসিল করে
সকল জ্ঞান ভুলে,
ধরার বুকে চলেন তিনি
বুকটি তার ফুলে।
স্বার্থ নিজে করার তরে
ভোলে আপন পর,
তখন তিনি রাজার হালে
বাঁধেন বড় ঘর।
স্বার্থপর এ দুনিয়াতে
সুখে মেলে না ভাই,
সুখের পথে খুঁজে যে মরি
আমি অধম
[পুশকিনের এই কবিতাটা কোথাও যেন উর্দু শায়েরির সঙ্গে মিলে যায়।
আমার খুব প্রিয়। বাংলায় ভাবানুবাদের এক অক্ষম চেষ্টা চালানো হয়েছে]
১
ভালোবেসেছিলাম তোমাকে। সেই প্রেম মৃত্যু-অস্বীকারী।
কে জানে হয়তো আজও বুকে ছটফট জ্বলছে চিঙ্গারি
২
প্রার্থনা রাখি, কষ্ট পেয়ো না। নিজে থেকে আমি কোনও দিন
বিশ্বাস করো, দিইনি তোমাকে
মাহিন বড়ুয়া জানতে চেয়েছে,
‘তুমি কি সত্যকে ভয় পাও?’
কোন সত্য? মিথ্যে দিয়ে যা আড়াল করা?
সত্য এক ঘণ বনের মিথজ রোদ,
আলোময় দিক যাপনে নিবিড় প্রাপ্তি আর
উতল শান্তির মিঠে আয়ুর্বেদ বলপ্রদক।
এরপর আমি পৌঁছে গেলাম
সূর্য যেখানে মেঘ ভাঙ্গে জ্বালাময়
আশ্চর্য জল চুঁইয়ে পড়া রেখায় শান্তিকে চিনলাম
মিথ্যে তবে মিছে-সত্যের সাথে
অনেক শুনেছি তাঁর কথা, এই দগ্ধ সময়ে
মনে পড়ে আজ। কাকতাড়ুয়া বসন্ত থেমে গিয়ে
ঠুনকো দুপুরে ক্লান্ত দেখিয়েছিল অনাহূত পথ,
কেবল ধূলোর দেরাজ খুলে উড়েছিল এক
দীর্ঘ ঠিকানা; সে আমি, সে আমার সুহৃদ যন্ত্রণা!
জানালার বাইরে যে বৃক্ষ
তার ডালে পাখি,
এইমাত্র দেখলাম উড়ে গেল।
বৃষ্টি শুরু হয়েছে
কাঁপছে গাছের পাতা;
কাঁপছে জানালার পর্দা।
পাখি ফিরেছে, গোটানো ডানা
ভিজে জড়সড়;
তবু অবারিত আকাশে
উড়তে কোন বাঁধা নেই।
পাখির অবাধ স্বাধীনতা
চাইলেই পারে অন্য আকাশে উড়তে।
আমার স্বাধীনতাটুকু বিছানা
বন্দী হয়ে আছে! গোটানো পর্দার ওপাশে
বৃক্ষ; পেছনে একটুকুন মাঠ।
আড়াই