আমার অনেক কিছু হওয়ার কথা ছিল
অনেক ভারী কিছু, শৈশবে
মিতালীরা বাড়ি যেত। বড়োসড়ো ওজনদার
তালা সদর দরজায় ঝুলিয়ে
দুই-তিন সপ্তাহের জন্য তারা হাপিস হয়ে যেত;
ইচ্ছে করতো আমি পাহারাদার হই,
তাদের সদর দরজায় তালা হয়ে ঝুলে থাকি।
চালের আড়তে বিশ কিলো ওজনের
বাটখারা খুব পছন্দ ছিল,
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭০ বার দেখা
| ১৬৭ শব্দ
৪৪/৪২
সারাটা দিন সারাটা ক্ষণ
নৌকা নিয়ে কাটে,
হিজলতলী নদী বেয়ে
যাবো আমি হাঁটে।
কিনবো আমি নানা জিনিস
বিক্রি করবো কিছু,
সন্তানেরা ঘুরছে সদা
আমার পিছু পিছু।
রোজ বিকেলে দলের সাথে
ভাটিয়ালি গানে,
ভাসি আমি নৌকা নিয়ে
শুধুই পেটে টানে।
অল্প কিছু স্বপ্ন নিয়ে
জীবন পথে চলা,
দীনতার ওই কথা কি ভাই
যাবে কভু বলা।
যেমন আছি ভালো আছি
এই না ধরার
খুকিমণির পুতুল বিয়ে
কাঁন্নায় ভাঙে খুকির হিয়ে
দেখতে সুন্দর ছেলে,
বিয়ে বাড়ির ছেলে মেয়ে
দেখে সবাই বর’কে চেয়ে
আঁখি দুইটি মেলে।
রবের পক্ষে নানা কথা
খুকির মনে লাগে ব্যথা
মনটা ভীষণ কালো,
কোকিল গাইছে প্রাণটা খুলে
রব যে চলে হেলে দুলে
দেখতে লাগে ভালো।
মায়ের কাছে খুকির বায়না
মেয়ের জন্য কিছু চাইনা
হেসে খেলে চলে,
ভীষণ ভালো পুতুল কন্যা
আদর
৫৫/৫২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
মাগো তোমার মুখের হাসি
আমার লাগে ভালো,
মুক্তা ঝরে সেই হাসিতে
জীবন করে আলো।
মুখে তোমার মিষ্টি কথা
আঁখি স্বপ্নে ঘেরা,
জগৎ মাঝে তুমি যে মাগো
আমার কাছে সেরা।
দুখের কথা হাসি মুখে যে
বলতে মাগো তুমি ,
আমার কাছে তুমি তো মাগো
স্বাধীন মায়া ভুমি।
তোমার মতো মমতাময়ী
ধরার
আমার বিশ্বাস হয়না এতটা ভুল কেউ হতে পারে
হাতের ভেতর গোটা নদী পুরে দিলেও
কেউ ছুঁড়ে ফেলতে পারে এত এত মাছ।
আমি তার নীতির কিনারে গিয়ে দাঁড়াই
রেলিং ধরে উবু হয়ে মুখে রক্ত তুলি আর
লেখা হয়ে যেতে থাকি কারো দীনতার দলিলে।
এই যে ফুটে ওঠা শৃঙ্খলিত একমুঠো হাত
যাকে বাঘের
ভালবাসার সাতকাহনে হলো না ঘর বাঁধা
তরী আমার কূলে ডুবেছে তা জেনেও স্বপ্ন দেখি
আমি আসলেই আস্ত গাধা।
কি আশার স্বপ্ন দেখি
কিসে তারে ভাবি আপন,
মন তো মরে গেছে
মুড়ে আছে সাদা কাফন।
ভালবাসার সাতকাহনে
আমি যে নাই,
আমি তো ভস্ম- ছাই।
ভালবাসার সাতকাহনে
কে করবে রাজত্ব?
১
মৃন্ময়ী, এইযে শুনছো কি
দ্বৈতনীতি ছেড়ে বেরিয়ে আসো
মুখোশের আড়াল থেকে।
এখানে রয়েছে খোলা মাঠ
সবুজে ভরা বিচিত্রতার রঙ্গিন সাজ
এখানে হৃদয় ছোঁয়ার প্রয়োজন নেই
ছুঁয়ে যাবে সবুজ প্রকৃতি বটবৃক্ষ আরো কত কি?
এই সবতো, তোমার প্রয়োজন নেই
এসব তো শুধু অপ্রয়োজনীয়’ বাচনভঙ্গি
এসব শিল্পের নগরী প্রয়োজন শিল্পীর
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮৭ বার দেখা
| ১৩২ শব্দ ১টি ছবি
শব্দের সন্ধানে হেঁটে যান প্রিয় পিতামহ
তাঁদের পায়ের ছাপে ভেসে যায় কাল বৃন্দাবন
আমিও খুঁড়েছি কতো শিলাবুকে সমান দহন
দেখেছি ঋতুর বীজে সূর্যের সবুজ বিগ্রহ।
জ্বলে উঠে এই ভূমে দাঁড়িয়েছি আরো বহুবার
কবির আকাশ থাকে স্মৃতিময় নিজ করতলে
ডাক দিলে কাছে আসে যদি কোনো মহান সকালে
তবেই নমিত সুখে সাথী হয়
৪৪/৪১ স্বরবৃত্ত ছন্দ
ভুল পথেতে পা বাড়ালে
পিছলে পরার ভয়,
ভুলের মাশুল দিতে গেলে
পুরো জীবন ক্ষয়।
ভুলের পথে চললে তবে
প্রাণে আসে দুখ,
ভুলের পথে আসে নাকো
কোনোদিনও সুখ।
ভুলে যাদের জীবন শুরু
ভুলে তাদের শেষ,
শুদ্ধ জীবন নদে তবে
থাকে না দুখ রেশ।
ভুল করা তো অতি সহজ
শুদ্ধ জনে কয়,
জীবন মুখে হয় না
তবুও চেয়ে থাকি ভাঙাচোরা ধূসর বিষন্ন রাস্তার ‘পর
কত গাড়ি বাজপাখির মতো সাঁই সাঁই করে চলে যায়
চোরাবাগানে মালিকের অজান্তে ফুটে থাকে কত ফুল
তবুও জীবন রক্তের দাগ মোছা যায় না কোনো ভুল!
এমনিভাবে এক এক করে শব্দের পাখা গজায়
উদ্ভট অভিধান এসব লিখে রাখে রোজনামচায়
পই পই
তুমি সহজ সরল স্বাভাবিক
তাতেই সুন্দর
অনিন্দ্য মাধুর্যতায় ফুটে থাকো যেন
আমি তেমনটাই ভালোবাসি
ঐশীনিষ্ঠ!
দুষ্টুমিতে হাস্যোজ্জ্বল কপোলখানা
লাজুক লাজুক মমতায় ঢেকে থাকে
জানো ওতেই তুমি অনন্যা
অমনিই এসো এবারের জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায়
নদীর ধারে হাওয়ায় ভাসাবো সমস্ত আড়ষ্টতা!
আমি তবে আসবো সেজে
নীল ফতুয়ায় সাদা পায়জামা আর সৌগন্ধী মাখা হয়ে
অন্যথা তোমার দেখায় আমার সমস্ত
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
বন্ধু তোমার জীবনটা ওই
কাটুক হাসি গানে,
মিলেমিশে থেকো তুমি
সবার মনে প্রাণে।
তোমার মনের সকল চাওয়া
পূর্ণ করুক প্রভু,
দুঃখের দিনে সবার সাথে
মিলে থেকো তবু।
চলো না আর স্বপ্নবিহীন
জীবন পথে তবে,
জীবন যুদ্ধ হেরে যাবে
তুমি নিখিল ভবে ।
স্বপ্নগুলো আঁকড়ে ধরো
জীবন চলার পথে,
ভালো সঙ্গী
এমন আহত দু’চোখ দেখতো
অচেতন হয়ে যেতো এই জীবন সংসার
এমন রক্তক্ষরণ যদি বুঝতো
বালুচরে কান ফাটা স্রোতের শব্দ বয়ে যেতো
অথচ ভাবি না দূরের মাটির
ঘাস ফুল শুধু মনে বিদ্বেষ রোজ প্রকাশ করি
কোন কবিতার ভাষায় কিংবা
রাগান্বিত শিমুল পলাশের রক্ত ঝরা ভাষায়
কেমন করে দেখো বন
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬১ বার দেখা
| ৫৯ শব্দ ১টি ছবি