৮৬ অক্ষর বৃত্ত ছন্দ চেপে রাখা আঁখি জলে ভাসে সহোদর
কটুকাটব্য করেছে সারা দিনভর।
ফুটিলো প্রভাতে ফুল কেটে গেলো নিশি
বিষাদ বেদনাগ্রস্ত তপোবনে ঋষি। বিষাদ বেদনা ভরা প্রতি নর নারী
বিবাদেই সম্পর্কটা ভাঙে তাড়াতাড়ি।
সহোদরের মতো রে আপন কেহ নাই
গলাগলি ভাব করে চলে তো সবাই। ঝরিয়ো না নয়নের জলে পরে জন্য
পাবে শুধু

আমার অত্যন্ত প্রিয় কবি পাবলো নেরুদার আজ একশো সতেরোতম জন্মদিন। এই বছরটি হল ওঁর নোবেল পুরস্কার লাভের পঞ্চাশতম বছর। তাঁর একটি কবিতার অনুবাদ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুবাদ : রিয়া চক্রবর্তী বেশি দূর যেওনা কখনো, এক দিনের জন্যেও না।
কারণ
কারণ, আমি

প্রিয়তমা,
ভালোবাসা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে হয়
যেভাবে ক্ষমতা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়।
কারো জীবনে যদি আপনি
প্রভাব বিস্তার করতে যান
তবে অবশ্যই তাকে ভালোবাসার
মাধ্যমেই প্রভাবিত করতে হবে। বন্ধুত্ব ভালবাসা ও সম্পর্কের মধ্যে
যেমন বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার সম্পর্কের
অপব্যবহার হয়
তেমনি সেখানে একটা দৃষ্টিনন্দন
আসনও তৈরি করা যায়’ সে মানুষের

তুমি বললে মা বাড়ীতে নেই, এসো গল্প করি-
অতঃপর: আমরা কাছে আসার নাম করে শরীর ছুঁলাম।
তোমার উষ্ঠের পাশে পুষ্পতুল্য তিলটি বাড়িয়ে দিয়েছিলো আমার চুম্বনের ইচ্ছেশক্তি।
বুঝতে পেরে লজ্জায় গ্রীবা বাঁকিয়ে অন্যদিকে চোখ ফেরালে তুমি,
লজ্জা নারীকে রূপসী করে তোলে;
তোমাকে তারও অধিক রূপসী
আগুন নিয়ে খেলতে কারনা ভালো লাগে!
পুড়ে

তোমাকে ভাগ করা যায় না। রীতিমতো-
সমর্থন করে গেলেও অনেকেই উদাসীন
কথাবার্তা ছড়ায়, সাংঘাতিক শ্রবণা সুর-
এত মাংসল হৃতিক পীড়া দেয় সময়-সময়
এসবের প্রসঙ্গ এলে অনেকটা বোঝাপড়া
আঙুরলতার মতো পেঁচিয়ে ওঠে-নগরে অথচ যৌবন শিয়রে কত বনপাখি ডাকে
আশ্বিন কুয়াশায় ভিজে ওঠে একপ্রকার
দূরের কোনো স্থির সুর, অনাত্মীয়ের মতো
উঁচু-নিচু শরীর ছুঁইতে ফেরে প্রেমিকেরা-
মফস্বলি

গ্রাম্ভারি হয়ে সর্বজ্ঞের মত দিনরাত বসে থাকি
পাতাল খুঁড়ে বের করে আনব কবিতার রসদ
ফুলে ফলে শস্যে ভরে যাবে আমার কবিতার ময়দান
বন্ধুকে এই মাঠে কবেই পিঠ দেখিয়েছি আমার অমলিন জীবন ইতিহাস
বন্ধুর ছোঁয়ায় পাছে দূষিত হয় তাই ছয় ফুট দূরত্ব রাখি।

ওই নীল আকাশে আছে আমার জমানো যত কথা। কিছু তবুও থেকে যায় অনুক্ত। কিছু নিজের কাছে আগলে রাখি। আর ওই যে টুকরো টুকরো স্বাধীন মেঘ, তাদের মাঝে লুকিয়ে রাখি কিছু ব্যথা। তারা ভেসে চলে নিজেদের মতো। আমার ভালোবাসাও তো আকাশের

৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ বহুদিন পর বাজতে শুনি
একতারার ওই শব্দ,
বাংলার বুকে আছে থাকবে
অব্দের পর অব্দ। একতারার ওই দারুণ সুরে
বাউলদের ওই গানে
একতারাটা আমার মনে
বাজে ক্ষণে ক্ষণে। বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি যে
যায় না কভু ভোলা,
বারে বারে এসে তবে
মনে দেয়’রে দোলা। বাউলগান আর লোকগীতি
দেশের কথা বলে,
সেই

আমি কি বিষণ্ন হয়ে আছি?
আমি তো বিষণ্ন হয়ে আছি।
ঠোঁটের ওপরে ভ্যানিশিং জলরংয়ে
এঁকে রাখা হাসির নকল টুকরো
হাতের মুঠোয় এগিয়ে দেওয়া
শুভেচ্ছা সন্দেশ কেউই বোঝেনি
ঠিক কতখানি ভেজাল ছিল।
আমি তো বিষগমণ করেছি
এই পান্থবেলায়, দুহাত জড়ো করে
ওয়েলকাম করেছি তোমার
অনাকাঙ্খিত গমণ; এই অবেলায়
দরজার বাইরে জুতো খুলে
কথারা অকালমৃত হয়:আমি তো
বিষণ্নই আছি,

প্রাক্তণ কথারা আমার প্রাক্তণ কথারা এখন আছড়ে পরে
মনের দেউড়িতে
আমি নিথর বালিয়ারির উঠোন এক,
আমাতে নেমে আসে দুঃসময়ের রোদ।
প্রাক্তণ কথারা লিখে রাখে বাতাসে-
বুনোচোখে রোম্যান্সগাঁথুনি কিছু মহুর্ত। নাকডুবো জলে ভেসে আসা স্বাক্ষীমাছ
এবারও গিলে নেবে পোড়ারুটির তাপসমূহ-
পোড়া রুটি মানে পাঁজরভাঙ্গার কষ্টের থালা আমি তো কথাদের ভিরে ব্যর্থ এক মেঘ,
বৃষ্টি নামলে আমিও

ব্যান্ডেজ
দুটো পায়ে
বুকে
এবং সারামুখে
জীবন এবং যৌবনভিত্তিক কথারা ডুব দিয়েছে মাত্র ঐ দিকে হুলস্থুল কান্ড
বৃক্ষসব খুলে বসেছে গুজবের বাজার
বর্ষা নিচ্ছে শীতের বুকের মাপ
জানালা লাগিয়ে ঘুমিয়ে গেল
আমার ব্যক্তিগত বসন্ত যার মগজে ব্যান্ডেজ তারপর যা হবার তাই হলো
একটা বুলডোজার চিরজীবন দস্যুতা করে গেল প্রতিবেশীর সাথে।

বৈদিক সনেট বাবা-ই আমার ভালো খেলা সাথী
বাবা দিবারাত্রি স্বপ্ন বলে কত
জীবন চলার পথে বাধা আসে
আছে মোরে বাবা নাহি বন্ধু অত। মনের সকল আমার যে কথা
আমি বলি বাবা তুমি হলে আলো
জীবন সুখের উল্লাস কাঁপানো
তুমি হলে মোরে সবে থেকে ভালো। বাবা তুমি আমা মনে
স্বপ্ন

তোমাদের সংলাপ থেকে আমার নাম মুছে ফেলতে পারো নি,
সে কৃতিত্ব আমার নয়। বরং সেই সমুদ্রের গান শোনে যে পাখি
উড়ে গিয়েছিল উত্তরে, আমি তাকে বলে দিয়েছিলাম
আমার প্রিয় পতঙ্গেরা যেন নীলান্তেই খুঁজে পায় আমার নাম,
তাদের রিসাইকেল বিনেও যেন খুঁজে পায় আমার সদ্য
ডিলিট করা ছবি কিংবা আমার

কত ছবি রঙতুলি ভাবতেই অবাক
শুধু শুধু্ই আমাকে সাগর বানানও !
যখন ঢেউ তুলি- ভাঙ্গি মাটির ঘর বাড়ি
তখন কোথায় হারিয়ে যাই!
সে বলে উঠে ভাবনার চোরাবালি প্রান্তর-
অথচ হাঁটু পানি থৈ থৈ; এখন আবার বালুচর জাগাতে বলে
তাহলে কে আমি