আমি নিরবে নিরুদ্দেশে
গোপন হয়ে যাব।
দেখা এই অস্তিত্ব থাকবে না আর। লোকালয়ের ল্যাম্পপোস্টের বাতি
জ্বলে যদি থাকে সারারাত
আমার এই হাত দুটো
কর্মের ফাঁক গলে, লেখবেনা আর; তারপর, শোরগোলের পথ ধরে
আলোয় হেসে খেলে জাগবেনা আর। বন্ধুদের আড্ডায়
হবেনাতো যাওয়া আসা
মিথ্যে এই মায়াজালে বাঁধা। অস্তিত্বের কলরবে
মুছে যাবে ছায়াটা
স্পর্শের মতো

৪৪/৪২ পিতা মাতার বিশৃঙ্খলায়
কাঁপে শিশু ভয়ে,
বিশৃঙ্খলার ভেতর থেকে
সব জ্বালা যায় সয়ে। কোমল মনে আঘাত পায়’রে
ছোট্ট একটা তবে
তাদের সাথে ভালো কথা
বলতে তবে হবে । নইলে তারা বিপথ যাবে
হবে না’কো ভালো,
জীবন থেকে মুছে যাবে
ধরার সকল আলো। ছেলেমেয়ের সামনে রে ভাই
রীতি ভালো

শরতের পেঁজা তুলোর মতো মেঘেদের সাথে, সোনাঝুরি রোদগুলো যেন ভিতরে বাইরে লুকোচুরি খেলছে। ওই যে দূরে নীলাম্বরের নীল সরোবরে কতগুলো সাদা মেঘ, মনে হয় যেন সাদা হাঁস, মনের আনন্দে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। চারিদিকে ঝলমল করছে অথচ পোড়াচ্ছেনা মনটাকে। একটা

৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ লকডাউনের জন্য দেশে
অভাব এলো নেমে
গরিব লোকের কষ্ট কি ভাই
থাকবে শুধু থেমে। লকডাউনের খারাপ সময়
জীবনে ভাই কষ্ট,
করোনার যে পুরো মৃন্ময়
সকল স্বপ্ন নষ্ট। গৃহবন্দী জীবন নিয়ে
সদা বসে ঘরে,
অসহ্য যে সময় হিয়ে
থাকি শুধু পড়ে। ঘরে বসে একলা মনে
বিষন্ন মন থাকে,
করোনার ওই প্রতিক্ষণে
সবে দূরে রাখে। লকডাউনের দুখের কথা
বলা যায় না

রূপালী গ্লাস চেয়ে থাকে
ঐ থৈ- থৈ জলের দিকে-
নদীর জল শুধু ঢেউ তুলে
উচ্ছলে উঠে- নতুন একটা
কিছু একটা সৃষ্টির চোখে-
রূপালী গ্লাস চেয়ে থাকে। হঠাৎ দূর কিনারায় ভেসে
ভেসে তুলে- কালো মেঘ!
পিছলে গেলো গ্লাসের রঙ-
মায়াবী জোছনার কি মায়া
বেড়ে যায় দৃষ্টি পলকে পলক
কি নেশায় স্পর্শ হাতে

রাত গভীর, ঘুম আসেনা
জানালায় পাতাগুলো হাতছানি দিচ্ছে
নজর করে দেখি খুব
কাকে ডাকে ওরা?
হঠাৎ দেখি বারান্দায় কে হাঁটছে?
আরে চাঁদ নেমে এলো কখন?
তাইতো ভাবছি আজকের অন্ধকার
আকাশকে কেন ঢেকে রেখেছে
খবরে শুনেছিলাম হারিয়েছে নাকি চাঁদ
অথচ এই বারান্দায় সুধাময় হায়
কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে! বিশ্ব সংসারে সবাই চন্দ্র চায়
আমি চাইনি,

কে কাকে পোড়ায় বলো। খরা না অগ্নি।
তিক্ত সুরা পাত্র খালি হতে থাকে। নিগূঢ় আঁধারে জীবনের বহ্নি শিখা।
রক্তের লালিমায় বিচ্ছুরিত আলো। প্রেমের উৎপ্রেক্ষা প্রতিমা।
প্রদীপের নিচে ভীষণ কালো ক্রোধ। আগ্নেয় গিরির বিস্ফোরিত মুখ।
কে কাকে পোড়ায় বলো। কবিতার খাতায় নীরব অশ্রু অঝরে নেমে এলো।

কখনো কখনো দুপুরকে অসহ্য মনে হয়। মনে হয় বিলুপ্ত ফড়িংয়ের প্রতি যদি আরেকটু মায়া দেখানো যেত, ভয়ে লুক্কায়িত শালিকের প্রতি আরেকটু মানবিক হাত বাড়ানো যেত; তাহলে দুপুরগুলো এত অসহ্য হতো না। আমাদের রাজত্বে সবারই নাভিশ্বাস। কুদালি ছড়ার তীর ঘেঁষে যে জনপদ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে; আমরা

স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪৪/৪২
মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ ৫৫/৫২ ফুলের রাণী ফুল কুমারী
গোলাপ বাগে ফোটে,
সৌরভ পেয়ে ভ্রমর সবে
গুনগুনিয়ে ছোটে। গোলাপ আছে গোলাপ বাগে
কত রকম ছবি,
গোলাপ দেখে যুগে যুগেই
কবিতা লেখে কবি। গোলাপ গাছে প্রচুর কাটা
মালিই শুধু জানে,
মধু খেয়েই ভ্রমর ঘুরে
ফুলের পানে পানে। ফুলের প্রেমে অলির গানে
মুগ্ধ করে সবে,
ফুলের কালে নতুন রুপে
বিশ্ব সাজে তবে। ভালোবাসা

৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ মৃত্যুর খেলা দেশটা জুড়ে
প্রতিদিনে বাড়ছে,
নিয়ম কানুন নাহি মানে
মৃত্যুর কাছে হারছে। জনমনে নেতিবাচক
লেগে আছে কথা,
এমন কথা যায় না বলা
ওই না যথা তথা। দেশের আইন ভাঙে যারা
মিত্র নয়তো তারা,
আইন ভাঙার সাজা পায় যে
ভাঙে আইন যারা। করোনার ওই সময় তবে
আতঙ্কে সব আছে,
কেমন

৪৪/৪২ চিন্তা ভাবনা বৃদ্ধি করো
জীবন হবেই ভালো,
সৃষ্টির সেবা করো তবে
জ্বলবে মনে আলো। ভালো চিন্তা ভাবনা গুলো
মনের ভিতর রাখো,
জনম জনম তুমি তবে
আপন সুখে থাকো। প্রভুর সৃষ্টি প্রেম মোহনায়
রাখো মনটা ভরে,
সৃষ্টির সেবা করে তুমি
চলো ভবের তরে। গভীর চিন্তা ভাবনার ফলটা
হয় যে সবার সেরা,
অন্য কিছু চেয়ে তবে
শ্রম দিয়ে

আপনি তখনই অস্তিত্ব অনুভব করতে পারবেন যখন আপনার অস্তিত্ব সম্পর্কে সুন্দর ধারণা থাকবে। জীবনের চূড়ান্ত সত্য হল সর্বদা সোজা পথে থাকা। ভালোকে গ্রহণ করা মানে খারাপকে উপেক্ষা করা। রহস্যময় সত্য দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত কদর্যতা অনুভব করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অহংকার, ক্রোধ,

শৈশবে গাছ হওয়ার ইচ্ছা ছিল। রবী-ঠাকুরের বলাই পড়ে এমন বৃক্ষপ্রেম জেগেছিল যে মনে হত গাছ জীবনই সার্থক। আমাদের পাড়ার এক কোনে মন গাছ ছিল; প্রতিদিন তার নিচে বসে থাকতাম। তার সাথে আলাপ করার চেষ্টা করতাম; জানতে চাইতাম কিভাবে সে বৃক্ষ হল। তার কি কোন

কোন এক আততায়ীর হাতে একদিন আমি খুন হয়ে যাবো।
পাথরের আঘাতে থেঁতলে দেয়া হবে আমার মুখমণ্ডল ;
যেন পরিচিত স্ব-জনরা আমাকে চিনতে না পারে।
পাশেই কোথাও পরে থাকবে জিহ্বার কাটা অংশটুকু ;
কারন একটাই যে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম।
আমার হাতটা খুঁজে পাওয়া যাবে কোন এক ডাস্টবিনে ;
কারন এই

নিঃশ্বাসের সাথে দেহের প্রেম রহ রহ!
চলছে দেখো মাঠে ঘাটে হাঁট বাজারে
রাগ অনুরাগে আকাশ বেজায় কালো;
চারিধারে ঘোর বর্ষায়, নয়ণ ভেজে আইল
হেঁটে হেঁটে চলে যাই! সাদা মেঘে কাল।
তবুও তরুলতা পশু পাখি কথা কয়-
পৃথিবীর মাটি সনে অথচ সোনালি মাঠ
হেসে