______আশ্বিনে শিন শিন হাওয়া
আশ্বিনে শিন শিন হাওয়া
মেঘমল্লার দেশ; নদী, বিলে টলটলে জল
শেওলা ঢেউয়ে শাপলার দোল।
ঘাস গালিচা আগাছার ফুল
সাঁঝের হাওয়ায় কাঁপে; লজ্জাবতী চুপটি করে
ধুলোর গায়ে শিশির মাখে।
নাটাই হাতে কিশোর, বালক
আকাশ নিলে ঘুড়ি চরে; কোথায় সেই রাখাল বালক?
গোধুলী বেলায় গাঁয়ে ফিরে।
ফড়িং ডানায় দল বেঁধেছে
সিমের মাছায় সাঁঝ
কবিতা
|
চারু মান্নানের কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৫২ শব্দ
জলে থৈথৈ করে রে ভাই বর্ষার ওই না সময়
শিশুদের ওই নাইতে ভয়
হাসি মজার নিত্য হয়
সুন্দর সুন্দর কথা কয়
শাপলা শালুক ফুলে ফুলে ভরে গেছে মৃন্ময়।
ভেলা চড়ে ঘোরাঘুরি বন্ধুদের ওই সনে
দিবানিশি ভাবি তাই
বহু কিছু দেখতে’রে পাই
নানা রকম কাঁদা ভাই
মনের খুশি দেখা যায় রে আনন্দ যে ক্ষণে।
জেলেরা
কবিতা, ছড়া ও পদ্য
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৮৬ শব্দ
বাংলা আমাদের ভাষা, আমাদের অদৃশ্য ভূষণ, আমাদের অর্জনের অভিমুখ!
হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন সব বাংলার আধারেই প্রকাশ পায়।
জন্মসূত্রে লাভ করা এ ভাষা বাঙালীর তরে প্রকৃতির উৎকৃষ্ট অঞ্জলি!
আমাদের ভাষাশিক্ষার হাতেখড়ি হয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সূচনার পূর্বেই।
মা-বাবা, পরিবার ও পারিপার্শ্বিকতা একজন শিশুর ভাষাশিক্ষার প্রারম্ভিক সোপান।
ভাষা
খোকা খুকি দেখতে পেলো
ছোটন নাকি নাইতে গেলো
নদীর জলে
সাতার চলে
মায়ের ভয়ে এলোমেলো।
মা আসবে খোকা বলে
ছোটন সোনা দৌড়ে চলে
মনে মনে
ক্ষণে ক্ষণে
শাপলা শালুক নদীর জলে।
খোকা খুকি বিকেল বেলা
মন আনন্দে করে খেলা
ছোটন ডাকে
মায়ের হাঁকে
নদীর তীরে শিশুর মেলা।
দারুণ কাব্য শৈলী কথা
ছোটনের মন আছে ব্যথা
বায়না বড়
জড়ো সড়
বলবো কাকে যথাতথা।
রচনাকালঃ
০৪/০৭/২০২১
৪৪৪৪
কবিতা, ছড়া ও পদ্য
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৪৪ শব্দ
তোমার সাথে বন্ধুত্ব করে লাভ কি বলো?
কি নেই তোমার? ধন-সম্পদ, ঐশ্বর্য, ক্ষমতা প্রতিপত্তি?
তারচে ভালো এসো বন্ধু হই তাদের
বেঁচে থেকেও যারা মৃত প্রায়, বয়সের ভারে নুয়ে পরা বৃদ্ধ বা
প্রায় ধবংস হয়ে যাওয়া মনের ঘর, শুকিয়ে যাওয়া নদী কিংবা
ঝরে পড়া সবুজ
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৫৮ শব্দ ১টি ছবি
উৎসর্গ: শ্রদ্ধেয় জিয়া রায়হান।
একটি বৃত্ত ভাঙ্গার প্রত্যয়ে
নীল অন্তরীক্ষের বুক ছিরে উকি দেয়
আড়ালের কষ্ট দীঘল
শ্যামলিমা বৃক্ষের কোঁকড়া শিরে একাকী পাখি
সন্ধ্যা মলিন রুক্ষ্ণতায় ফুটে আছে হিসেবের গরমিল।
দূর সুদূরে ফেলে আসা মাঠ, পথ ঘাট ঝিল
ডানার আবেশে ভর করে অবাধ অবসাদ
ফেরার মত গন্তব্য
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৭১ শব্দ ১টি ছবি
রাতে যখন একা একা অন্ধকারে
হাঁটতে থাকি – তখন এটাই মনে হয় যে
আমি জেগে আছি উদ্ভট এক স্বপ্নের দেশে।
অথচ, সারা রাত্রি জুড়ে নিস্তব্ধতা –
হাওয়ায় ঝড়ে পড়ে ক্ষয়ে যাওয়া পাতা, পাখির পালক।
এছাড়া আর কিছু নেই ।
আমি বেঁচে
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৮২ শব্দ ১টি ছবি
তোমার দুর্গা কাশের মাঠে,
শিশির মাখছে গায়
আমার দুর্গা পথের ধারে
খাবার খুঁটে খায়।
তোমার দুর্গা অকালবোধন,
হিমালয়ের মেয়ে
আমার দুর্গা শুয়ে আছে
একা কিচ্ছুটি না খেয়ে।
তোমার দুর্গা শপিং মলে,
পিৎজা হাটে ঘোরে
আমার দুর্গা ভিক্ষা করে
চৌ রাস্তার মোড়ে।
তোমার দুর্গা
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৮৬ শব্দ ১টি ছবি
পুত্তিকা দু’পায়ে হেঁটে যাচ্ছে
গন্তব্যহীন পথ- উজ্জ্বলময় চোখে
নীলিময় নীল আকাশ নাকি অন্ধকার!
তবুও পৃথিবী আলোয় আলোকিত;
বাতাসকে ধরতে চেয়েছিলাম-
অথচ দু’হাতে ফসকে গেলো;
কিছু গন্ধ বারুদ জ্বলন্তময়
আকাশ জুড়ে চাঁদ নিজেই হাসে!
তারপরও মাটির স্বাদ অপূর্ণ
ভোরের শিশির জমা ঘাস
ঝিরি ঝিরি অবুঝ দোলা বৈকাল
অতঃপর
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৪৪ শব্দ ১টি ছবি
পরম পিতা রতির মিতা
করছে ক্ষতি সবে
আপন পরে সকলে মরে
বাড়লে অতি তবে।
জীবন খসে খারাপ রসে
হয়ে যে জ্ঞান হারা
খুশিতে যারা আত্মাহারা
প্রাণ দেয় যে সারা।
রতির যাদু শিখায় সাধু
প্রেমের কথা বলে
ভবের হাঁটে তুমি খাটে
শিক্ষা নিয়ে চলে।
সবার প্রাণে রতির টানে
আঁধার নেমে আসে
রতির খেলা রাতের বেলা
নর নারীরা ভাসে।
রতি দমন করো
কবিতা, ছড়া ও পদ্য
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৫২ শব্দ
গাঁয়ের বধু হেলে দুলে
পুকুর ঘাটে যায়,
ঝুমুর ঝুমুর শব্দ তাহার
দিয়ে নুপুর পায়।
নুপুরের ওই দারুণ ছন্দ
পথিক ভোলে পথ,
গায়ের বধু সুন্দর দেখায়
দিলে নাকে নথ।
নুপুর পায়ে হেঁটে চলে
গাঁয়ের বধু ভাই,
কলসি কাঁখে নিয়ে যখন
জল আনিতে যাই।
মিষ্টি মুখের মিষ্টি কথা
পাখির মতো ডাক,
পিছন থেকে কে দিলো রে
মায়া বলে হাঁক।
যেয়ে দেখে পুকুর
কবিতা, ছড়া ও পদ্য
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৫৫ শব্দ
৮৭/৬ (বিশাখ পয়রা)
আকাশটা ঘন মেঘে /ডেকে আছে কভু রে
ডেকে আছে কভু,
নদীনালা খালে বিলে / জলে থৈথৈ তবু রে
জলে থৈথৈ তবু।
বারিধারা অবিরাম / চলে শুধু চলে রে
চলে শুধু চলে,
কদম কেয়া ফুলের / বর্ষা রানি বলে রে
বর্ষা রানি বলে।
দেয়ার ডাকে সবাই /
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ১০১ শব্দ
৪৪/৪২
মাদল বাজে মনের ভিতর
ওই না বর্ষার ছন্দে
আশেপাশে ভরে গেছে
কদম কেয়ার গন্ধে।
বৃষ্টির শব্দ জল কলতান
দারুণ ভালো লাগে
বর্ষার আরো কত ফুল ওই
ফুটে আছে বাগে।
জেলে নেমে গোসল করা
নৌকা নিয়ে ঘোরা
কদম গাছে কেয়া গাছে
ফুল যে জোড়া জোড়া।
বর্ষাকালে নদের জলে
কবিতা, ছড়া ও পদ্য
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৬৯ শব্দ
সব কিছু ঠিক আছে ঠিক নেই শুধু বেতনটা
তিন মাসে এক মাস দেয় তবু ছয় মাস পরে।
তাই বুঝি ভুলে যাই চাকরিটা করেছিলাম কবে
গিন্নী
কবিতা
|
আত্মচিন্তন
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৮৫ শব্দ ১টি ছবি