একটা পাতাও বাকী নেই ঝরার মত, শীতের এখন অখণ্ড বিশ্রাম। মাঘ মাসের মাঝামাঝি, শীত যেনো এক পাখি, ডানা মেলার অপেক্ষারত, বিকেলের মনমরা রোদে ঠোঁট দিয়ে পালক পরিচ্ছন্নতায় মগ্ন, মাঝে মাঝে পাখা ঝাপটে শিরায় শিরায় সঞ্চালন করে উষ্ণতা, দীর্ঘ উড়ালের আগে কুয়াশার রাত্রিস্নানে ধুয়ে ফেলতে
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৯ বার দেখা
| ১২৪০ শব্দ
কৃত্তিকা ছন্দ ৩৩ শব্দ
৪ শব্দ
আছে কবি যত – গান লেখে শত
নদী গিরি রূপে শোভা,
নর নারী দেখে -নানা রঙ মেখে
নভে জ্বলে খুব নোভা।
নদী বয়ে চলে -জল কল কলে
পাখি গায় কত গান,
ফুল ফুটে আছে – নানা গাছে গাছে
দেখে
অহংকার ওই পতনের মূল
বিজ্ঞ জনে কয়,
অহংকারীর সঙ্গীসাথী
কখনো কেউ নয়।
অহংকারের চূড়ায় উঠে
দেখায় কত বল
পরকালে পাবে তুমি
কৃতকর্মের ফল।
প্রাচুর্যের ভাই মধ্যে থাকে
যতোই করো ছল,
মৃত্যুর দূতের কাছের তোমার
হবে সবি জল।
কর্ম যেমন ফল তেমনি
শাস্ত্র বলে তাই,
ইতিহাস ভাই সাক্ষী আছে
রেহাই তো পায় নাই।
সবি ভুলে একত্র হয়ে
গায় মানবের গান,
সকল অহং চুর্ণ
নিরাপদ কোনো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাও
ধরো মাটি ফুঁড়ে বেরিয়েছে চাঁদ
হেঁটে যাও আলোর পথ ধরে
কিংবা আসমান ভর্তি সরোবর
টলটলে জল ভেসে ভেসে আছে
মাথার উপর কি যে তীব্র সুখ
হেঁটে যেতে পারো অশ্লেষে
আর যদি মাটির উপর মাটি থাকে
মাথার উপর আকাশ ভর্তি চাঁদ
মেঘের ভেতর মেঘ
নিরাপদ যাত্রা দিও তবে
আনন্দিত হাঁটার
৬
মেরিন ড্রাইভ, এক্সোটিক সাম্পান হোটেলের চার তলা, বারান্দায় তিন জন বসে আছি। সি ভিউ বারান্দা, অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্র দেখা যায়, খুব দূর থেকে ছোট ছোট ঢেউ একের সাথে এক যোগ হতে হতে ধেয়ে আসছে, সাদা ফেনা নিয়ে আছড়ে পড়ছে তটে,
আমাদের বন্ধু অতনু বিজ্ঞান ক্লাসে
কান ধরে বেঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকতো
কিংবা ক্লাসের বাইরে নীলডাউন।
সম অপরাধে আমরা মাফ পেয়ে
যেতাম, শুধু শাষাণ হত; শাস্তি
তেমন ভোগ করতে হত না।
আমাদের শিক্ষক সনাতন পন্থি;
অর্থাৎ হিন্দু, অতনুও হিন্দু
তবু তার প্রতি পক্ষপাতিত্ব ছিল না।
বড় পণ্ডিত বাংলা দ্বিতীয় পত্র
অর্থাৎ ব্যাকরণ পড়াতেন
ব্যাকরণ আমাদের
পুবাকাশে প্রভাতকালে
উঠলো সোনা রবি
চারিদিকে আলো ছাড়ায়
কি অপরুপ ছবি।
পাখির ডাকে হলুদ আভা
ভীষণ লাগে ভালো,
একদিন রবি না উঠিলে
ধরা হবে কালো।
রবির আলো ঝিকিমিকি
জলের উপর পড়ে,
তাই না দেখে মাছরাঙা ভাই
প্রচুর মাছ ওই ধরে।
ঘাসের বুকে শিশির কণা
প্রভাতকালের আলো,
কবির লেখা কাব্য খানি
ভীষণ লাগে ভালো।
রচনাকালঃ
১৬/০৭/২০২১
৪৪/৪২
মিথ্যা ছাড়ো সত্য ধরো
নইলে মিথ্যায় পুড়ে মরো
আখের হবে ভার,
সত্যের পথটি ধরে রাখো
জনম জনম সুখে থাকো
তবেই হবে পার।
সত্যের পথে শান্তি মিলে
মিথ্যার পথে ভয়’যে দিলে
মনটা কাঁপে আজ,
ধরার বুকে সত্য হলো
মিথ্যার চেয়ে ভীষণ ভালো
নেই বলতে আর লাজ।
ধরার যত সাধু লোকে
সত্যের পথে তারা থাকে
করে না তো ভুল,
ধরার বুকে
মন বৃক্ষের নিচে একদিন ভয়ানক কান্ড ঘটে গেল, এই কাণ্ডের রেশ দীর্ঘ দিন আমাদের তাড়া করেছে।
শীলা নামের যে মেয়েটা মৃদুল কে ভালোবাসতো এক ভোরে তাকে দেখা গেল মন গাছে ঝুলে আছে।
ধরাধরি করে তার লাশ যখন নামানো হলো, আমরা তাকাতে পারিনি, তার জিব্বা মুখ থেকে
জীবন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯৯ বার দেখা
| ১৭০ শব্দ
হৃদয় কোণে আমার আশা
শুধু প্রিয়ার জন্য
প্রিয়াকে যে কাছে পেলে
জীবন হবে ধন্য।
হৃদয় কোণে প্রিয়ার জন্য
গভীর ভালো’বাসা,
জীবন আমার পূর্ণ হবে
মিটলে মনের আশা।
তোমার কথা প্রিয়া আমার
খুবই পড়ে মনে,
সাঁঝ প্রভাতে সন্ধ্যা রাতে
ভাবি ক্ষণে ক্ষণে।
হৃদয় জুড়ে প্রেম বিরহের
জ্বলছে সদা আগুন,
কেন সেকালে
গতকাল গভীর রাতে স্বপ্নের মাঝে আমার,
আবার ফকির ওমর শাহ’র সাথে দেখা হয়ে যায়!
হাতে সেই লাঠি, পরনে সেই গেরুয়া কোর্তা,
মাথায় লাল পাগড়ি! কিছুটা ঝুঁকে থাকা বটবৃক্ষ
যেমন দাঁড়িয়ে থাকে-
ঠিক তেমনি তিনি দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে!
খোলা মরুভূমি। কয়েকটা অর্ধ পোড়া গাছের শাখা
অনেক দিন থেকে হাওয়াহীন!
কেমন আছেন দাদাজান!