আকাশের সীমানা
যেদিন খুঁজে পাবে;
উত্তরসূরিদের দেখবে
মিছিল আর মিছিল!
সাগরের জল ভারি হবে
অথচ চিনা মুখ বিমুখ-
কষ্টের মৌচাকে মধু শূন্য;
এখন আর কোন সীমানায়
খুঁজে পাই না মিষ্টি-একের
মধ্যে অগুনতিক বিখণ্ডিত
মন বাসনার ভাব প্রত্যাশী-
তবুও শৃঙ্খলে নেই সীমানা। ১৪ কার্তিক ১৪২৮, ৩০ অক্টোবর ২১

আমার মা ৩৩৩১ মাগো মোর মনে হয়
সাত রাজার ধন
তোমার ওই জন্য মোর
কাঁদে এই মন। ছোট কাল কত খেল
তোমার ওই সাথ,
কাছে মা থেকে ওই
গেছে তো রাত। সুখ দুখে মা তুমি
আলো তো মোর,
আসে ওই যত ঝড়
কাটবে যে ঘোর। বাপ ছাড়া মা সন্তান
মিল করে ভাই,

কতদিন পরে ওই ঘরের দরজা খুলে দিই
ঘুমন্ত বিছানা, শুকনো চানঘর,
ব্রেকফাস্ট ফেলে গিয়েছিল
মুখে তুলি, কিচ্ছু তো পচেনি!
একটা তিতির

হঠাৎ করে পা’ মচকে
চিৎপটাং রাস্তায়
আশেপাশে কেউ ছিলোনা
তুলে ধরবে– আস্থায়! অগত্যা ঘর ফিরতে হলো
কাজের কাজ ভুলে
ঘরে পৌঁছে বুঝতে পারি
পা’টাও গেছে ফুলে। খানিকটাপর শীতে শরীর
কাঁপলো থরথর
থার্মোমিটার জানান দিলো
গায়ে ভীষণ জ্বর। এখন আমি সজ্জাসায়ী
বন্ধুরা সব কাজে
মোবাইল ফোনে টিপেটিপে
লিখছি

সে এক দিন। ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু পরিচালক – অভিনেতা উজ্জ্বল হকের আমন্ত্রণে সিউড়িতে আননের নাটক দেখতে গেছিলাম। সেদিন অডিটোরিয়ামে বসে নাটক শুরুর আগে লিখেছিলাম নীচের কবিতা। থিয়েটার শেষ হলে সেখানে অনেকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, যার মধ্যে নাট্যকার অতনু বর্মণ এখনো বন্ধু বৃত্তে আছেন। আর থিয়েটার

রাজাধিরাজ
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব ৪৪৪২ ধরা চলে প্রভুর কথায়
বুঝবে সবে কবে,
তার ইশারায় সূর্য ওঠে
মালিক তিনি ভবে। পাখির গানে মুগ্ধ সবাই
সৃষ্টিকর্তার লীলা
ধরার অপার সৌন্দর্য যে
প্রভু ক্যামনে দিলা। তুমি হলে রাজাধিরাজ
সকল কিছুর স্রষ্টা
তোমার দেওয়া বিধানে না
চললে সে পথ ভ্রষ্টা। নিয়ামতের শোকর

মা জানে গল্পটার শুরু এবং শেষ
মাঝখানে যেটুকু যান চলাচল
অথবা বিদুৎ বিভ্রাট
সবটুকু তার অস্তিত্বের
উপযোগ নিয়ে বিলীন
এমন সব ঘরবাড়ি
আলোকসজ্জায় বর্ণিল
মা সেখানে আবাস গড়ে দিয়ে গেছে। মা জানত বেঁচে থাকা,
মা জানে মৃত্যুও এক ধরনের বেঁচে থাকা
মা আসলে ঈশ্বরের বেটি
রূপকথার নটে

নত চোখে নববধূ তুমি, জড়ানো মসলিনে
নদী তুমি, তুমি আনন্দদায়িনী, নবান্ন, নীল শাড়িতে কদমতুল্য,
তুমি নকশীকাঁথা, কলাবউ তুমি, তুমি তুলনাহীনা।
নত শিরে পূজি তোমাকে, দেবতার পুস্পার্ঘ্য তোমায় অবিরত
নীলোৎপলে সাজো তুমি, তুমি জলকন্যা; তুমি জল
আমার আকাশ নক্ষত্র নত নিঃসীম কৃষ্ণ রাত। তুচ্ছ সবি, তুচ্ছ

কি মায়ায় বাঁন্ধিলা আমায়
বন্ধুরে
তোরেতো ভুলে থাকা দায়।
অন্তরেতে প্রেম বাড়াইয়া
চইলা গেলা কোন অজানাই। দেহ দিলা, আদর দিলা মনতো দিলা না
তোরে ভালোবেসে আমি হইলাম দিওয়ানা।
তোরই লাইগা কাঁন্দি এখন
বইসা নিরালায়। কি মায়ায় বাঁন্ধিলা আমায়
বন্ধুরে
তোরেতো ভুলে থাকা দায়। ভুলিবো কেমনে তোর প্রেমের’ই কথা
এই

নীলাভ দু’চোখের কোণে প্রস্ফুটিত স্বপ্নের আভা
কিশোরী স্বভাব মিষ্টি দুষ্টুমিতে নিষ্পাপ বসন্তের ছোঁয়া
ভারী পর্দার আড়াল হতে উকি দেয় সোনালী যৌবন
যুগল ঠোঁটের বাঁকে প্রকম্পিত সলাজ অভিব্যক্তি
তবে; সত্যি কি তুমি যুবতী হয়ে গেছো?
সম্প্রতি তোমার দু চার টি কথা
কানে লেগেছে আহ্লাদী কবিতার

প্রকৃতি বিচারের ক্ষেত্রে অন্ধ নয়। যার যেটা প্রাপ্য সেটা সে দ্বিগুণ আকারে ফিরিয়ে দেয়। প্রকৃতির মাঝে বিচরণ করে জুলুম করে প্রকৃতিকে ঘুষ দিয়ে থামানোর কোন উপায় নেই, অন্যায়-অপরাধ অপকর্ম করে ক্ষমা চাওয়ার কোনো উপায় নেই। প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে নিরুপায় নয়। প্রকৃতি সর্বদাই প্রতিশোধ পরায়ণ।

আমাকে উপেক্ষা করে শিশিরগুলো উড়ে গেল আকাশে। তারপর
তারা গড়ে তুললো যে বাষ্পসমাজ, আমন্ত্রণ করলো আমাকেও-
মিশে যেতে সে সমাজে। আমি সমাজ পরিবর্তনের চতুর্থপাঠ
পুনরায় বিবেচনা করতে আরম্ভ করলাম। এমন বিবেচনা আমি এর আগেও বহুবার করেছি। ঝাড়বাতির
সৌরভ দেখে লিখেছি গল্পের পেছনের গল্প। আর শীতবিরোধী
বিকেলের ছায়ায় দাঁড়িয়ে পড়েছি

কবরের পাশে শ্মশানের পোড়া
গন্ধ এসেছিল, গন্ধ শুঁকে কবর
বুঝে ফেলেছিল এ নির্ঘাত নিতাই। শ্মশানের নিতাই আর কবরের
বজলু একে অপরের গন্ধ ভালই
জানে, তারা হরিহর আত্মা ছিল। গঞ্জের ওইসব ঘরে টাকার বিনিময়ে
মালতিবালাকে ভাগে ভোগ করেছে;
অন্যদিন সায়রা খাতুনও খোশ
করেছিল বেশ। পালদের মেয়ে
বজলুর প্রেমে পড়েছিল, নিতাই
চিঠি বাহকের কাজে গাফলতি

কবি তোমরা জ্ঞানের প্রতীক ৪৪
তোমায় পেয়ে খুশি দেশ ৪৩
তোমাদের ওই জন্য

২৪৪৪ মাগো আমার জান্নাত
হলে তুমি সবার সেরা,
মায়া জালে তোমার
মনটা থাকে সদা ঘেরা। তোমার স্নেহের সাথে
নেই তুলনা কারো কভু
মাকে আমরা সবাই
বাসবো ভালো পণ যে তবু। তোমার পরশ পেয়ে
ধন্য আমি মাগো ভবে
তুমি খুশি থাকলে
সহজে স্বর্গ মিলবে তবে। সুখে দুখে সদা
থেকো মাগো পাশে পাশে,
বলো পৃথিবীতে
কারো দায়ে কে’যে আসে। জীবন সংগ্রামে যে
মাগো একলা