আবার যে দিন দেখা হবে তোমার সাথে
কোনো জ্যোৎস্না শোভিত রাতের গভীরে
অথবা ভোরের দোয়েলের মিষ্টি গানে
হয়তো বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সময়
যখন তুমি উড়বে বুনো শালিকের দলের সাথে
আমি উড়ব তোমার মিলন পাওয়ার আশায়
তোমার স্পর্শ পাওয়ার জন্য গুনবো প্রতীক্ষার প্রহর
গোলাপ ফুলের সৌরভে মুখরিত হব
রাতের বাতি নিভিয়ে দিয়ে যে আয়নায় মুখ দেখি
সেতো আমি নই, দেখি ঈশ্বরীর মুখোচ্ছবি,
কাঠঠোকরার ঠোঁট থেকে সুখ কেড়ে নিয়ে লিখি
উজ্জ্বল নাগরিক জীবনের মৃত্যু চিঠি।
আমাদের চারদিকে বেড়ে উঠছে শূন্যতা
বিষাদের ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছে সব অঙ্কুরিত সুখ,
জানালার কার্নিশে বসে যে পাখি গায় ভালোবাসার গান
সেকি ভালোবাসা বোঝে
বোঝে খয়েরী
বিয়েটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। নম্র, ভদ্র বলে গ্রামে আমার যথেষ্ঠ সুনাম ছিল। সাতচড়ে রা না করা মেয়ে। সাধারণত এই ধরনের মেয়েদের বিয়ে ভাঙে না। পাড়া-প্রতিবেশি তো বটেই, আমাদের চরম শত্রুও জানে আমি বড় ভাল মেয়ে। তবে কালো। আমাদের গ্রামের ইতিহাসে আমিই একমাত্র আমার টাইপ মেয়ে
আমি তো উপন্যাসিকের সেই উপন্যাসটা
যেথায় উপন্যাসিক সযত্নে লেখে
সুখী মানুষের সুখের কথা
আর দুঃখী মানুষের দুঃখের কথা।
আমি তো প্রেমিকার অপ্রয়োজনীয়
ডায়েরির সেই কষ্টের পাতাটা
যে ডায়েরির পাতার নেই কোনো প্রয়োজন
শুধু অবহেলা আর অবহেলা।
আমি তো নিঝুম দুপুরে তৃষার্ত পথিকের
জল পানের
সব সময় কি কিছু লিখতেই হবে?
আমি চুপ কলমটার দিকে তাকিয়ে আছি
তাকিয়ে আছি চুপ হাতের দিকে,
চুপ কলমটা তাকিয়ে আছে মস্তিষ্কের দিকে
মস্তিষ্ক কি আর চুপ থাকে?
ওখানে অনুভব অনুভূতির খেলা
ওখানে রক্ত সঞ্চালন,
মস্তিষ্ক তাকিয়ে থাকে হৃদপিণ্ডের দিকে
ওটা ক্রমাগত ধুকপুক ধুকপুক করছে
ওখান থেকে মস্তিষ্কে রক্ত আসছে
মস্তিষ্ক বেঁচে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৯৭ বার দেখা
| ৩০৮ শব্দ ১টি ছবি
জীবনের গল্প-২৮ এর শেষাংশ: বুঝেশুঝেই দিবে। আমি বড়দি’র কথা শুনে মুচকি হেসে দিদির বাড়ির ভেতরে গেলাম। আর মনে মনে বলতে লাগলাম, ‘দিদি আমরা বাংলাদেশি লোকেরা এরকমই। খরচের কাছে আমরা কখনোই হার মানি না।’
দিদির সাথে গেলাম বাড়ির ভেতরে। সাথে
কখনো কি দু’ হাতে তুলে নেবে না দুঃখ নামের আকাশটাকে
প্রতীক্ষায় রেখেছ তুমি আমাকে,
কখনোই কি একান্ত নিভৃতে কাছে আসবে না,
ঘাস ফুল কষ্ট নীড়ের নীল ঠোঁটে
আমার কষ্টগুলো আছড়ে পড়ে,
তুমি দেখো না:
তুমি, আমি
একই আকাশের নীচে
কত কথা জমে আছে তোমার ওই ডানাহীন লাল ঠোঁটে
তুমি
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯৬ বার দেখা
| ২৫৭ শব্দ ১টি ছবি
আমি তো কোনো কিছুতে করি না ভয়
অন্যায়কারী পদতলে পিশায়ে মারি
সমালোচনা করি সম্মুখে
যদি আমার মাথায় মেশিন গান লাগানো থাকে
করি না তো আমি এই ধরার শত্রুর ভয়
যদি তাতে আমার মৃত্যু লেখা না রয়।
করি আমি এটাই ভয়
না যেন মৃত্যু অতি সহজ
আমার জীবন পত্রবিহীন বৃক্ষের শাখের
ফুল যেমন বেমানান তেমন
কষ্ট দিয়ে জর্জরিত একটা কাব্য কথা
সেটায় তো আমার জীবন।
আমার জীবন কোকিল পাখির মতো
যার নেই স্থায়ী কোনো আবাসন
বৃক্ষের শাখে শাখে ঘুরে বেড়ানোর মতো
সেই ভাসমান দৃশ্যটা আমার জীবন।
আমার জীবন তো মৃত নদীর