বাংলাদেশের ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে,
দেশীয় চলচ্চিত্র ডিসএন্টেনায় খাচ্ছে।
দেশে ভারতীয় চ্যানেলে সয়লাব,
ঐতিহ্যের বিটিভি দেখে কী লাভ? স্টার জলসা, আর জি-সিনেমায়,
ছেলে-মেয়ে বুড়োরা মন মজায়!
আছে আরো ইন্টারনেটে ইউটিউব,
যুবক-যুবতীরা দিন-রাত দিচ্ছে ডুব। ল্যাপটপ, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হাতে-হাতে,
গুগল ফেসবুক নিয়ে থাকে দিনে-রাতে!
বিটিভিতে কেউ শুনে না দেশের খবর!
আকাশ প্রযুক্তিতে সবাই

প্রচণ্ড হিমের মাঝে জমাট সূর্যের শরীর দেখলেই
আমার বৃষ্টির প্রতি অবহেলার কথা মনে পড়ে যায়।
একটি কোকিল বিগত বসন্তে যে ছায়া রেখে
গিয়েছিল, তার স্মৃতি তর্পণ করি। দেখি, একটি
দুপুরও কেটেছে হেলায়। কিছুটা মমি আর কিছুটা
ঝড়ের গায়ে হেলান দিয়ে তুমিও কাটিয়েছো চলতি শীত।
আমি অবশ্যই বদলে নেবো প্রেমের কৌশল।

ছোট্টো ছোট্টো ছন্দে
মনের আনন্দে
গেয়ে যায় মানব জীবনের
অমরত্বের লাভের গান,
যে মানব গুলো
কিছুই করে নাই
তাদের জীবন
পৃথিবীতে থেকে ম্লান। মানব মন থেকে গেছে
সেই জীবন হারিয়ে
কখনো কেউ নেই
তা মনে করবার,
অন্ধকারের মতোন
সেই জীবন গুলো
ডেকে আছে ধামাচাপায়
বিদীর্ণ

অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি… ২১শে ফেব্রুয়ারি তুমি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
স্বাধীনতার পটভুমি,
তোমার জন্যে পেয়েছি আজ
স্বাধীন মাতৃভূমি,
২১শে ফেব্রুয়ারি তুমি শহীদ মিনার
সকালের প্রভাত ফেরি
লক্ষ শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে,
শহীদদের দেখা স্বপ্ন একটি দেশ
প্রিয় মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশ
একটি স্লোগান
বাংলা আমার মাতৃভাষা চির অম্লান,
২১শে ফেব্রুয়ারি আমার অহংকার
সন্তানহারা মায়ের চিৎকার
আজ

আস্তে আস্তে সব অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সৌদি সরকার। তবে স্কুল কলেজ এবং ধুমপানের দোকান (হুক্কা দোকান) খুলে নাই ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। কারণ এইসবে মানুষ জমায়েত হয় এবং ধুমপান করোনায় মারত্মক প্রভাব ফেলে মানুষের হৃদপিণ্ডে। কিন্তু

২৬ শে জানুয়ারি (প্রজাতন্ত্র দিবসের কবিতা)
কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী ছাব্বিশে জানুয়ারি মোরা পালন করি
প্রজাতন্ত্র দিবস আজিকে,
প্রভাতে উঠিল রবি মেঘেঢাকা লাল ছবি
আবীর মাখানো পূর্ব দিকে। ভারত মৃত্তিকা পরে জাতীয় পতাকা উড়ে
প্রফুল্লিত সবাকার প্রাণ,
দেশের সকল জাতি পুলকে উঠিল মাতি
গাহে ভারতের জয়গান। ভারতের অগ্নিশিশু নেতাজি সুভাষ বসু
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ,
বিনয় বাদল নাম দিনেশের

নেতাজী সুভাষ তুমি (দেশাত্মবোধক কবিতা)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী নেতাজী সুভাষ নাম হে বীর কর্মী মহান
তুমি লড়েছো দেশের তরে,
শ্রীজানকী নাথ পিতা প্রভাবতী তব মাতা
জন্ম নিলে কটক শহরে। পরাধীন দেশমাতা স্বদেশের স্বাধীনতা
করেছো সংগ্রাম দেশহিতে,
রক্ত দাও স্বাধীনতা দৃপ্ত তব এই কথা
চেতনা জাগায়

রঙবিরল রাস্তার মোড় ছিল বেশ-
সেইদিন জেদ ধরেছিলাম ফুলের গন্ধ নিবো বলে
তা আর হয়ে উঠল না-
এতোটাই ধূলিবালি ছিল বুঝাছিল না । সত্যই বড়ই গাছ হেঁটেই আসল!
তারপর ঢিল ছুড়লাম বড়ই পরল না।
প্রশ্নমালা কিছু বর্ণ রাস্তার মোড়ে কৃষ্ণচূড়া
ছড়িয়ে

নির্জন গভীর রাতের নীড়ে শিশিরের শব্দে কান পেতেছি বারবার
এক মগ ধোঁয়া ওঠা কফির ঘ্রাণে
মিশে গেছি বহুবার,
সদ্য লেখা কবিতার মত রাত্রি আজি মেলেছে দুর্বোধ্য ডানা
নক্ষত্র’রা ঝরছে টুপটাপ শব্দ ছাড়া,
কবিতায় ফোটাতে পারে প্রেমের ঘ্রাণ ঢেলে গোলাপ ফুল:
স্বপ্ন কুসুম —
ভোরের ঠোঁট

এত নিখুঁত কালো কেন?
আমার তো তালা খুললেই সকাল ছিল!
নিশ্ছিদ্র অমাবস্যায় কালোর মধ্যেও
বহু বিন্যস্ত স্তর,
আমাকে একটু ঘুম দাও –
আমাকে একটু সকাল দাও –
আমাকে একটু আলো দাও !

দীর্ঘদিন ঘরে আলো ঢুকে না
দীর্ঘদিন কপাটের ওপারে কী
আছে দেখা হয় না।
শুনেছিলাম করোনার তাণ্ডবে
মানুষ মরে যাচ্ছে, বিশ্বাস হয় নি
ওমন হয় নাকি! বুকের বোতাম খুলে সদর্পে ঘুরে
বেরিয়েছি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড, থোড়াই
কেয়ার করেছি করোনা।
করোনা গিমিক মিথ্যা প্রমাণ করতে
কোন কসুর রাখিনি। নিজে আক্রান্ত
হই নি, করোনা মিথ্যা। করোনার অস্তিত্ব ভুলতে বসেছিলাম।
অন্যের

বহুবার ভেবেছি, খুন করা, ঘুন পড়া
আমার সুকোমল হৃদয় হতে ভাঙ্গা ভাঙ্গা
স্মৃতিগুলো মুছে ফেলবো।
অথচ, সেই স্মৃতিগুলো শিকড় হয়ে
শীর্ণ হৃদয় জুড়ে রয়ে গেল অবশেষে! তোমার নাম জপতে জপতে
ভালোবাসার বদঅভ্যাসে
ভিতরটা পুড়ে যায় কখনো কখনো।
তোমাকে

আমার কপালের মাঝ বরাবর পিস্তলটা ঠেকিয়ে যখন আমার শেষ ইচ্ছাটি জানতে চাওয়া হল আমি তখন আমার মধ্যে নেই। পুরো শরীর জুড়ে বিজলীর মত ঝাকুনিতে ঘামের অনুভূতি আন্দাজ করা কঠিন হবে। -না ! আমাকে বাঁচতে দিন, আমাকে মারবেন না।

আমি দুর্বার, আমি দুর্বার
আমি সব অন্যায় অবিচার ভেঙে করি চুরমার। আমি মানি তো না কারো কালো আইন
যদি আমার সামনে থাকে ভয়ানক মাইন। আমি তো শূচি শুদ্ধ পাখি চাতক
আমায় বলতে পারে না কেউ ঘাতক। আমি তো অশনি সংকেতের ঝংকার ধ্বনি নয়
করি

ভালোবাসার শুরু কোথায়?
গর্ভধারিনীর দুগ্ধ পানে!
ভালোবাসার শেষ কোথায়?
স্বার্থপরায়ণ ভালো জানে! ভালোবাসার মূল্য কত?
যার ভাবে সে জানে।
ভালোবাসার প্রতিদান কী?
যায়না দেয়া এই জীবনে।