নেমে এসো-সন্ধ্যা, পালা হাঁসের ঠোঁট ঝুলে
আমরা হেঁটে যাব জ্যোৎস্নার বনে
অবিশ্রান্ত দম্পতি হাওয়া এসে বুনে যাবে প্রণয়
অধিবৃক্ষ জন্মাবে পিঠেপিঠি ভাইবোনে
আমরা লেপটে থাকব ঘাস-বর্গমাইলে
দিনের পরে দিন, মূলত রংরূপ পরাগবৃন্তে
ধরো-রাত শেষে আবার জন্মাজন্মি যা তাই!
কলমের আত্মকাহন
– জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
৬৬৬২ মাত্রা বৃত্ত
আমি তো কলম লিখি মানবের সব বিরহের কথা
যাহা লিখিতে যে আমার হৃদয় কোণে লাগে শুধু ব্যথা।
আমার জন্ম ইতিহাস হেন গরবের নয় ভাই,
আমাকে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করে নাই।
আমি তো সবার কথাই লিখেছি স্ব কিছুই লিখি নাই
ভেবেছি লিখবো নিজের
পলে পলে মৃত্যুমুখে ধাবিত হচ্ছি;
শরীরের চামড়া ছিলে ফেলছে,
কোটরগত চোখ উপড়ে ফেলছে,
আঙুলের নখ থেঁতলে দিচ্ছে।
বুকের যেখানে হৃদপিণ্ড, সেখানে
আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করছে।
যারা আমাকে অত্যাচার করছে
তারা খুব মানবিক, চাপাতি দিয়ে
কোপাতে কোপাতে আওড়ে যাচ্ছে
মানবিক কবিতা। বিধাতার কাব্য
দিয়ে ন্যায্যতা দিচ্ছে মৃত্যুর।
আমার অপরাধ অতি সামান্য, নিজের
কাছে অপরাধ