জুলাই ২০২১
বিভাগের সব লেখা
মিছিলের শব্দে দাঁড়িয়ে গেলে
পিছনে পড়ে রয় অতিক্রান্ত সময়
পাড়ি দিতে হবে, অনুভব করি
মিছিল ছুঁয়ে দিচ্ছে আমার সত্ত্বা
অগ্রে এক তরুণ যুবা যার কাছে ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
একটি সবুজ শিশু দুরন্তপনা তার কাছে হার মেনেছে
একটি কোমল কিশোরী যার চোখে ভিড় করেছে তাবৎ শ্যামলিমা
একজন ন্যুব্জ বৃদ্ধা সংসারের ভার
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ১৫১ শব্দ
১
প্রিয় পাঠক, আজকের গল্পটি অনেক দিন আগেকার পটভূমিতে রচিত। এক দেশে এক রাজা ছিল। একরোখা। যখন তিনি কিছু করবেন বলে ভাবতেন, তা করতেন। যখন তার প্রজারা তার কথা বিনা দ্বিধায় মেনে নিত, তখন রাজা দিল দরিয়া হয়ে যেতেন। আর সামান্য এদিক ওদিক হলে রক্ষা
গল্প
|
ফকিরের গল্প
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ১৬৭৪ শব্দ
একদিকে দেশে করোনা’র যাতাযাতি
ফেসবুকে ভিনদেশি খেলার মাতামাতি
সরকার ঘোষিত লকডাউন দিন-রাতি
তবুও হাটবাজারে লোকের যাতাযাতি।
আসলে আমরা তো বীর বাঙালি
মিথ্যে ভাষণে দিয়ে থাকি করতালি
অযথা অকারণে ছাড়ি মিথ্যে বুলি
আমরা স্বাধীন দেশের হুজুগে বাঙালি।
কবিতা, জীবন
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৩৩ শব্দ ১টি ছবি
জ্ঞানের গভীরতা ও কোন মানুষকে বদলানোর মনস্তাত্ত্বিক দর্শন কেমন হওয়া উচিত। নতুন করে পথ চলা
পৃথিবীর সবকিছুই পরিবর্তনশীল’ দিন বদলে যায় রাত আসে, ভোর আসে, সকাল হয়,আবার রাত হয়ে যায়, আবার আসবে দিন। আমাদের এই চলমান জীবন অভিধানে সময়ের ঘড়ির কাটায়
জীবন
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ১৮১২ শব্দ ১টি ছবি
যমুনাতে আসি শুনে তব বাঁশি
মন রহে না যে স্থির,
লোকে মন্দ বলে অঙ্গ তাই জ্বলে
বুকে লাগে যেন তীর।
তবু কিন্তু রাই ছুটে আসে তাই
ডাকে ওগো মোর কালা,
ভয় নাহি করি দেবো গলে ভরি
গোলাপ ফুলের মালা।
আসুক না বাঁধা আমি তব রাধা
মনে নেই কোনো ডর,
ভালোবাসি
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৭৭ শব্দ ১টি ছবি
এই যে ফলের বাজার; সাজানো ফল
এই যে লোভাতুর চোখ
এই যে সাধ্য হাত থলে ভরে বাড়িমুখো
এই যে অক্ষম হৃদয়; পীড়িত
পিতার জন্য কাঁদে।
এই যে ফুলের বাগান, ফুটে থাকা বসন্ত
এই যে প্রজাপতির ওড়াউড়ি
এই যে মধুকুঞ্জ; প্রেমিকের চোখে চোখ
এই যে অপার প্রেম,
এই
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ২২০ শব্দ
এখন রাত কাটে একাকী নিঃসঙ্গতায়
চৌদিকে চৈতালি হাওয়া বয়ে যায়
কে বাজায় বাঁশরী বিষন্নতায়?
যেন নিরবে রক্তাক্ত করে আমায়।
আমিতো রাখি না হাত তোমার হাতে
লিখিনা নাম আমার, তোমার সাথে
কোন সৈকতের বালিতে।
ডাকি না সেই প্রিয় নাম ধরে উচ্চস্বরে
প্রতিধ্বনি শুনিবার তরে
কোন নিস্তব্ধ পাহাড়ি উপত্যকা জুড়ে।
দেখিনা স্বপ্ন ঘুমে কিংবা জাগরণে
মাধবী
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৬৬ শব্দ
কবিরনি | জুলাই ১০, ২০২১ | ০৯:২৯
১
‘একটা গল্প শুনবেন? ভূতের গল্প!’
উজ্জ্বল শ্যামলা, লম্বা প্রায় ৬ ফিট, খাঁড়া নাক, বুদ্ধিদীপ্ত চোখের এক ভদ্রলোক শাহেদের সামনের সিটে বসা। ভদ্রলোকের বয়স আনুমানিক ষাট। ক্লিন শেভড। পরনে হালকা খয়েরি রঙের দামি ব্রান্ডের একটা টি- শার্ট আর নীল জিন্সের প্যান্ট, পায়ে ক্যাটক্যাটে হলুদ রঙের মোজা।
সব জিনিসে দাম বেড়েছে
সংসদেই বাজেট পাশ,
দিশেহারা যে দেশের লোকে
বাজারে গেলে নেই যে আশ।
জনগণের কথা ভেবেই
বাজেট পাশ করতে হবে,
নইলে দেশে নর মরবে
না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকেই তবে।
লকডাউন দিয়ে শাসক
বন্ধ করো রেখেছে সব
ক্ষুধার জ্বালা পেটে ঋণের
সকলে করে
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৭৮ শব্দ
১
যুবক ছাত্র হতাশ হয়ে কান্নার স্বরে চিৎকার করে বলছে “একটি লাল গোলাপ যদি উপহার দেই, আমার সাথে নাচবে তবে সে কিন্তু কপাল আমার মন্দ! লাল গোলাপ নেই বাগানে।”
কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল, কমলা ফুল হলুদে আঁকা এবং সবুজ পাতা অন্যরকম
গল্প
|
ফকিরের গল্প
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ১৪১৬ শব্দ ১টি ছবি
একদিন হারিয়ে যাব
গহন চৈত্রের দিনে দহন চিরস্থায়ী হলে
আগমন নিষিদ্ধ কর হে পুত
এখানে বিছিয়ে দিয়েছি শামুক জীবন
নিরুদ্ধ অন্ধকার – মুখোশের দিন
দূর অরণ্যে মিশে গেছে মায়াবী গল্পের জীবন।
পৃথিবীর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে সবাই
কে রাখে কার খোঁজ
ফুরিয়ে আসছে আগুনের দিন
সঘন মেঘ
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৮০ শব্দ ১টি ছবি
লিমেরিক গুচ্ছ ৪৬
এক। সে কি দৃশ্য
যখনই ঈদ উৎসব পৌছায় আমাদের দ্বারে
রেল বাস লঞ্চ মানুষের ভিড়ে উপচে পড়ে;
সে কি দৃশ্য, শহরে বন্দরে
ফিরছে সবাই আপন নীড়ে
প্রিয় স্বজনের টানে শত কষ্ট উপেক্ষা করে।
দুই। না কেউ দিতে পারি
কত গর্বিত, আছে গাড়ি বিশাল সুরম্য বাড়ি
কারো তবে নেই একখানি ঘর
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৬১ শব্দ
আকাশ কেন ছেয়ে গেল মেঘে
চাঁদ কেন হারাল ওই দূর বনে
কোন বিরহী কাঁদে এমন দিনে একা নির্জনে।
সহসা প্রশ্ন জাগে তাকে দেখেছি কি আগে
নিশীথে কেন গোপন মনে তারি ছবি জাগে
খুঁজে ফিরি মিছে তাকে কুয়াশা ঢাকা মনো বনে।
চৈতী
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৭৩ শব্দ ১টি ছবি
ভুল করে তুমি এই পথে এসে
মনকে দুষছ কালো
গহীন গহন গুহার বাইরে
ওই দেখা যায় আলো,
স্বপ্ন ওখানে সাজানো গুছানো
ফেরিওয়ালার বেশে
মুক্তির পথে আছে দিশা কত
দিগন্ত ভালোবেসে।
ছেড়ে দিতে পারি পাথরের গড়া
ভাঙা মন্দির খেলা
ওখানেই আছে স্বপ্নের সোপান
শুধু মানুষের মেলা।
আবার বসেছে সূর্যের কিরণে
স্বপ্ন রাঙানো শ্লোগান
উঁচুতে ওঠা মানুষের কল্যাণ
হয়ে যায়
কবিতা
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৫৯ শব্দ
তেলে তেলবাজি খেলা
খেলছে আনাচে-কানাচে,
নেতার পায়ে মেখে তেল
ডিং-ডিনা-ডিং নাচে।
শরীরে মেখে তেল
করে শরীর তৈলাক্ত,
নেতাদের মেখে তেল
হয়ে যায় তার ভক্ত।
তেলে ভাজা ইলিশ
খেতে বড় মজা,
তেল মাখতে করলে ভুল
ভোগ করে সাজা।
খাঁটি সরিষার তেল
সবার কাছে পছন্দ,
তেল ছাড়া দুর্নীতিবাজরা
পায়না মনে আনন্দ।
তাইতো তেলের
কবিতা, জীবন
|
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
| ৮৫ শব্দ ১টি ছবি