তোমার বুকের ভেতর গল্প দুটো-
অগোছালোয় নড়ে, ইচ্ছে করে ডাকে
নিত্য নতুন আবিস্কারে সঙ্গীতা রাত-রোদ্দুরে
ঘুমিয়ে পড়া নদী, শিশুর মতো মাঠ-
ছাদ বাগানে সন্ধেগুলো যুগল টিকটিকি!

আজ পৃথিবীটা লাশ কাটা ঘর হয়ে গেছে
নর্তকীরা আর ঘোমটার তালে পা মেলাচ্ছে না
চারিদিকে ভয়ঙ্কর অসুখ,
ফসলের ক্ষেতে ধানের শীষে আর স্বপ্ন নেই
রৌদ্দুরে পুড়ে দগ্ধ হচ্ছে রাত
মানুষের চোখের জলে নুনের ঘ্রাণ,
সমুদ্র ঝড় মানুষের বুকে আছড়ে পড়ছে
প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে মানুষ
মানুষ সমুদ্রের মতোই
আহা! মানুষ

৪৪/৪১ রুপে গুনে স্বরস্বতী
লক্ষীবন্ত ওই মন,
হাসি মজা নানা খেলা
চলে সবার ওই সন। দৃপ্ত পায়ে হেঁটে চলা
ইচ্ছে খুশি মত,
তার যে রুপের শোভা বলতে
করণিক যে শত। দেখে যেজন প্রেমে পড়ে
রূপবতীর যে রুপ,
পূজা করতে লাগে যেমন
আগর বাতি আর ধুপ। মন ছুয়ে যায় তারই রুপে

নোয়াখালী জেলার মাহাতাবপুর গ্রামে ছিল আমার বাপদাদার ভিটেমাটি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা আমরা সপরিবারে গ্রামের বাড়িতেই ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি তখন ৮/৯ বছরের নাবালক শিশু। মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হবার আগে এবং পরের সময়েও এদেশে টাকার খুবই দাম ছিল। মানও ছিল।

উনিশ দিন আগে হারিয়েছিল; খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল শূন্য। প্রকৃতির অদ্ভুত লীলা; উনিশ দিন পরে ফিরে এসেছে। এখানে একটু রহস্য আছে; বিরাট রহস্য, কোন কূলকিনারা পাচ্ছিনা। তাই শেক্সপিয়ারের আপ্তবাক্যতে শান্তনা খুঁজছি। there are many things in heaven and earth বলছিলাম চশমার

ভোর বেলাতে রাখাল ছেলে
ছুটে মাঠের পানে,
হাতে বাঁশি বাজিয়ে তাই
ভরে মিষ্টি গানে। নদীর ধারে সবুজ মাঠে
প্রতিদিন যায় চলে,
ঘাস খায় সেথা গোরু তারি
তৃষ্ণা মেটায় জলে। দুপুর হলে হররোজই খায়
নুনভাত মা দেন তারে,
গোরুর গাড়ি চালিয়ে আয়
কতই হতে পারে ? পরিবারে অনেক অভাব
নেই যে টাকা-কড়ি,
তবুও রাখাল