আমি হব রোজ প্রভাতের সেই চঞ্চল পাখিটা
যে সবচেয়ে বেশি সপ্ত হর্ষে গান গায়।
আমি হব রোজ নিশির সেই তারকাটা
যে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়ায় অন্ধকারে।
আমি হব রোজ তটিনীর সেই কলকল ধ্বনিটা
যে সবচেয়ে বেশি শ্রুতি মধুর।
আমি হব রোজ শাদ্বল দূর্বাদলের সেই
কথা কও প্রজাপতি, কখনো কি তুমি
দেখেছো মোর প্রিয়তমার সুন্দর মুখখানি।
কখনো কি উড়ে গিয়ে, বসেছ তাঁর খোঁপায়
দেখেছো কি চুলের বাহার, আছে কেমন মাথায়।
দেখছো কি তাঁর চোখে হাজার কবিতার কাব্য
চোখ দিয়ে আবৃত্তি করার, কার আছে সাধ্য !
কখনো কি ছুঁয়েছিলে তাঁর হাতের
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৪ বার দেখা
| ১০৪ শব্দ ১টি ছবি
কার্পেটের নীচে যে পাপ
চাপা দিয়ে রেখেছি,
মাঝে মাঝে মাথা চাড়া দেয়।
ঝকঝকে জুতো; গলদ রয়ে
গেছে, একটা পিন
সবসময় অস্তিত্ব জানান দেয়।
আমি যতই সফেদ হতে
চাই না কেন
মলিন দাগ পিছু ছাড়ে না।
মাদক করে জীবন নষ্ট
সংসার ভরে দুখে,
জীবন শুধু ধ্বংস করে
কাটে না দিন সুখে।
সুখ পাখিটা ধরতে হলে
মাদক ছাড়ো তবে,
ভবিষ্যতটা গড়তে এখন
মন লাগাতে হবে।
জীবনটা নয় স্বল্প ক্ষণের
হয়ত সময় বাকি,
বাঁচার মত বাঁচো নয় গো
নেশার ঘোরে ফাঁকি।
মাদক সদাই মৃত্যু ঘটায়
কেন যাও তার
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৯ বার দেখা
| ৫৮ শব্দ ১টি ছবি
সমকামিতা সাম্যের নয়
সমকামিতায় মানবের ক্ষয়,
সাম্যের কথা বলে
যেও না সমকামিতার দলে।
সাম্য সমকামিতা এক নয়
সমকামিতায় মানবের ভ্রুণ ধংস হয়।
সমকামিতা রুপহীন
সমকামিতা গুণহীন
সমকামিতা যৌবনহীন মানবের।
সমকামিতা কখনো
প্রকৃত মানবের হতে পারে না।
সমকামিতা ভুলে
এসো মানবতা, মানবের কূলে
এই নদী নক্ষত্র দেশে,
আমি তো এসেছি অচিনপুর থেকে
মুসাফিরের বেশে।
থাকব কয় দিন,
সৃষ্টিকর্তা আয়ু রেখেছে যতদিন ।
তারপর চলে যাব যে কোথায়,
সৃষ্টিকর্তা নিয়ে যাবে যেথায়।
যেখানকার খবর কেউ নেই নেবার
সুখ বা দুঃখের নেই কেউ শোনার।
রচনাকালঃ
২৯/০৪/২০২১
পাখি জামা পরে ওড়তে পারে না
আকাশের ধূসর সিঁথি ধরে
পিঠবোতাম খুলে দাঁড়ায়ে আছে
নাচতে দেখি হাওয়ার শিরায়-
জটিল প্রাণী এক, সংগীত-প্রেম
দিন শেষে, সন্ধের দিকে
নেশাগ্রস্ত বৃক্ষপাতা কাঁপছে
আমার অনেকগুলো ইশারা
টক টক বুনোরাত্রির ঘ্রাণ
ঘড়ির দুরুদ শব্দ! আলপথ-নগরে।
জল কাঁদার মতো ভেসে যাচ্ছে অপবাদ!
সোনালি রোদ্দু শূন্যেই জমাট বাঁধা মেঘ-
শুধু শুধু ঘর শূন্য করচ্ছে এ ফসলি আবাদ;
মাঠগুলো অন্ধ হয়েছে আলোতেও দেখে না
নদী ভরা জল কাঁদার কথা ভাবে না- অথচ
স্বপ্ন দেখে চোখ জোড়া ছিড়াকাঁথার নিদ্রায়;
তবুও সব অপবাদ আকাশ ছুঁয়া তারার
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯১ বার দেখা
| ৫২ শব্দ ১টি ছবি
মুখাগ্নি বা অন্ত্যোষ্টি বা অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া হলো, জীবনের শেষ যজ্ঞ। অন্তইষ্টি=অন্ত্যোষ্টি বা অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া। অন্ত মানে শেষ আর ইষ্টি মানে যজ্ঞ আর ক্রিয়া মানে কার্য। আমরা জানি আমাদের সুপ্রাচীন পূর্বপুরুষদের বৈদিক সমাজ ছিল যজ্ঞপ্রধান সমাজ। জীবনের শুরু থেকে শেষাবধি সবই
সে এক নির্ঘম থম থম কালো রাত,
মৃদু হাওয়ায় ভর করে জোনাকিরা চলে,
জীবন সংগ্রামের হাজারো পথ।
মিটমিট করে গগনে জ্বলছিলো তারা,
তুষারের ছেলেকে ধরেছে ছেলে ধরা।
শুরু হলো গোলমাল লোকে ভরা বাড়ি,
এলো থানা থেকে পুলিশ ভর্তি গাড়ি।
জনতা ছেলে ধরাকে করে প্রহর এলোপাতাড়ি,
দূর গ্রামে খবর এসেছে এই ব্যক্তি
বাংলা ভাষা সেরা ভাষা,
মধুর ভাষা খুবই খাসা!
বাংলা ভাষা আন্দোলন,
একই কথা সব জনগন!
বিকাশ তার ৮০০ সাল,
১৮০০ তে ধরলো হাল!
চর্যাপদ প্রাচীন নিদর্শন,
বিকৃতির বাঁঁধা প্রয়োজন!
১৯৪৭ থেকে ৫২ সন,
ভাষার জন্য সবার মন!
৮৭ তে প্রচলন আইন,
খেলাপে হয় কি ফাইন?
ভাষা-আয়না এক চির
ব্যবহারে অনেক ধীর!
ধীরে ধীরে হচ্ছে ক্ষয়,
অসুখের
শূন্য দিয়ে বিকাশ তার পেছনে ঈশ্বর,
চন্দ্র সুর্য সাগর পর্বত গাছ নারী-নর।
সৃজন করেছে সবকিছু তিনিই এক,
তৈরি করেছেন সৌম্য ধরায় হরেক।
ইহকাল পরকাল দু’টি পাবে এক গা,
ধনাত্মক ঋণাত্মক সে সাথে দুটি পা।
অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ মিলে তিন,
জন্ম মৃত্যু বিয়ে তার কাছে যে ঋণ!
কিতাব খলিফা হামাগুড়ি সবই চার,
কোন ব্যস্ততা?
পদ্মা নদীর পাড়ি, হাঁস সারি সারি,
করছে ওরা স্নান,
পদ্মার কালো জল, করছে যে টলমল,
হয়নি তো ম্লান।
নদীর তীরে সব, বিহগের কলরব
মনোরম দৃশ্য,
চলন্ত পথযাত্রী, গভীর হল রাত্রি