প্লাটিপাসরা স্তন্যপায়ী
মানুষও তাই
ওরা মোটেই পাখি বা মাছ নয়,
তবে সন্তান প্রসব করে,
দুধ খাওয়ায় সন্তানদের
হাঁসের মতো চোখ চঞ্চু ও পা
বাদামী রংয়ের ছোট্ট এক প্রাণী!
মানুষের চোখ ও পা আছে
কিন্তু চঞ্চু নেই
প্লাটিপাসদের নেই বাড়ি,
সাদু পানিই তাদের বাসা!
নিঃসঙ্গ অবস্থায় ঘোরাঘুরি,
দিনের বেলায় ঘুম আর
রাতের বেলা চলাফেরা,
খাওয়া ঘুম এগুলোতেই
আমরা দু’জন
নেই জায়গা নেই জমি
নেই যে বাড়িঘর,
পরের বাড়িই আমার বাড়ি
ভাড়া একটা ঘর।
ঘরখানা মোর ছোটখাটো
ভাড়া চার হাজার,
টোনাটুনি দু-জনই থাকি
আমার সামান্য রোজগার!
ছেলে ছিলো মেয়েও ছিলো
এখন ছেলে পরপারে,
মেয়েটা থাকে তার শ্বশুরবাড়ি
তিন মানিক ওর ঘরে।
দুটো মেয়ে
গৃহঘোর
জীবনের শুরুতেই যদি ম্রীয়মান যত সন্ধ্যা
হ্যালোজেনে খুলে দেয় আপন ভাঁজ
দোষ দেয়া যায় না এই জন্মের
যে জন্ম জলের, যে জন্ম প্রেমের
মানবজন্ম হাইব্রিড পদ্ধতি অনুসরন করেনা
কোন মাঝরাত কেবল প্রেমজ উপাদানে ভরে ওঠে
নিঃশ্বাসের ওঠানামায় তৈরী হয়ে যায় আস্ত একখানা মানুষ।
বিস্ময় কাটেনা যেন কিছুতে
একটা মানুষ! কত কষ্টে
জীবন পথে বাধা আসবে
সব সময় তাই হয়,
সাহস করে এগিয়ে যাও
তবেই হবে জয়।
পথের কাঁটায় ভয় পাবে না
সামনে ধেয়ে যাও,
রক্ত ঝরুক মনকে আরো
শক্ত করে নাও।
ঐ যে দেখো শশী হাসে
যখন তবে রাত,
সৎ পথে যে প্রভু সহায়
দূর করে দেন ঘাত।
যুদ্ধ করেই গড়তে হবে
তোমার জীবনখান,
জয়ী
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৫১ বার দেখা
| ৫৯ শব্দ ১টি ছবি
আমার নাম দুঃখমতি
জন্মের পর দুঃখ লেপ্টে আছে।
মাথা, কোমর, হাটু, গোড়ালি
দুঃখে ভরপুর! শুধু মধ্যাংশ কিছু পরিমাণ
সুখদ, পেট দেখে যেকেউ
সুখী ভেবে নেয়। পেটের জন্য
দুঃখবাদী জীবন পাত্তা পায় না।
শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা
বসে পড়লে উঠতে পারিনা
কোনরকম দাঁড়ালে পুনরায় বসতে
কষ্ট হয়। কষ্ট সহ্য