হ্যারিকেনের সলতে শুকিয়ে গেছে
তলানিতে যতটুকু কেরাসিন ছিল
ফুরিয়ে গেছে।
দপ করে জ্বলে ওঠা সুদূর অতীত
অবশিষ্টাংশ শুধুই ছাই
সব ফুরিয়ে গেলে যেমন
শূন্যতা ছেয়ে আসে
তেমনি শূন্য শরীর নিয়ে
অপেক্ষায় আছি, শীঘ্র কবরে ঢুকব।
কলিকাতার মেয়ে
আমার দিকে দেখ
একবার চেয়ে,
সুখ- শান্তি, ভালবাসা
যাবে সব পেয়ে।
কলিকাতার মেয়ে
ওহে বর্ষা বেরা,
তোমার মন কি
ধর্মের বেড়ায় ঘেরা?
কি নেই আমার মাঝে
তোমার কাছে
ভালবাসার আবদার করে
মরছি আজ লাজে!
কলিকাতার মেয়ে
ভালবাসা
চেয়ে করেছি কি মহাভূল?
তুমি মানুষ
আমিও মানুষ
কিসে আমার মাঝে দেখ
ধর্ম, জাত- কূল?
কলিকতার মেয়ে
ওহে বর্ষা বেরা,
তোমার
আরও রক্ত ঝরুক, তবুও পৃথিবী জানুক,
আমরা রক্ত দিতে জানি, মাথা নোয়াতে নয়।
আমাদের নেতা আমাদের রক্ত দেয়া শিখিয়েছেন,
সেই যে বদরে আমরা রক্ত দিয়ে বিজয় আনলাম।
তারপর থেকে আমরা রক্ত দিয়েই ইতিহাস লিখে চলেছি,
কেবল বিজয় আমাদের মঞ্জিল, গোলামী আমাদের রক্তে নেই।।
কেউ বলে এত
ইচ্ছে করলে বৃষ্টিটা এড়িয়ে যাওয়া যেত, তার ইচ্ছে করেনি। দ্রুত বাড়ি ফেরার তাড়া, মাথার ভেতর কারা যেনো প্রবল আক্রোশে করাত চালাচ্ছে, ব্যথায় কুকড়ে উঠছে সে। ঘরে ফিরে বিছানায় গা এলিয়ে দিলেই শান্তি, কিন্তু ঘর যে বহুদূর। কত মানুষ আস্ত জীবন
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১৮ বার দেখা
| ১৭৯৭ শব্দ ১টি ছবি
অনেকের ধারণা করোনা ভ্যাকসিন তৈরির মেধাস্বত্ব তুলে দিলে যে কোন দেশে টীকা তৈরি করা সম্ভব। আসলে এই ধারনাটা ভুল। পারমাণবিক বোমা তৈরির সুত্র জানলে যেমন পারমাণবিক বোমা তৈরি করা যায় না।
টীকা তৈরির জন্য অবকাঠামো, টীকা তৈরির উপকরণ, দক্ষ জনশক্তি সহ
প্রাণ আজও আছে বলে
খিদের অবিনাশী পাত্রে শব্দ ওঠে – ভাত দে – ভাত দে – ভাত
কালো ছায়ার ফেনা মাথার উপর দাঁড়িয়ে
তিনপা মাপার নিপাট অভিনয়ে
দাবি করছে সমস্ত রাজপাট।
আমি বিশ্বাস করিনি সে সর্বগ্রাসী রূপ,
দেখি বন্ধুদের চোখে জাগিয়ে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১২ বার দেখা
| ১১৯ শব্দ ১টি ছবি
কিছু ছড়া আর অল্প কিছু পদ্য নিয়ে ‘হিরের স্বপ্ন চারকোলে’ – একটা তিন ফর্মার সংকলন করেছিলাম ২০১১ সালের শেষে। তার শুরুতে এই চতুর্পদী ছিল –
রাত যদিও মূর্ছিত
সকাল জন্ম তার কোলে
ভাঙা ডানায় উড়ছি তো
হিরের স্বপ্ন চারকোলে
আমার তখন ভাঙা-ডানা নয়, মূর্ছিত দশাই। সেই বইয়ের বড়জোর পাঁচ
হে অনন্ত যৌবনা
তুই তোর যৌবন নিয়ে থাক,
আমি আর
অলি হয়ে তোর মধু খাওয়ার আশে গুনগুন করছি না।
পাঁপড়ি জড়িয়ে যদি আ-জীবন থাকতে পারিস থাক
তোর মধু খাওয়ার আশে অনেক অলি গুনগুন করছে
আজাদ অলি, মামুন অলি, ওবায়ইদুল অলি
আরো নাম না জানা অনেক!
কিন্তুসব অলি
রঙ করা পুতুল কি মানবতা?
মানবতা এখন
মৃত্যুকেও ভয় পায় না
শুধু প্রতিহিংসার
হাত মন ভাবনা চিন্তা প্রবাহমান!
স্থলে জলে- বনে জঙ্গলে শুধু
নিজের মৃত্যুকেও ভাবছে না।
মানবতা সভ্যতার কাছে হেরে গেছে;
মানবতা হতে পারে ভিন্নরুপ
অথচ মানব দেহের রক্ত,
রক্তের রঙ লাল ভিন্ন নয়-
তবুও
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৭৮ বার দেখা
| ৭৪ শব্দ ১টি ছবি
সাঁঝ হলো আঁধার ঘনিয়ে এলো
বসেছে আলোর মেলা,
জোনাকিরা তৈরি আছে
দেখাবে আলোর খেলা।
বাজলো তোমার আলোর বেণু
জগৎ মাঝারে,
জগতটা যে ভরে গেছে
অশুভের আঁধারে।
সত্যের আলো জ্বালিয়ে দূর করব
তাই না রে,
অশুভর কালো ছায়া নিয়েছে আঁকড়ে
জগতের সব কাজে রে।
কি
আমার চলার পথে কিংবা
বাড়ি ফেরার সময়, কয়েদী বহনকারী
নীল গাড়িটি আমি প্রায়ই দেখি। শিকের ওপারে
একচিলতে আকাশ ছুঁতে চাওয়া
অসহায় কতগুলো হাত, যেন
নিঃস্ব কাব্যকলার এক বোবা ভাস্কর্য!
আজ আরো একজোড়া হাত দেখলাম
আয়তাকার শিকের ওপারে অসহায়
নির্ণিমেষ চেয়ে থাকা সেই হাত
আকাশ ছুঁতে না পারার অক্ষমতায় স্থবির
অতি
১৯৮৪ তে এরশাদের শাসনামলে দেশের সকল সংবাদপত্র অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়। তখন মোবাইল ইন্টারনেট ছিল না। এসএসসি পরীক্ষার ফল স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। আমি যে স্কুল থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছি তা বাড়ি থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে। দুরু দুরু বুকে ফল জানতে
মানুষ হয়ে দাঁড়াও
ফিলিস্তিনির পাশে,
মুসলিম-হিন্দু – বৌদ্ধ – ক্রিশ্চান
ধর্ম এসব আজ লাজে।
কোথায় ধর্ম
কোথায় জাতিসংঘ,
কোথায় ওআইসি
কোথায় আসিয়ান
মানুষ গুলো মরছে যুগ যুগ
হয়নি কি আজও তাদের জ্ঞান?
ধর্ম নেতা,রাষ্ট্র নেতা,জাতিসংঘের নেতা
নিভৃতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত চুমায়,
নাকে তৈল দিয়ে তারা
খায় আর ঘুমায়।
মানুষ হয়ে দাঁড়াও
ফিলিস্তিনির পাশে,
হে