আমি এজন্য খুব মৃত্যুকে ভয় করি
কারণ আমি খুব কাছে থেকে একটি মৃত্যু দেখেছি।
যে মৃত্যু মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে,
এক ছোট্ট বুভুক্ষা পথশিশু খাদ্য নিয়ে দৌড়েতে
অকস্মাৎ ট্রেনের তলে পড়ে আপাদমস্তক ছিন্নভিন্ন।
পরক্ষণেই শুনতে পেলাম খাদ্য তার না, তার বাবার জন্য
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের
বাঙালিরা স্বভাবগতভাবে একজনরে ছোটো না কইরা অন্যজনরে বড় করবার পারে না, আর বাঙালি ব্যবসাও বোঝেনা- এই দুইটা কথাই সইত্য। তা না হইলে আজ সারা দুনিয়ায় ছড়াইয়া যাওয়া ‘একজনরে ছোটো বানাইয়া অন্য জনরে বড় প্রমাণ’এর অভ্যাসটার কপিরাইট দাবী কইরা বহুত ফরেন
সম্পর্কে নক্ষত্রেরা
বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর নজরুল ইসলাম। কেমন ছিলো দুজনের মধ্যে সম্পর্ক? বাংলা সাহিত্যের দুই মহান কবির মধ্যে যে গভীর সুসম্পর্ক ছিল তা আমাদের অনেকেরই অজানা।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সম্পর্ক : ১
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘১৪০০ সাল’ কবিতা লেখেন ১৩০২
বন বাদাড়ে ঘুরে ফিরে তোমার
কেটেছে সারাবেলা,
ছিন্নমূলে হয়েছে বড় তাই
পেয়েছ কত হেলা।
অনাহারে থেকে তুমি ঘুরছে
মানুষের দ্বারে দ্বার,
জানেন শুধু ঐ সৃজনকারী
বুভুক্ষা থেকেছ কত বার।
কৈশোরে তুমি লেটো দলের সাথে
ঘুরে গেয়েছ কত গান,
মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাজ
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৭ বার দেখা
| ৭৬ শব্দ ১টি ছবি
নেই কোন আশা? এসো কাছে বসে চলে যাই দূরে-
শুধু কিছুক্ষণ পাশাপাশি! গ্রহণ যদি না-ই করো
কি করতে পারি ! আমার হৃদয়ের সব প্রান্ত ঘিরে
জমেছিল মেঘ, বৃষ্টি ঝরে ঝরে, মুক্ত হবে আরো?
এই হাতে রাখো হাত শেষবার। ছুঁয়ে পুরান ব্যাথা
থেমে যাই যদি কোন অচিন কালে
রহস্য রহস্য রহস্য,
রহস্যময় বসুন্ধরাতে
সকল স্থানে রয়েছে অজস্র রহস্য
জন্ম জন্মান্তর এ রহস্য অনুসন্ধান করলে,
কিন্তু সেই রহস্য উদঘাটন করা যায় না।
এ রহস্য কি কঠিন থেকে কঠিনতর?
যার সন্ধান পেতে পেতে শেষ হয় জীবনের দীর্ঘ খানি।
মাত্র মৃত্যু এনে দেয় সকল কাজে বিষন্নতা,
শেষ হয়
তোমাদের আচরণ দেখে
আমি আর মানুষ হতে চাইবো না;
ফানুসের হয়ে থাকতে চাই
রঙ বিরল আকাশে- ঘাসফড়িং বেসে
তোমাদের ফেরেশতা সুবল
হাসির মাঝে শয়তানের মুখ রহ রহ দেখি
শুধু শুধু আমাকে মানুষ হতে বলো!
সুসম্পর্কের পিচে স্বার্থ চোখ, মন প্রবাহিত,
কি করে আমি
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৩ বার দেখা
| ৫৩ শব্দ ১টি ছবি
যদিও সে মন খুলে হাসে, প্রাণ খুলে গায়
তবুও কেন সুখী নয়,
সুখী হতে চাইলে ভালোবাসা লাগে,
সত্যিকারে ভালোবাসা
যে ভালোবাসা থাকবে জন্ম জন্মান্তর।
বুকে গিরি সমতুল ব্যথা নিয়েও তো মানুষ হাসে,
হেসে যায় নিরবে নিভৃতে,
তবুও কেন সে বা তারা সুখী নয়
কারণ তারা প্রকৃত অর্থে
আমার অনুকরণ করিও না।
হৃদয় আমার নানা ঘটনা প্রবাহে প্রভাবিত,
নিরপেক্ষ নয়।
আমিতো আমাকে চিনি,
মনোবিজ্ঞানীর মত শুনতে শিখেছি আমি।
গভীর ভালোবাসা নিয়ে কিছু বলি যখন,
তার উপর সামান্য বিশ্বাস রাখতে পার,
যেমন এখন বলছি।
এটা দুঃখজনক!
সারা জীবন আমার বুদ্ধিমত্তা,
ভাষার উপর আমার দখল,
আমার গভীর
তোমার ভালোবাসার ওজন অনেক বেশি।
পাথরের পাহাড়ের মতো চাপ দিয়ে ধরে আমার বুকে;
আমি সে ভার সইতে পারি না।
তবুও সইতে হয় কেন-না তুমি থাকো আমার থেকে দূরে।
তোমার ভালোবাসার আকর্ষন; মধ্যাকর্ষণের চেয়েও বেশি।
মনে হয় সৌর চুম্বকের মতো আমাকে টেনে ধরে;
আমি সামাল দিতে পারি না।
তবুও
তুমি আমি সবে করি বাস এক সাথে
প্রতিদিন দেখা মেলে যবে মিলি প্রাতে;
কত শোষণে শাসনে মোরা সবে বাঁচি
কষ্ট যত বুকে নিয়ে তবু ভালো আছি।
কখনো বা ক্রোধে করি কত মারামারি
তাই যে সমাজে দেখি দুখ আহাজারি;
যাদের অর্থ অনেক বড়ো সুখে রয়
নাহি তাদের অশান্তি
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২১৪ বার দেখা
| ১০৮ শব্দ ১টি ছবি