জানিনে আমি কে আমার বাবা আর কে মা
এই ফুটপাতে বসে আমার কাটে সারাবেলা
যে দেখে আমায় করে শুধু অবজ্ঞা পোষণ
চাইলে কোনো কাজ করে সবাই হেলা।
এ কেমন সমাজ আমি তো পায় না
মানুষ হিসাবে কোনো অধিকার,
সবাই তো আমায় দূর দূর করে
কি এমন ডাক রে ভাই- কি এমন ডাক
নাই কোন যার ঢাক ঢোল শব্দ আওয়াজ!
তবুও ডাক আসে- এমনি সময়- কেউ
পারে না ফিরাতে- তবু চলে যাতে হয়-
নির্দয়, নীরময়, জগৎময় সংসার ছেড়ে-
ভাবছো না- কার আগে- কে যাবে।
কি এমন আঁধার-
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৬৩ বার দেখা
| ৭৮ শব্দ ১টি ছবি
প্রতি বরষায় এই শহরে ভিড় জমে
রক্ত-কাদা-জল আর ট্রাফিক সার্জেন্টের হুইসেল
আবারো ফিরিয়ে আনে রজঃস্বলা মাকে;
মায়ের যৌবন
স্পষ্ট শুনি ছমছম নূপুরের শিহরণ
ঝুম বৃষ্টি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কলকল
ছোট বড় সব রাস্তা ছুঁয়ে বাড়ীটির পাশে।
জটিল আঁধারেও মুখ ছিল তার শরদিন্দু মোহর
দুধের নধর বাটি সারা গায়ে
কত
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩৩ বার দেখা
| ১৩১ শব্দ ১টি ছবি
শরীরের ছায়া ক্রমে খাটো হচ্ছে
একদার উজ্জ্বল দৃষ্টি আজ ম্রিয়মাণ
চাইলেই দৃশ্যান্তর হচ্ছে না;
চাইলেই পাখি মেলাতে পারছে না ডানা,
ডাকছে ঘুম, শুনতে পাচ্ছি দীর্ঘ ঘুমের ডাক।
দীর্ঘ ঘুমে গেলে এতকাল যারা
খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে দোষ খুঁজে বেড়াত
তারা ক্ষান্ত দিবে।
গুণগ্রাহী যারা ছিল,
যাদের উচ্চাশা ছিল পর্বত পরিমাণ,
ক্ষনিকের
তোমার রূপ ধরে রোপণ করি প্রেম
এখানে নাগরিক, নগর-অরণ্য
আসমানি সব সুঘ্রাণ ফুল-
কথাবলার ঠোঁট, রপ্ত পাতায়
জমানো হাওয়ার মতো মুখ
গোলাপিনেশায় সে এক সপ্তর্ষী দেশ
পড়ন্ত নৌকুর পালে ভেসে যাওয়া-ভোর!
আমি প্যালেস্টাইনের হামজার মা বলছি
আর কত বোমা বিস্ফোরণ হব
আর কত রকেট দিয়ে নিক্ষেপ করবে ক্ষেপণাস্ত্র।
আর কত আমার হামজার মতো ঝরে পড়বে অকাল প্রাণ,
আমার মেয়ের মতো আর কত মেয়ের লুণ্ঠন হবে ইজ্জত,
আর কত গাঁজায় লাশ পড়ে থাকবে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫৩ বার দেখা
| ১২৩ শব্দ ১টি ছবি
ঝর্ণা মিশে নদীর সাথে
নদী মিশে সাগরে,
বাতাস বহে মৃদুমন্দে
আরাম দিয়ে আহারে।
জুটি ছাড়া নয় কিছু পৃথিবীর
সব চলে প্রকৃতির নির্দিষ্ট আইনে
একজন অন্যজনে মিশে যেতে অধীর
তবে আমি থাকব কেন তুমি বিহীনে?
পাহাড় কেমন ছুঁতে চায় আকাশ
ঢেউগুলো পরস্পর মিলে মিশে দেয় তালি
ফুলগুলো সব খুঁজে নেয় বাতাস
আপন