আজ যারা সুখে বেঁচে আছো, পান করে যাচ্ছো জল
বায়ু মাঝে ডুবে নিচ্ছ শ্বাস, খেয়ে যাচ্ছো মুল ফল
দেখছো আছে এখানে কেহ, ঘুরে পথে প্রান্তরে
উদাস হয়ে প্রাণের টানে চলে যায় বহুদূরে
তাদের মাঝে কেউ আছে শুধু সুখ খোঁজেনি মিছে
তাদের কাল কাটেনি কেবল জন্মে জন্মানো পিছে।
অপেক্ষার সরণী বেয়ে প্রতিটি ভালোবাসার মাঝে জড়িয়ে থাকে দূরত্বের,
অদেখা অস্পর্শী কিংবা কখনো অনিয়ন্ত্রিত মনের দহন,
তবু ভালোবাসি, সকল নিয়মের শৃঙ্খল ভেঙে
অতৃপ্ত জ্বালা অসীম শূন্যতায়,
এক বৈশাখে চলে এসো সাথে নিয়ে একবুক প্রেম
ছড়িয়ে দিও চন্দ্রমল্লিকার ভালোবাসার উত্তাল শিহরণ,
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জড়িয়ে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৫৫ বার দেখা
| ৯৮ শব্দ ১টি ছবি
ওহে কামার, ওহে কুমার, ওহে চাষা শ্রমিক ভাই,
তোমাদের মতো দেব্যতুল্য মানুষ ধরায় আর নাই।
তোমাদের হাত ধরে হয়েছে সভ্যতার উত্থান,
তাই সম্মিলিত কন্ঠে গাওয়া উচিত তোমাদের জয় গান।
তোমাদের বক্ষে ভর করে চলে এই ধরার সকল গনি,
করে শুধু শোষণ দেয় না কখনো
বৈশাখী ঝড় কখনো বা অতি বৃষ্টি
খরা করে গেল নষ্ট কত ফসল;
বদলে গেল কত যে জীবনের কুষ্ঠি
দগ্ধ করলো প্রাণ বারুদ অনল।
কত যন্ত্রণা শঙ্কা বাংলার ঘরে ঘরে
ধ্বনিত আহাজারি আর বিলাপ;
তবু যেন এই বাংলার মানুষ পারে
করে হজম, চলে প্রেম সংলাপ।
লঞ্চডুবি অহরহ দুর্ঘটনা পথে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৭ বার দেখা
| ১০১ শব্দ ১টি ছবি
খাতা থাকে মহাজনের
আরো থাকে মুদির
ধারে বিক্রির হিসাব রাখে
লাভ-লোকসান গদির ।
চলা ফেরায় কটু কথায়
তোমার মনের বাঁকে ।
মনের খাতায় আমার নামে
বকেয়া যদি থাকে ।
হালখাতাতে এলাম আমি
আমার সালাম নিও
জীবন হাটের বিকিকিনি’র
ছাড় বাট্টা দিও ।
মনের খাতার পাতা জুড়ে
ছিল যত ঋণ
ফতুর আমি হে মহাজন
ক্ষমা করে দিন ।
জীবন চলার পথে
মানুষকে পারি দিতে হয়,
কত সরল গরল পথ।
চলতে হয় কত রংয়ের মানুষের সাথে,
কেউ সুজন, আবার কেউ কুজন।
তবুও চলতে হয় প্রতিকূল পরিস্থিতি,
মোকাবেলা করে।
জীবন যত দীর্ঘ হবে ঘাত প্রতিঘাত,
তত বেশি পার করতে হবে।
ততই মানুষ চতুর থেকে সুচতুর
আজকাল তবে জীবন কতো
সহজ হলো ভাই,
হাঁটাহাঁটি কি দরকার ? সব
হাত বাড়ালেই পাই।
যাদের আছে গাড়ি একখান
লাগে না আর শ্রম,
আধা ডজন চাকর বাকর
সুখের নেই যে কম।
আগের দিনে দূর দূরান্তে
ছিলো বাজার হাঁট,
পায়ে হেঁটে চলতো সবাই
মেঠো রাস্তা ঘাট।
দ্রব্য মূল্য বাড়লে আহা
ছুটতো গায়ের ঘাম,
কৃষাণ কষ্টে ফলায় শস্য
পায় কখনো দাম
প্রতিদিন সকালের আয়নায় যাকে
দেখি, মানুষই মনে হয়
দিন যত দীর্ঘ হতে থাকে
সে হতে থাকে ক্ষুদ্র।
মধ্য দুপুরে সে বামনে পরিণত হয়
তার চিন্তা ক্ষুদ্র, ভাবনা ক্ষুদ্র
পরিধেয় পোষাকে তাকে
মানুষ বলতে দ্বিধা হয়।
বিকেলের আড্ডায় যখন
রাজা-উজির মারে
নিজেকে সাফল্যের গালিভার ভেবে
ক্ষুদ্র মানুষদের করুণার চোখে দেখে
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৬ বার দেখা
| ১০০ শব্দ
ভালোবাসা যখন মায়ায় পরিনত হয়; সে এক বিপদ!
“মায়া” – সে এক অদ্ভুত অনুভূতি
এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটি বিপদ
যার থেকে কোনো উদ্ধার নেই—
যে একবার এই মায়ায় পড়েছে
সে এক অসীম উদ্ধারহীন বিপদে পড়েছে।
হা – ঈশ্বর!
তুমি মানুষের মাঝে এই মায়া দিয়ে
বিনিময়ে, তার বিনিময়ে
কেন এমন
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৫৫ বার দেখা
| ৫০ শব্দ ১টি ছবি
আমার লেখায় একশো কমেন্ট
তোমার লেখায় দশ।
আমিই তবে মস্ত কবি
আমিই তবে বস।
এসব জানি বাচ্চাদেরই
খেলার মাঝে আসে,
আমিই বড় তুইই ছোট
বলতে ভালবাসে।
ইচ্ছে হলেই ভাব করবে
ইচ্ছে হলেই আড়ি,
গোঁসসা হলেই খেলব না যা
গোমড়া মুখে বাড়ী।
ফেবু এখন জীবন মরণ
ফেবু এখন পেশা,
মুয়া দেওয়া মুয়া নেওয়া
ফেবু ধরায় নেশা।
লাইক
সাহিত্য আর সংস্কৃতিতে
দখল নিয়ে বলতে চায়
একাত্তরে ভুল করেনি
তাদের মরা বাপ-দাদায়।
এখন বলে মিলে মিশে
আসুন আমরা দেশ গড়ি
শহিদ স্মৃতি ভুলে গিয়ে
খেলাফতের পথ ধরি
মূল পরিচয় লুকিয়ে রেখে
সুশীল সেজে, হাটবাজার
গরম করে- চেয়ে দেখো
আওলাদে সব রাজাকার।