আমার শার্টের আস্তিন ছিঁড়ে ফেলেছ
কেন এতটা তীব্র চুরমার তরঙ্গ তোমার
কেবল প্রতিটি বোতামঘর তাকায়ে-
জলটুপ গোপন কোলাহলে ভিজে ওঠে
নির্জন নদীর মতো রাত্রি, নৈঃশব্দ্য জ্যোৎস্না
ছোট কাঁচাবাজারের মতো ব্যস্তময় পৃথিবী-
অথচ এমন নিঃশব্দ নক্ষত্র লোকমুখ
বিপুলা গল্প বলায়ে যায়
আমাদের টানটান বেগানা হাত, বিরহ আঙুলে
হাওয়ার স্নান শেষে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৪ বার দেখা
| ৪৩ শব্দ ১টি ছবি
করোনা বলে আসলে বিশেষ কোনো বীজাণু নেই!
যা আছে, তা দীর্ঘঘুমের একটি বাহু মাত্র!
যে বাহু না থাকলে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে
জড়িয়ে ধরতে পারে না। ফেরাতে পারে না বৈশাখি তাণ্ডব!
অগণিত মৃত্যুর ভার নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে যে পৃথিবী
আমার এখন আর তার দিকে তাকাবারও ইচ্ছে
করে না। বরং
প্রতিদিনের মত
চোখ দুটো এই গভীর রাতেও খোলা;
কে রেখেছে টেনে!
কি রয়েছে ধ্যানে
পাই খুঁজে তার কোনো উত্তর
দীপ্ত চোখে চেয়ে থাকা শুধু।
ঘুমহীন এই রাত কেটে যায় বন্দী একা ঘরে!
কিসের নেশায়
কিসের চিন্তায়
কিসের ভয়ে যু যু!
কি হারাবো কিই বা পাবো
নাই সে এমন হিসাব
মনের মাঝে এমন কোন
জমা তো নাই বিষাদ
তবে
চরিত্রের বৈপরীত্য দেখেছ?
ব্যবহারের?
সম্পর্কের?
সংসারের?
মানুষের?
বৈপরীত্যগুলো খুব প্রকট
বিশেষ করে একান্নবর্তী পরিবারে
বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে
কার কার চরিত্রের বৈপরীত্যের কথা বলব?
চরিত্রের বৈপরীত্য কখন থেকে শুরু হয় জানো?
যখন স্বার্থ নখদন্ত বিকশিত করে ফেলে
যখন সম্পত্তির ভাগাভাগি সম্পর্ক ভাগ করে
যখন বাবা-মায়ের ভাগাভাগি সন্তানদের
মন পুটুলি মানুষে দিয়ে আমি ঘুমাই নিশ্চিত হয়ে
স্বপ্ন দেখি দুনিয়া জয়ের গাছতলাতে শুয়ে
মানুষ হয়ে মানুষ লয়ে করছি যে মানুষ লীলা
গড়তে গিয়ে সেই মানুষে খুলতে আছি তালা।
দাঁড়িয়ে আছে মন প্রহরী, মন দরিদ্রের ধন
মন টাকা কড়ি, না জানি কে করছে হরণ
প্রেমে
ঘর থেকে বের হই, প্রথম কদমের পূর্বে স্রষ্টার কৃপা কামনা করে এগোই পৃথিবীর পথে। যে পথ গুলো জালের মতন ছড়িয়ে আছে। এক একটা পথ এক একটা মঞ্জিলের দিকে ছুটছে, কোন কোন পথ আবার ধূম্রজালের মতন, লেটানো, পেঁচানো; কোন অতীব
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৩ বার দেখা
| ৭৯৭ শব্দ ১টি ছবি
বাংলাদেশে রমজানের ভিন্ন মাত্রার একটা সৌন্দর্য্য আছে, এটা শুধু বাংলাদেশেই কি না জানিনা। রমজান মাসে এই ছোট ছোট সুন্দর দৃশ্যগুলো দেখি আর ভাবি একটি ধর্মীয় আচার কিভাবে সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়, সংস্কৃতির পরিচায়ক হয়ে ওঠে। পুরান ঢাকাসহ দেশের অনভিজাত মহল্লাগুলোতে
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪২২ বার দেখা
| ২৫৫ শব্দ ১টি ছবি
ছাপাখানা থেকে শব্দরা দোল খায়
এত জ্যান্ত তাজা
কপালের টিপ হরফের মতো;
দীর্ঘদেহী ক্যাম্বাসে ভেসে উঠছে
বকুলঘ্রাণে মুখ, মনে পড়ে-রায়
জমাট ভাষা জড়ায়ে মিশ্রিত প্রেম
তোমার স্মৃতির নথিছায়া এখানে
এই শহরে সুরালোলিত রোদ
জ্বলজ্বলে এক সিঁথি ধরে
নেমে যাচ্ছে হাওয়াদের আয়োজন
ডুমুরফুলের কোলাহলময়ী সংসার!
১৮ এপ্রিল ২১ | ♥
আমার দেশের সোনার ছেলে
মাঠে ফলায় ধান,
কষ্ট ভোলার জন্য ধরে
আহা মধুর গান।
গাত্র পোড়ে সোনার ছেলের
সবারে দিতে অন্ন,
এমন ছেলে কে না চাই বল
এই জগতের জন্য।
রচনাকালঃ
১৪/০৪/২০২১
কাণার হাটবাজারে, কানায় কানায় ঠেলাঠেলি
মঞ্চ করে মাইক বাজিয়ে করছে গালাগালি
এখানে দিন কাণা, পরের ক্ষেতে দিচ্ছে হানা
ওখানে রাত কাণা আলোর পথে দিচ্ছে মানা
কেউ দেখি ভাই হয় মাজহাব কাণা
কেউ দেখি পীর খোঁজে হয় ফানা ফানা
নবীর প্রেমের কথা বলে নবীরে ফেলে দূরে
যে জন বড় জনা
আমি তোমাকে ঠিক সেভাবে চাই
যেভাবে একটা শিশু চায় খেলনা।
আমি তোমাকে সেভাবে ভালোবাসি
যেভাবে মানুষ ভালোবাসে জীবনকে।
আমি তোমাকে সেভাবে ছুঁতে চাই
যেভাবে সবাই ছুঁতে চায় চাঁদকে।
আমি তোমাকে সেভাবে কাছে চাই
যেভাবে কাছে চায় মরুভূমি বৃষ্টিকে।
তোমাতে সেভাবে মিশে যেতে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪০০ বার দেখা
| ৫৯ শব্দ ১টি ছবি