আমি মুজিবের কারাভোগের কথা বলছি,
আমি এ্যাকশন গ্রুপ আর ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের কথা বলছি,
আমি বাংলার লাল সবুজ পতাকার কথা বলছি,
আমি রায়ের বাজারের বদ্ধভূমির কথা বলছি,
আমি মহি মতি কামাল নূরের জীবন উৎস্বর্গের কথা বলছি,
আমি রেসকোর্স ময়দানে নিয়াজির স্বাক্ষরতার কথা বলছি,
আমি বীর বাঙালির
তোমার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে,
পৃথিবীকে ব্যবহার করতে
আমাকে দিলে অনুমতি!
কিছু ফিরে পাব সেই প্রত্যাশায়, মতিগতি
করে নিয়ে ঠিক
আমি বিনিয়োগ করি অধিক।
বলতেই হয় আমার ইতিহাস
ব্যর্থতার পরিহাস।
বিশেষ করে
টমেটোর পাতা ঝরে
এতটা পোকার আক্রমণ
গুটিয়ে নিতে চায় মন!
তোমার উচিত হবে
অধিক বর্ষণমুখরতা ঝরঝর
কচরিফুল সেদিন স্বপন রাতছিল ক্ষীণ
পাখিদের গান নেই, ভোরের আলো নেই-
সারা শরীরটা জুড়ে করোনার বার্তা এলো;
তারপর শুরু হলো যুদ্ধ দীর্ঘ ১৮দিন দুঃশ্চিন্তা !!
কোন ভাবনা নেই, কবিতারা যেনো মৃত প্রায়
যুদ্ধ করতে করতে এই বুঝি শহীদ হওয়া
শ্লোগান শুনা যায় তারপর হঠাৎ নিশ্বাস ফিরে
এলো-
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬০৪ বার দেখা
| ৬১ শব্দ ১টি ছবি
আমি বাংলাদেশের সমান, বয়সে। দুই চার মাস এদিক সেদিক হতে পারে। বাংলাদেশ এবং আমি একসাথে বড় হয়েছি। ৫০ বছরে দু’জনের তুলনা করলে দেখি আমাদের বড় হওয়া প্রায় অভিন্ন।
আমাদের জীবনে ঘাত প্রতিঘাত এসেছে, ঝড়, ঝঞ্ঝা এসেছে আবার আলো ঝলমলে অসংখ্য দিন
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩৬ বার দেখা
| ২৩৫ শব্দ ১টি ছবি
গান গাইতাম বলে
আমাকে কোয়েলের মতো নরম ভেবেছিলো,
ছবি লিখতাম বলে
ভেবেছিলো দিগন্তের মতো খোলামেলা,
টুকরো টাকরা ডালপালা জুড়ে
রক্ষিনী- যক্ষিণী ছাঁচ গড়ে দিতাম বলে
সে তার আদিম অরণ্যে
হাত ধরে টেনে নিতে
এক ফোঁটা অপেক্ষা রাখেনি—
তারপর, শিকারের চেরা রাতে
ভেষজ এরোমা মাখা
জ্যোৎস্নার আয়নায়
পোড়াগাছ–টেরাকোটা বলিরেখা
নষ্টচাঁদ
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১২ বার দেখা
| ৯০ শব্দ ১টি ছবি
আমি সাতই মার্চের গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপানো মুখরিত জ্বালাময়ী সেই বজ্রকন্ঠ বাণীর কথা বলছি,
আমি বাঙালির কলঙ্কজবক অধ্যায় কালো রাত্রির কথা বলছি,
আমি মুজিবের ছাব্বিশে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার কথা বলছি,
আমি মুজিব নগর সরকার গঠনের কথা বলছি,
আমি রাজাকার আলবদর আল-শামস বাহিনীর কথা বলছি,
আমি
৩ শরীর লিখে বীরত্ব গাথা
সময়ের গান গো
ছন্দে ছন্দে গাথি আনন্দে
সময়ের গান গো।
বর্তমানের কথা জুড়ি
অতীতের ও দূর গো।
সময়ের গান গো
ছন্দে ছন্দে গাথি আনন্দে
সময়ের গান গো।
অতীত এসে বসল পাশে
সামনে দেখি ভবিষ্যৎ হাসে
লোক সকলে মাতে তাতে
সুধাই আমি দূরে গো।
সময়ের গান গো
ছন্দে
আমার স্বপ্নে রোজ একটা মেয়ে আসে
মধ্য রাতে স্বপ্নে এসে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়
তারপর বাকি রাত শুধু তার কথা ভেবেই কাটে।
লাল শাড়ি পরা মেয়ে, বউয়ের সাজে দাঁড়িয়ে থাকে
খুব পরিচিত মনে হয়, কিন্তু চিনতে পারি না
তার চোখে অদ্ভুত চাহনি।
কাজল, লিপিস্টিক, টিপ, গহনা
সব কিছু দিয়ে সুন্দর করে সেজেছে।
আমাকে
পৃথক চিন্তায় বেড়ে ওঠা দু’জন দু’দিকে গেছে
একজন আলো অভিমুখে হেঁটে হয়ে উঠেছে আলোকিত
অন্যজন বিপরীত আলোয় কোথায় যে তলিয়ে গেছে।
পুনরায় মিলনের সম্ভাবনা নেই, যদিও মিলে
আলোকিত জনের আলো অন্ধকার মিটাতে পারবে না
মনের গভীরে ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ, কোন আলো ভেদ করা
অসম্ভব।
আলোর কারবারি অহেতুক আলো
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯৫ বার দেখা
| ১০১ শব্দ
স্বাধীনতা তুমি কি
কখনো হবে এই অদমে বিলীন
নাকি উত্তপ্ত পিচঢালা পথ
হবে রক্তে রক্তাক্ত রঙ্গীন,
স্বাধীনতা তুমি কি
কখনো নুয়ে পড়া লজ্জাবতী কাঁটা
নাকি বালিকার আত্মচিৎকার বদ্ধঘর
হবে নীলিমার নীল নীলাঞ্জনার ভাটা,
স্বাধীনতা তুমি কি
কখনো রবে কৃষকের মুখে হাসি
নাকি উজানে পালিয়ে যাওয়া স্রোত
হবে কালো কালান্তর কালিয়া রাশি,
স্বাধীনতা
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৭৫ বার দেখা
| ১১৫ শব্দ ১টি ছবি
আমি ভারত পাক যুদ্ধের কথা বলছি,
আমি বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফার কথা বলছি,
আমি সেই আগরতলার মিথ্যা মামলার কথা বলছি,
আমি আসাদ জহুরুল আর শামসুজ্জোহার হত্যার কথা বলছি,
আমি আরও স্বচ্ছ করে বলি,
আমি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের কথা বলছি,
আমি সত্তরের প্রহসন মূলক নির্বাচনের
আমাকে আকড়ে রাখো
হারিয়ে ফেলো না-
কি এসে যায়, কে কি বললো
কি এসে যাবে, কে কি জানলো
তোমার প্রথম নাম মুক্তি
তোমার দ্বিতীয় নাম যুদ্ধ
তোমার নামে বইয়ে বেড়াই ভাব, ছন্দ
মানুষের ভিতরের লাল গোলাপ
প্রতিটি জীবে, পদার্থে
আমার মন তোমায় সাথে নিয়ে চলে
চেতনা তোমার ডানায় ভর করে উড়ে
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা
আমাকে আকড়ে
১৯৭১ থেকে ২০২১ এর ২৬ শে মার্চ-
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এর আজ সূবর্ণ জয়ন্তী। বাঙালি জাতির জীবনে অনন্যসাধারণ একটি দিন। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় দিনটি। তাইতো স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনার এই সময়টি জাতি নিবিড় আবেগের
এবারের বইমেলায় চলন্তিকা প্রকাশনী হতে প্রকাশ হয়েছে তরুণ কবি-আবৃত্তিকার শেখ সাদী মারজানের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ মধ্যবিত্ত জীবনের মানে।
মধ্যবিত্ত জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, স্বপ্ন ও বাস্তবতা; প্রতীক ও রুপকের সাথে শব্দের গাঁথুনীতে ফুটে উঠেছে। ৪৮ পৃষ্ঠার বইটিতে রয়েছে চল্লিশটি
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলে নাকি কবিতার জন্ম হয়
আমি সারারাত তোমায় ভেবে বালিশ ধরে কাঁদি
গাল বেয়ে ভালোবাসা গড়িয়ে পড়ে
বুক চেপে ধরে অজানা কোন ভয়ে
তবুও কবিতারা আসে না
নীড় ছেড়ে পাখিরা পরিযায়ী হয়ে উড়ে। নীল দিগন্তে
ছুটে চলে অজানা দেশে, অজানা পথে, বহুদূরে
বছর খানেক পর ফিরে আসে সবাই
পুরোনো