সে
এক
করুণ
জীবনের
পরিসমাপ্তি।
বাবা মা দুবোন
সুখের পরিবার
হাসি আনন্দ অপার
চলে যাচ্ছিলো জীবনের
উঁচু নিচু পথ বেঁয়ে তারা।
জীবন সময়ের এক বাঁকে
কেউ যেন কোনও অদৃশ্য থেকে
জীবন পথে ভিন্ন এক ছবি আঁকে।
আকস্মিক এক রক্ত রোগ ধেয়ে এলো
দু বোনের জীবন করে দিলো এলোমেলো।
হায় থ্যালাসামিয়া! প্রতি চার মাসে বদলে
দিয়ে নতুন রক্ত নিতে হয় জীবন

হে সর্বশক্তিমান!
তোমার চরণে আমরা প্রণত,
রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের উর্দ্ধে তোমার অবস্থান,
তোমার বিকল্প তুমি নিজে হে নিরো, হে হিটলার! তোমার অশেষ গুণ অবর্ণনীয়!
তোমার শত্রুদের নির্বাসিত করেছ অসীম করুণায়,
অবাধ্যতার শাস্তি দিয়েছ প্রকাশ্য মৃত্যু।
ধর্ষকদের কবলে দিয়েছ বিদ্রোহী বিদগ্ধ মনন! পুরনো সৈনিক দের ঠেলেছ

কে হিন্দু, কে ক্রিশ্চান, কে বৌদ্ধ, কে মুসলমান
জিগাও কেন ওরে?
সদ্য প্রস্ফুটিত কোমলমতি শিশু
জাত পাত জানে না কি ওরে –
একই বৃক্ষের শাখা প্রশাখা ওরা
হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান ক্রিশ্চান । মসজিদ এই, মন্দির এই, প্যাগোডা এই, গীর্জায় বলে সাম্য
কুরআন, পুরান, ত্রিপিটক, বাইবেল বলে সাম্য
তারা সন্তান মোর মার
হিন্দু, মুসলমান,

ভালোবাসার নদী ভালোবেসে একটা নদী চেয়েছিলাম
যার পার ছুঁয়ে জেলেদের ঘরবাড়ি থাকবে,
সরল বিশ্বাসে পুরুষের শরীর পেতে দেবো সেই
চপলার কাছে। তোমার নদী নদী মন আমাকে ভাসাবে,
আমাকে ডুবাবে, জোয়ারে কাছে টানবে, ভাটায়
একটু দূরে ঠেলে দেবে, ঠিক নদী যেমন করে তার উপরে
ভেসে থাকা বারোয়ারি পূজার

ডাকবাক্স কেঁদে বলে, হে পথিক একটু ফিরে চাও,
আমি এখন কর্মহীন বেকার, আমাকে কাজ দাও।
আমি ছিলাম ব্যস্ত তোমাদের সেবায় নিয়োজিত,
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে আমি হলাম অবহেলিত! একসময় যখন ছিলো না এই আধুনিক প্রযুক্তি,
আমাকে ছাড়া তোমাদের হতোনা কখনো মুক্তি!
তোমাদের দেওয়া চিঠি কাঁধে নিয়ে

বর্ণিল ফুলের সৌরভ,
আমার দেশের গৌরব। অশেষ ফলের সমাহার,
আমার দেশের বাহার । পাখির কন্ঠের মধুর গান,
আমার দেশের প্রাণ। কামার, কুমার, জেলে চাষার বাস,
আমার দেশ স্বপ্নের আঁশ। রাতের আধারে তারার মেলা,
আমার দেশ প্রকৃতির খেলা। চৈতালি আর হৈমন্তিক ফসল,
আমার দেশের কৃষকের কষ্টের মাসল। অসংখ্য অগণিত নদী বহমান,
আমার দেশ পলিতে অম্লান। আমার দেশের মাটিতে

এক
আমার শিক্ষক বাবা সংস্কৃত, বাংলা আর ইংরাজি তিনটে ভাষাতেই ছন্দোবদ্ধ কবিতা লিখতেন। ক্লাস এইট-নাইনে পড়ি, কবিতার নামে আমার দুর্বল মকশোকাজ শুরু হল আর তক্ষুনি বাড়িতে বিদ্রূপ-নাম জুটে গেল — কপি। কে দিলেন? কে ডাকতেন সবচেয়ে বেশিবার সেই নামে? বাবা। কবি একটা হাস্যকর, অপদার্থ উপাধি। বাংলায়

মেয়েটির রাগ যেমন জেদটাও তেমন
তবে তার মন শরৎ এর সাদা মেঘে ঢাকা
হঠাৎ পরিচয়ে জানতে পারি
তোমার আমার সম্পর্কের অবসানের সাথে একদম মিল
হীনমন্যতা নিয়ে মাঝে মাঝে বিরক্ত দিয়ে কথা বলার সুযোগ খুঁজি
আজ কথোপকথন! সেইসময়ের পাগলামীগুলো এখন আমার হাসি পায়
বিশ্বাসের মৃত্যুতে সাদা কাপড়ে সম্পর্ক

তখনও মোবাইল ফোনের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি, ল্যান্ড ফোনের কানেকশনও সহজলভ্য হয়নি। বাড়ির ল্যান্ড ফোনসেট আমার ঘরে ছিলো। মাঝরাতে প্রায়শই ফোন বেজে উঠত, প্রবাসী আত্মীয় স্বজন কল করতেন, আবার পাড়া প্রতিবেশীদের কলও আসতো, মাঝরাতে তাদের ডেকে দিতে হত। এই অভিজ্ঞতা সম্ভবত ওই সময়ের ল্যান্ড

আমরা বাংলার মানুষ বাঙালি
বেঁচে আছি কিন্তু হয়ে কাঙালি,
আমাদের নেই অন্ন, নেই বস্ত্র, নেই নয়নে নিদ্রা
নেই কোনো মৌল বা মানব হিসেবে অধিকার। আছি বেঁচে মরা- আধ মরা হয়ে
স্বাধীন হয়ে আমাদের জীবন গেছে আবার,
পরাধীনতার কালো অধ্যায়ে ছেয়ে। আমাদের করুন পরিণতির কথা জানে
ঐ বাংলার জারুল জামরুল আর দূর্বাঘাস,
আরো জানে

নিজের তালগাছটাকে বড় করে ভাবি
ছোট সরিষা ভাবি না- অন্যের লিচু গাছ
রস খেতে ভালবাসি, থুথু ফেলা জায়গা
বুঝি না কারণ মুখের ভীতর থুথু আছে বলে
শিষ্টাচার দেখি না- গাছের পাতা যতই
ঝরুক না কেনো? আমি স্বচ্ছ, কোন

লাফাচ্ছে চরছে – লাফাচ্ছে চরছে
এক ঝাঁক নীল ঘোড়া
শুয়োরের খোঁয়ারে। ঝকঝকে কথা ওড়ে জমজম হাটিয়া
চকচকে কেশরের গর্বিত রাজঘোড়া
বন থেকে এসেছে। শেয়ালের লোভী চোখে প্রকাশ্য নীলামে
এক দুই তিন ডাকে কানে তালা লাগছে,
শুরু থেকে চড়া দর। কালো কালো শরীরের ধমনীতে নীল রং
শুয়োরের পটি মেখে এ

খুব নির্জন সকালে ঘুম ভেঙ্গে ভেবেছি
তোমাকে ভালবাসব _
শেষ বিকেলের রূপালি পাড়ে নিঃশব্দে নিবিড় অরণ্যে হাঁটতে হাঁটতে ভেবেছি,
তোমাকে ভালবাসব:
কুহেলী রাতের স্বপ্ন ডানায় মাথা রেখে বিশ্বাসী ছায়ায় শুভ্র জ্যোৎস্নায় ভিজতে ভিজতে ভেবেছি,
তোমাকে ভালবাসব _ সারাদিন রাত ভেবে ভেবে কাটিয়েছি সময়
অথচ তোমাকে_ ভালবাসা হয়নি

রাষ্ট্রভাষা বাংলা হয়েছে বলেইতো আজ মাতৃভাষা বাংলা হয়েছে
আজ আমি চিন্তা করি বাংলায়
ভাবি বাংলায়, দেখি বাংলায়
ভেসে ওঠে চোখে বায়ান্নর ছবি, একুশের ছবি – আমি দেখি বাংলায়। ভেসে ওঠে –
বুলেট বিদ্ধ নিষ্প্রাণ সন্তানকে দু হাতে তুলে ধরে
কত মা যে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সেদিন!
ভেসে ওঠে –
কতগুলো ঈদের