স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪৪/৪১
মুখখানা তার চাঁদের মতো
দীঘল কালো কেশ,
হাসির রেখা দেখে সবাই
বলবে আহা বেশ।
ভ্রমর কালো নয়ন দুটি
নেইকো তাতে লাজ,
ছোট্ট পাখির মতো সদা
করে শুধু কাজ।
বাবুইপাখির মতো তারই
সুনিপুণ ওই ঘর,
পিপীলিকার মতো মায়া
নাইতো কেউ যে পর।
কচি পদ্মের মতো তারই
হৃদয় জুড়ে সুখ
জীবন থেমে যাওয়া গল্পের ঋতুতে
সরিসৃপ বৃক্ষ এঁকেবেঁকে উঠেছে আকাশ চূড়ায়
কিছুটা প্রয়োজন ছিল, নিয়মের বেড়াজালে
আটকে থেকে অনিয়ম ভাঙ্গার।
মেঘের উপরে রাজসিক ঈগল
ডানা ঝাপটিয়ে দেখছে সমতল।
শিকার আর শিকারির দঙ্গলে,
নিয়ম আর অনিয়ম ভাঙ্গার লড়াই তো করতেই হয়।
দিনের পর দিন বছরের পর বছর
যুগের পর যুগ
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭০ বার দেখা
| ২২০ শব্দ ১টি ছবি
শিশিরের সিক্ততা ছড়িয়ে হেমন্ত চলে যায়। ঘোরের
আভা নিয়ে বাঁচে যে রাখাল,তাকে তুমি বন্দি,
বলতেই পারো। অথবা লিখে রাখতে পারো-
জীবিতদের জন্যই জীবন, মৃতের জন্য- শুধু দীর্ঘশ্বাস
উত্থানের কাহিনি শুনিয়ে সূর্য ডুবে যায়। তপ্ত দুপুর
ছিল বুকের দুপাশে, তার সাক্ষী শুধুই থাকে নদী
আর প্রিয় পিপাসা- অনেক আলোর বিধান ঘিরে
রচিত
বরফ ভেঙ্গে যে সাদা মেয়েটা
আসছে; তাকে দেখেই
আকাশ আগল খুলেছে।
তার চোখ, নাক, ঠোঁট,
চিবুক এমন মোহনীয়
বরফকুচিও লোভ সংবরণ
করতে পারছে না। তাকে
আবৃত করতে রীতিমত প্রতিযোগিতা
শুরু করেছে। বরফের প্রতি
মেয়েটা উদাসীন অথবা
উটকো ঝামেলা মনে করছে।
বরফ নিয়ে আমার আদিখ্যেতা
নেই, ঠাণ্ডা বিষয়ক
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৯২ বার দেখা
| ১২৪ শব্দ ১টি ছবি
যদি আবার কোনোদিন আকাশে মেঘ জমে
যদি আবার কোনোদিন সেই মেঘ থেকে বৃষ্টি
ছুঁয়ে দেয় ঘাঙ্গুরের জল,
তবে এসো এই খরদুপুরে কাকভেজা হই!
অমসৃণ যতো পথ অনিচ্ছায় দিয়েছি পাড়ি
ঘাঙ্গুরের জলে সেইসব দিনগুলি চলো বিসর্জন
দিই তাড়াতাড়ি!
আমার দিনগুলো এখন অনেক বড়ো, শেষ হতে
চায় না; রাতগুলোও জানি কেমন তরো!
ডাকবাক্সে কতোদিন কোনো
মুক্তাগুলো অশ্রু হলো আজ
পরবে কোথায় ময়ূরকণ্ঠী হার?
চোখের কোণে এক সাগরের জল
হৃদয় তবু সাগর জাহাজ খোঁজে।
পাল ছেঁড়া সেই জাহাজ সাগর জলে
খুঁজেফিরে ছোটো কোনো দ্বীপ,
কম্পাসটি তার কাজ করে না আজ
কী লাভ বলো অভিমানী হলে?
ফুলের বুকে লুকিয়ে থাকা ভ্রুণ
পায় কী সদা মেঘপরীদের দেখা?
কিছু
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮৬ বার দেখা
| ১০২ শব্দ ১টি ছবি
৪৪/৪১
ভালোবাসা আকাশ সম
ভালোবাসা ধন,
ভালোবাসা কিনতে লাগে
খাঁটি একটা মন।
এই পথে’তে চলতে গেলে
বাঁধা আছে ভাই,
দুঃখ কষ্টে জর্জরিত
বাঁচার উপায় নাই।
খুব সহজে হয় না পূরণ
মনের সকল সখ,
খল চরিত্র গুলো তাদের
জীবন করে লক।
ভালোবাসা বুকে আশা
স্বপ্ন বহু দুর,
ভালোবেসে জীবন মুখে
ধরে গানের সুর।
ভালোবাসা বিহীন তবে
প্রাণে নাই তো সুখ,
ভালোবাসা থাকলে সেথায়
আসে না
৪৪/৪২ স্বরবৃত্ত ছন্দ
বাবা মাকে সুখে রাখতে
ছাড়ল খোকা বাড়ি,
আসার পথে প্রাণটা গেলে
খোকার দেহ ছাড়ি।
ইচ্ছে ছিলো বাবা মাকে
রাখবে খোকা সুখে,
তা হলো না বাবা মা আজ
ভাসছে শুধু দুখে।
নয়ন ভরা স্বপ্ন ছিলো
বাবা মাকে নিয়ে,
জীবন নষ্ট ধরার বুকে
আরো নষ্ট হিয়ে।
হলো না আর স্বপ্ন পূরণ
বলছে
”গল্প লেখা মোটেও কঠিন নয়, পুরস্কারের জন্য গল্প লেখা তো আরও সহজ। কলম আর এ ফোর সাইজের দুটো কাগজ নাও, ফরমুলা শিখিয়ে দিচ্ছি’ বলে নোমান থামে, প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরায়, লম্বা একটা টান দিয়ে মাছের খাবি খাওয়ার মত করে ধোঁয়া ছেড়ে হাওয়ায়
গল্প|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭০ বার দেখা
| ২২৬৭ শব্দ
তোমাদের শহুরে কাগজে
একটা কবিতা ছাপা হয়েছিল
ভোরবেলা বারান্দায় দাঁড়ায়ে
নীরব ঋতুতে পাঠ করি, শ্রমণ-
একটা অক্ষর দুকদম টেনে দেখি
পত্রিকার দেয়ালে ঝুলানো
অল্প মজুরির ক্ষীয়মাণ দেহ-মুখ
মুথাঘাসের মতো বিরান মাঠে
শুয়ে আছে অশ্রুর ফোটা থেকে
অধিক রক্ত, ঋতুর দিকে তাকালে
মড়ক, অগ্নিগর্ভ, দীর্ঘঘুম ভাব মৃত্যু
এসবে জমা হচ্ছে বন্দোবস্তকৃত
প্রতিশোধের ঘটনা, প্রেম-প্রতিনিধিত্ব!