ক্যাটায়ারের ক্যাটগুলো ♣
দারোয়ানরা তাহার ঘাড় ধরিয়া বাহির করিয়া
দিতে দিতে বলিল, তুমি তাড়াতাড়ি চলিয়া যাও।
‘আই এম দ্যা গ্রেট, আই এম দ্যা গ্রেট বলিতে বলিতে
সে বাহির হইলো। এবং বলিল, তাহারা আমার হাতে
ধরে নাই। পিটাইতে পারিত। তাহাও করে নাই। বরং
সম্মানের সাথেই বাহির করিয়া দিয়াছে।
অথচ এই সিনারিও
দেবী দক্ষিণের চরণে অর্ঘ্য ঢেলে
নিঃস্ব হয়েছিল মিস্ত্রাল
তার কি কোন দুঃখ ছিল!
নিজেকে উজাড় করে
ফকির হওয়া, এও কি নিজস্ব বাঞ্ছা!
দক্ষিণের জানালায় যাবতীয় সুখ;
দখিন বাতাসে মন জুড়িয়ে যায়,
দক্ষিণ প্রতিভাত হলে মিস্ত্রাল জেগে উঠে।
সংসারের একঘেয়েমি মৃত্যু নিয়ে এলে;
দক্ষিণের এক চিলতে হাসি
টেনে নিয়ে
বাড়িতে আগে দেখেনি তাকে,
সে কেগো মা, জিজ্ঞাসি মাকে।
এ কি, মানুষের নাম, ‘খড়ি’ ?
তোর কি তাতে, জ্বালায় মরি।
মা যে বিরক্ত, করি প্রস্থান,
ভাবি, আমারই নেই জ্ঞান।
চাঁদ দেখি, বসি জানালেতে,
মা পাঠালে দুধ, খড়ির হাতে।
খাবে এ তুমি, বলি আমি হেসে,
মুখখানি তার হলো ফ্যাকাসে।
জোর করে
ভগবান কেমন করে গড়েছেন
আমায় অথবা তোমায়,
সে খবর আমার জানা নাই,
সে খবরে আমার কোনদিন ছিলো না মন,
তবে দশ মাস কষ্টের গর্ভধারণ,
খেয়ে না খেয়ে সৃষ্টির লালন পালন,
এ শুধু তোমাতেই পাই, নারী,
মা আমার, গর্ভধারিণী মা।
সৃষ্টির উষা লগ্নে বীজ থেকে গাছ,
মাটির
আপন কুটির ছোটো হলে
আপনজনে রয়,
মন আনন্দে নেচে গেয়ে
থাকে নাকো ভয়।
আপন কুটির খড়ের ছাওনি
রয়েছে মোর সব,
সেথায় আছে স্বাধীনতা
নাহি কলরব।
ইট পাথরের দালান দিলাম
সুখ যে তাতে নাই,
এমন প্রাসাদ থাকার চেয়ে
নাহি ভালো ভাই।
চড়ুই পাখির মতো পরের
ঘরে থাকা সুখ,
বাবুইপাখির আপন বাসায়
সহ্য করে দুখ।
আপন হাতের তৈরি