সেদিনের সন্ধ্যা কেবল একা আমার ছিল না।
কাজকর্ম অফিসটফিস ফেলে এক সন্ধ্যায়
জমায়েত হলাম-লাভরোড, চা-স্টলের সামনে
চেনা-অচেনা বন্ধুগুলো প্রায় গোল মোড়ের মতো
একে অপরের মুখোমুখি স্থির বসে আছি।
কেন বসে আছি?এমন দ্বিধাজড়িত প্রশ্ন
সবচেয়ে অসুন্দর হলেও
চা তাপে তা গলে গলে নিশ্চিত ঝরে যাচ্ছে
ছায়ার পিঠাপিঠি মানুষের দলে, গৃহহীন বনে-
অগোছালো কথা, সারিবদ্ধ
ভেতরে শূন্যতা নিয়ে দোলে উঠে নদী। জোয়ার নেই,
তবু মুগ্ধ কোলাহলে কাছে টানে রাতের বিনয়, যারা
দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিল – তারাও হাতিতালি দেয়।
আহা সভ্যতা! আহা নগ্নতার ভোর, তুমি কী দেখাচ্ছ
আদিমতার ছায়া!
ভাবতে ভাবতে ক্রমশ জেগে উঠে
রোদের দক্ষিণা,
মানুষের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিতে দিতে
বলে- যে জীবন কাটাও
শৈশবকালে হারিয়ে যায়
অনেক ছেলে মেয়ে,
আসবে কবে আপন ঘরে
স্বজন থাকে চেয়ে।
হারিয়ে গেছে সেই জনেরা
আসে না কভু ফিরে,
স্বজন তরে থাকেন শুধু
স্মৃতি এটুকু ঘিরে।
তাদের সাথে দেখা করতে
মনে ইচ্ছে করে,
সেই কথাটা মনে হলেই
অঝোর ধারা ঝরে।
চলে গেছে যে সবার থেকে
অনেক বেশি দূরে,
তাকে দেখতে পেলে স্বজনে
হৃদয় খানা ভরে।
সম্ভব না দেখা