Half of me is beautiful
but you were never sure which half
— Ruth Feldman, “Lilith” ১
— মাঝে মাঝে তোমাকে ঠিক বুঝতে পারিনা।
মইনুলের কণ্ঠ নির্বিকার,
— এমন হলে, মাঝে মাঝে, বুঝার চেষ্টা না করাই তো ভালো, তাই না! সোমা কথা খুঁজে পায় না, খুঁজার চেষ্টা করে

কালো কালো মেঘ;
মেঘের ভেতর থেকে
উঁকি দিল একটা কুকুর
পাশে ইতস্ততঃ ছড়ানো ঝিলিকে
খেঁকশেয়ালও একটা
মাথায় তাদের বজ্রমুকুট
মেঘের রং ছাই কালো
অথচ কিছুটা আলো
চমকে ছুটছে কই হঠাৎ নেমে এলো মেঘ মাটিতে
ছিটকে উঠল জল, কাদা
পুকুরের পানি উপচে উঠছে
কাক, কুকুর, শিয়াল সমাহারে
অযাচিত বৃষ্টিমুখর দিনে আকাশের জীবরাজ্য
পানিতে জলকেলি করে

একটা স্থির সময়ের প্রয়োজন। কার্তিকের আধভেজা রোদ
রোজ তুতুইভূতুই করে মন
ও শরীরে জুয়া খেলে যায় উড়ন্ত দম্পতি পাখির ছায়া
নেচে ওঠে, চোখ-ঘুম কোনো
এক অনাগত বৃক্ষ আলাপে-
দীর্ঘ জ্যোৎস্নার মহারাত্রি
প্রসব করলে-এতিম মেয়ের
বাহুগ্রন্থি বুক, অন্ত্যমিলে তার
লাল ব্লাউজের মতো শরম রং
সে সব অভিযোগ-চাহনি
ঈষৎ গোলাপে জেগে থাকে!

রাত্রি নিবিড় হলে জনতার চোখ ঢুলুঢুলু
কাপালিক তন্ত্র, ডাকিনি বিদ্যা আর ছিনালি সময়
পরিত্যক্ত ঘোষনা করে দুপুরের মখমলে রোদ
দেখ পতনের বিছানায় সূর্য করে রাত্রি ভ্রমন মাটির শরীরে বসন্ত সুখ
ছাইচাপা আগুনে পুড়ছে প্রচলিত মুদ্রাদোষ
তবুও সহজে মেলে না সরল অংকের উত্তর
ভুলে ভরা যখন পাটিগণিতের প্রথম অধ্যায়।

তিন দিকে জল; এক দিকে মালতি
প্রতিদিন পানিতে ভেলা ভাসিয়ে
মালতি দর্শনে যাই। মালতি প্রেমিকা;
জলের বারান্দা থেকে গ্লাসে
পানি ঢেলে দেয়। আমি তৃষ্ণা জুড়াই।
প্রেমিকার পিতা শঙ্কর মেরে জলে
ভাসিয়ে দিবে বলেছে। মম পিতা আবদাল
বলেছে পানিতে চুবিয়ে মারবে।
মালতি জল পানির দ্বন্দ্বে দিশেহারা। আমি নাছোড়বান্দা; জল পানির
সঙ্গম

১। জীবন
আমরা জানি জীবন একটি অবস্থা। যেটি একটি অর্গানিজমকে জড় পদার্থ (মানে প্রাণহীন) থেকে ও মৃত অবস্থা থেকে পৃথক করে। যখন জীবসত্তার অবস্থান স্থান কাল পাত্র ভেদে শূন্য থেকে কোন কিছুর দৃশ্যমান অবস্থানের মাধ্যমে পরিণত হয় কিংবা

মাগো তুমি বলতে পারো
স্কুল কবে খুলবে
গুরুর সাথে সবাই মিলে
নানা ছড়া বলবে। কবে থেকে বন্ধ আছে
ওই না স্কুল কলেজ
তাতে কি মা বৃদ্ধি পাবো
সব শিশুদের নলেজ। ঘরে বসে সময় কাটে
যাই না কভু বেলা,
একা একা করি শুধু
আমি নিজে খেলা। কি যে করি ভেবে না পায়
বলো না মা কিছু,
জ্ঞানে গুণে রয়েছি

নয়ত বসুধা মিছে কে বলেছে তোমায় তুমি আমার পর
ছড়াও সুগন্ধ সৌরভ, হই উন্মাদ;
কখন হারিয়ে যাও, মনে লাগে ডর
এতোই সুন্দর যে তুমি,হারে ঐ চাঁদ।
এ হৃদয়ে তুমি যেন সে এক পৃথিবী
দিবানিশি যারে আমি বারে বারে খুঁজি;
সবি ম্লান,উজ্জ্বল শুধু তোমার ছবি
অন্তরে আছো, প্রেমফুলে অপ্সরা সাজি। না পেলে ভালোবাসা অনুভবি

আকাশের সীমানা
যেদিন খুঁজে পাবে;
উত্তরসূরিদের দেখবে
মিছিল আর মিছিল!
সাগরের জল ভারি হবে
অথচ চিনা মুখ বিমুখ-
কষ্টের মৌচাকে মধু শূন্য;
এখন আর কোন সীমানায়
খুঁজে পাই না মিষ্টি-একের
মধ্যে অগুনতিক বিখণ্ডিত
মন বাসনার ভাব প্রত্যাশী-
তবুও শৃঙ্খলে নেই সীমানা। ১৪ কার্তিক ১৪২৮, ৩০ অক্টোবর ২১

আমার মা ৩৩৩১ মাগো মোর মনে হয়
সাত রাজার ধন
তোমার ওই জন্য মোর
কাঁদে এই মন। ছোট কাল কত খেল
তোমার ওই সাথ,
কাছে মা থেকে ওই
গেছে তো রাত। সুখ দুখে মা তুমি
আলো তো মোর,
আসে ওই যত ঝড়
কাটবে যে ঘোর। বাপ ছাড়া মা সন্তান
মিল করে ভাই,

কতদিন পরে ওই ঘরের দরজা খুলে দিই
ঘুমন্ত বিছানা, শুকনো চানঘর,
ব্রেকফাস্ট ফেলে গিয়েছিল
মুখে তুলি, কিচ্ছু তো পচেনি!
একটা তিতির

হঠাৎ করে পা’ মচকে
চিৎপটাং রাস্তায়
আশেপাশে কেউ ছিলোনা
তুলে ধরবে– আস্থায়! অগত্যা ঘর ফিরতে হলো
কাজের কাজ ভুলে
ঘরে পৌঁছে বুঝতে পারি
পা’টাও গেছে ফুলে। খানিকটাপর শীতে শরীর
কাঁপলো থরথর
থার্মোমিটার জানান দিলো
গায়ে ভীষণ জ্বর। এখন আমি সজ্জাসায়ী
বন্ধুরা সব কাজে
মোবাইল ফোনে টিপেটিপে
লিখছি

সে এক দিন। ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু পরিচালক – অভিনেতা উজ্জ্বল হকের আমন্ত্রণে সিউড়িতে আননের নাটক দেখতে গেছিলাম। সেদিন অডিটোরিয়ামে বসে নাটক শুরুর আগে লিখেছিলাম নীচের কবিতা। থিয়েটার শেষ হলে সেখানে অনেকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, যার মধ্যে নাট্যকার অতনু বর্মণ এখনো বন্ধু বৃত্তে আছেন। আর থিয়েটার

রাজাধিরাজ
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব ৪৪৪২ ধরা চলে প্রভুর কথায়
বুঝবে সবে কবে,
তার ইশারায় সূর্য ওঠে
মালিক তিনি ভবে। পাখির গানে মুগ্ধ সবাই
সৃষ্টিকর্তার লীলা
ধরার অপার সৌন্দর্য যে
প্রভু ক্যামনে দিলা। তুমি হলে রাজাধিরাজ
সকল কিছুর স্রষ্টা
তোমার দেওয়া বিধানে না
চললে সে পথ ভ্রষ্টা। নিয়ামতের শোকর

মা জানে গল্পটার শুরু এবং শেষ
মাঝখানে যেটুকু যান চলাচল
অথবা বিদুৎ বিভ্রাট
সবটুকু তার অস্তিত্বের
উপযোগ নিয়ে বিলীন
এমন সব ঘরবাড়ি
আলোকসজ্জায় বর্ণিল
মা সেখানে আবাস গড়ে দিয়ে গেছে। মা জানত বেঁচে থাকা,
মা জানে মৃত্যুও এক ধরনের বেঁচে থাকা
মা আসলে ঈশ্বরের বেটি
রূপকথার নটে