আমি আর ছায়া একই
কায়ার আরেক রূপে-
এই আমার হাতপা জিভ
ছায়ার কোনো চোখ নেই
নেই নিঃশ্বাস নেবার এখতিয়ার।
তুমি আর আমি এক তবে
কি করে ভাবো?
জল যেমন শিশির থেকে আধো বোলে
পাতার গায়ে লেপ্টে মেশে
তুমি-আমি বরং জল-কুয়াশার খেলা।

মানুষের খুব সাধারণ একটা চাওয়া হলো সম্মান। সবাই সম্মান নিয়েই পৃথিবীতে বাঁচতে চায় পাশাপাশি সবাই সম্মানিত হতেও চায়। হতে চাওয়াটা দোষের নয় কিন্তু সম্মান খুঁয়ানোটা বড় দোষের। সম্মান যদি একবার হারিয়ে যায় তবে ফিরে পাওয়াটা খুব কঠিন। সম্মান হারিয়ে অনেকেই মৃত্যুর পথ বেছে নেয়।

পাড়া থেকে যাচ্ছে খশে রঙিন তারা-
কেউ বা লাশ কেউ বা জীবিন্তলাশ বয়ে;
পাড়ার কোন চোখ বিবেক এতটুকু নেই-
একটু আলো জ্বালাবে শ্মাশান ঘাটের পারে। তবুও কত রঙের সাজান পাড়ার দিব্যজ্ঞান
হেসেই যাচ্ছে- তুলে যাচ্ছে নদী সমুদ্র ঢেউ-
এত হলো পাড়ার

ওগো প্রেয়সী তুমি দেখিবে,
একদিন আমি আসব আবার ফিরে
এই নদী নক্ষত্রের দেশে,
হয়তো প্রেমিক হিসেবে নয়
সাধারণ জনতা হয়ে
শীতের হিমেল হাওয়ায় দেখিবে চেয়ে
কুয়াশার চাদর গায়ের বসব আম্রকাননে
ঐ পত্র বিহীন বৃক্ষের শাখায় বসব পাখি হয়ে
গায়ব বসন্তের ভোরে কোকিলের সুরে মিষ্টি

জানিস চিঠি আমার বড্ডো প্রিয় আজও। যদিও জানি সমস্ত প্রিয় জিনিস, প্রিয় সম্পর্ক হাতের মুঠি থেকে বেরিয়ে গেছে। একা দাঁড়িয়ে থাকি আর তাদের চলে যাওয়া দেখি। তবুও এই আধো আলো ভোরে, মনে মনে চিঠি লিখি তোকে। তোকেই ইচ্ছে করে লিখতে।

তুমি কেন তুমি হলে অনুসৃতা;
কেন তুমি করলে খুন,
সবুজ বৃন্তে ফোটা
লাল গোলাপটা? ভুল সময়ে ভুল হাতে
পড়ে যদি ফুল,
জানবে কীভাবে বল,
আজ সকালে বন্দী টবে ফোটা
লাল গোলাপটা;
মৃত্যু হবে তার, আর কিছু সময় পর
কর্পোরেট ভালবাসার বদান্যতায়। মনে রেখ তুমি অনুসৃতা
একটা নতুন জীবন,
একটা সদ্য ফোটা ফুলের মতন।
না পার দিতে ভালবাসা–
তবুও দিও

মা
শীতের সকাল। বারান্দায় গ্রিলের পাশে আমি চমৎকার রোদে ব’সে আছি। না না, রোদ্দুরটা সুন্দর বলিনি কিন্তু। চমৎকার আমার নাম, এ-গল্পও এক বেড়াল-ফ্যামিলির। আজ মানুষের রোববার, কিন্তু বেড়ালের ক্যালেন্ডারে লেখা, “দেরিতে ব্রেকফাস্ট”। মনুষ্যজাতির মধ্যে যারা অফিসবাবু, ছুটির দিনে আটটার আগে তো বিছানা ছাড়েন না। আর

শহর ও গাঁ-য়
নিত্য জোগায়
সবার যাঁরা
অন্ন,
আমার ছড়ায়
প্রণাম ছড়াই
সেই তাঁদেরই
জন্য।