তোমাকে পাবার পর;
সবুজ ঘাসে রোদ হেসে ওঠে
ঝলমলে আলোর ঘ্রাণে।
পোড়া কাঠ মরমর শব্দে ভেঙ্গে
উড়ে যায় মাঘী হাওয়ায়;
এখানে শুকনো দেয়াশলাই
কুয়াশার জলে সিক্ত,
লেলিহান শিখার আদর স্পর্শ
ছুঁয়ে যায় না সর্বাঙ্গ। এখানে কেবল কেরোসিনের ঝাঁঝালো গন্ধ,
হাজার টাকার সিলিন্ডার।
এখানে তিতাসের উনুন আগুন

মিথ্যুকরা অন্যকে বিশ্বাস করানোর জন্য বরাবরই শপথ করে কথা বলে, মিথ্যুকরা সবচাইতে বেশি মিথ্যা বললেও আবার তারাই বলে মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। যেভাবে মিথ্যুকদের হাতে ধর্মের ঠিকা, প্রতারকদের কাছে রাষ্ট্রের দেখভাল যেভাবে ঠগীদের কাছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা অর্থহীন। মনীষীরা কি বলল সেটাতে বিশ্বাস করিও না,

বাহাত্তর বছর হল,
এখনো এক ছেঁড়া শালপাতা ঘিরে
ভাঙাচোরা পাঁচটুকরো অভুক্ত মুখ।
দীর্ঘ তুঘলকি অনাচার
দুশো বছরের তাঁবেদারি পার হয়ে
ভেবেছিলে একদিন তুমিও দেখবে চাঁদ
স্বচ্ছল মদির আনন্দমহলে,
গোপন অঙ্গসব ঢাকা পড়বে
স্বপ্ন পরীর সুগন্ধী ডানায় জড়ানো
রঙিন আচ্ছাদনে,
সারমেয় জীবন পেরিয়ে
প্রত্যেকের থাকবে এক নিজস্ব ক্ষুধাপাত্র। শিশুও জানেনা তার কখন হাতবদল
একবেলা

জানি তোমার কাছে এ নিছক প্রেম নয় অরণ‍্য
তবু তোমার সঙ্গে কষ্টের বাঁধনে বাঁধা পড়া,
তুমি চুপে চুপে এসেছিলে
ঘাস ফড়িং ছায়া নীড়ে__
আমি কিছুটা সময় ছিলাম তোমার মন অরণ্যে- এ ঘাস ফড়িং নীড়ে
শুধু কষ্টের চাষ হয় –
সাদা- কালো মেঘ কষ্ট হয়ে ঝরে
দূ’চোখের ভেজা

জামাকাপড়ে জং লেগে যাচ্ছে
হাওয়াই ফিনফিনে সার্টে কতদিন
লাগেনি হাওয়া, অলস সময়ের ঘেরে
মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে যাচ্ছে। নিরানন্দ ভবে আনন্দ আশ্রম ফিরবে
কী কোনদিন! মহামুক্ত আকাশে পাখির
স্বাধীনতায় মানুষ কী আর ঈর্ষিত হবে।
নাকি থেকে যাবে গহ্বরের অতল অন্ধকার!

তুমি এতো বড়াই করো কিভাবে? যে কিনা ফজরের আযানের সুমধুর সুর শুনতে পায় না
কনকনে শীতের ভয়ে আয়েশি বিছানা ছেড়ে প্রভাতে রোদেল আলো দ্যাখে না
ধূমপান ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বারংবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে একবার ভেবে দেখো তো
তবে কিভাবে মিথ্যে ছেড়ে দিয়ে সত্যের সম্মুখে এসে দাঁড়াবে? তবে তোমার এতো

দিদি দিদি করে খোকার
কাটে সারাবেলা
কোনো কাজ দিলে খোকাকে
করে তাতে হেলা। একদিন খোকা বলল আমায়
কোথায় গেছে দিদি
কান্না করে ভাসত বুক আসে না কেন
ওগো মা দিদি। ভগ্ন কন্ঠে বললাম এটাই তোর দিদির করব
সোনার মতোন মেয়ে
চপল পায় চলতো সেজে গাঁয়ের
সুরু