জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক আমি,
সংসার থেকে বছর দুই বিতাড়িত-
কেউ খোজ নেয়নি,আমিও ভুলে বসেছি,
মা,বাবা মরলো সেতো বহুবছর আগে,
বাকিসব স্বার্থের কাঙ্গাল!
বিয়ের বয়স পার করে এসেছি,
বাবা,মা থাকলে না হয় মেয়ে দেখা হতো-
বাকিদের কি আসে,বেকারের বিয়ে কেন?
স্রষ্টার বিধানে অতি সহজে পরিণয় করা শ্রেয়,
কিন্তু সমাজে অর্থের জয়জয়কার,
বারো শত মানুষ

আবারো সেই হিমগন্ধের বিভীষিকা, নিঃশ্বাস আগলে রাখা কালো হাত। মেঘের প্যাস্টেলে আঁকা বহুবর্ণ ছবিগুলো উলটে পালটে দিয়ে
ছুটে যাচ্ছে উন্মাতাল এক মৃত্যুরং ঘোড়া ;
কিংকর্তব্যবিমূঢ় লাগাম- সময় কখনো ইজেরের কোমরে বাঁধা ইলাস্টিক ফিতে নয় যে
চাইলেই – দীর্ঘ অথবা হ্রস্ব হবে।
তবু
তীব্র জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কখনো বা ভেসে যাচ্ছে সময়ের

আমিও অনেকটা টিপসই জানা মানুষ। বৃদ্ধাঙুলের রেখায় যে কালো কালি
লেগে থাকে তার দিকে তাকিয়ে চিনি আঁধারের পরিচয়। জানি, নিরক্ষর
নদীদের জন্মঠিকানা। পাহাড়ের আত্মদানের ইতিহাস। চূড়ার অতীত জীবনী। যারা কিছুই জানে না বলে দাবী করে, তারা কিছুটা হলেও জানে গৃহপ্রবেশের
কৌশল। আমি এ বিশ্বাস স্থাপন করেছি পাতাদের হাতে

হে ঈশ্বর
তুমি আমার সমস্যার গুরুত্ব
উপলব্ধি করতে পারোনি।
যেভাবে উপলব্ধি করতে পারোনি কষ্টের গুরুত্ব। শরীরের শিরায় শিরায়
যে যন্ত্রনা প্রদাহ প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে
টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেটা বড় নিষ্ঠুর; তুমি তোমার সৃষ্টির সাথে
এমন টা করতে পারো না।
তুমি তোমার সম্মানিত জায়গা থেকে
তুমি তোমার করুণার জায়গা থেকে
তুমি তোমার

ওটাই ছিল আমার শেষ বিলাত যাত্রা। অনেক স্মৃতি, অনেক কাহিনী, অনেক গল্পের শেষ হবে এ গ্রীষ্মের পর। ১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া জার্নির ইতি টানবো এ যাত্রায়। মাঝখানে বাল্টিক সাগরের পানি অনেকদূর গড়িয়ে যাবে। দুই পৃথিবীর দুই জীবন খুব কাছ হতে

কবে পাবো অমৃতের দেখা
কবে যাবো বাড়ি
কবে হবে নৃ হৃদ্য-কবিতার লেখা
পৌঁছুবো গন্তব্যে- মহাকাল ছাড়ি। কবে জ্বলবে প্রদীপ- উজ্জ্বল বহ্নি শিখা
নির্জীব চরণে কবে জাগবে- নৃত্য স্পন্দন;
মদিরা নদীর শাখা-প্রশাখা
কবে পাবো শৈল প্রপাত, কস্তূরী চাঁদ
বিহঙ্গের মনে তীব্র আলোড়ন কবে আসবে নিবিড় ভোর
শিশির শব্দের মূর্ছনা- স্বর্ণ রেখা
ঠুমরীর

বীর বাঙালি অস্ত্র নিলো
একটি ফুলের জন্য
শিউলি, জবা, বকুল নয়
এই ফুলটি অন্য। লক্ষ লক্ষ প্রাণ যে গেলো
ইজ্জত দিল বোন
হাজার হাজার গণ কবর
বলছে কথা শোন। সাগর সাগর রক্ত গেলো
সবাই কি জানে জানে
সেসব কথাই বলছে ওরা
ওদের কানে কানে। এই ফুলটি এমনি এমনি
আসে নাইরে ভাই
দেশ বিরোধী

ভেসেছিলাম একক সায়রে, সাথে নিয়ে পিতল বরণ মেঘ
নিধুয়া নদীর বাঁকে জমে থাকা বিরহ অপার
বলেছিলো সাথে যাবে, যদি যাই হিজল জমিনে
হতে পারে দেখাদেখি— ছায়ামনে, মেঘের সংসার। আঁকড়ে যে জন থাকে ভিটেজল, ঢেউয়ের আকর
টেনে নেয় কাছে ঝড়, বসন্তের অরূপ মহিমা
বীমাহীন জীবনের যতসব লেন-দেন সেরে
অতিক্রম করে যায়

পৃথিবীর সব লজ্জা
রিয়াকে ঘিরে রেখেছ, সে এখনো
লেপের নীচে। মাথা বের করে
ঘরের আলো দেখতেও লজ্জিত
হচ্ছে। সাতটা বেজে গেছে;
ক্লাসে যেতে হবে, কিন্তু সবাইকে মুখ
দেখাবে কেমন করে! ভীষণ ভাললাগায় তার বুক
ধুকপুক করছে। এই অনুভূতি
আগে কখনো হয়নি। লজ্জা এবং
ভাললাগার যৌথ অনুভূতির
নাম প্রেম। রিয়া প্রেমে পড়েছে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই
এসেছে কাঙ্ক্ষিত

জমে যাচ্ছি, প্রগাঢ় শ্বাসকষ্টের ভেতর। পাতাহীন বৃক্ষের
প্রতিবেশে পাখিরা যেমন মুখ লুকিয়ে রাখে প্রেমিকার
বুকের বা’পাশে। কাঁপছি – পালকে বুনা ভারী কোট
গায়ে দিয়ে, একাকী সড়কে। আমাকে ফেলে রেখেই
চলে যাচ্ছে যাত্রী ভরা বাস। কাজল বরণ রঙ ধারণ করে মাথার উপর,
দাঁড়িয়ে আছে উইকেন্ডের আকাশ।
পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে, বিজয়ের ফুলকি হাতে
সাজাচ্ছে ভবিষ্যত,

জলির সাথে আমার প্রেম আছে, একতরফা প্রেম; জলি পাত্তা দেয় না। জলির বাবা ম্যাজিস্ট্রেট, আমার বাবাও একেবারে হেলাফেলার কেউ নয়। জেলার সবচেয়ে বড় চাউলের আড়ত আমাদের। চাউলের কারবার ছাড়াও দুটো সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে। আরো আছে ট্যানারি বা চামড়ার ব্যবসা। টাকা পয়সা যা আছে একজন

এত বাঁধ বিধি এত নীতি নিষেধ
কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘটে যায় বিভেদ
যতন করে রেখেছি মন
মনই তো আছে কেবল “সাত রাজার গুপ্ত ধন”
মতনে মতনে করে যুবতীর অণু প্রবেশ
কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘটে যায় কাণ্ড অবশেষ
দু দণ্ড অবসরে মিটে যায় সময়
যুবতীরা কেউই

চোখ থেকে
যেন উড়ে গেল সে
পাতার মতোই ক্ষণস্থায়ী
চিরকাল থাকবেন যিনি তার আবাস আকাশে
এখানে মাটিতে মাটিমন নিয়ে
জলস্থল একাকার ভালবাসার জন চিরদিন উচ্চেই থাকেন
চাইলেই কেউ পারবেনা তাকে
টেনে নামাতে
যদি না তিনি নিজে নামেন প্রিয় থেকে প্রিয়তম হয়ে যান
অচিন পুরের শিখন্ডী এক।

গোলাপ কিংবা বকুল ফুল
গন্ধ ছড়াবে পাপড়ি ঝরবে-
আর অজানা পথে নিরুদ্দেশ হবে;
হতে হয় কিন্তু পায়ের গোড়ালিতে
শিকল বেঁধে রাখলে কি হবে?
সত্যকারে যখন ঝরে মাটিতে লুটাবে
তখন কি করবে? এভাবে সন্দেহের
চোখে রাখা কিংবা শিকলে বান্ধা
কোন কাজেই আসবে না; তার চেয়ে
কোন ফুলের কলি হও- গন্ধ