সংক্ষিপ্ত পরিচয়ের মানুষ, কদিনের
আগে পরিচয় বুঝি নি।
একা পাশে থেকে একাঙ্ক নাটক করেছে
জানি না তাতে কে কতটা পর্যুদস্ত হয়েছে।
স্বল্পভাষী মানুষ বহুদিন পর ধরা দিল।
মায়ায় ভরা শরীর, এককালীন দস্যি
ভাইকে স্নেহের চোখে দ্যাখে, অহিংসা ধর্ম।
যে টুকু বলে কয় তার ভালোর জন্যই বলে।
নিজের মানুষটি সরে
আমার কিলবিল দশা এই শীতে;
ঘুমের মধ্যে হাত বারবার নিচে নেমে
গিয়ার বদলায়
রাস্তার ধারে কে বেড়ালের লোমে
আগুন ঠুকে দিয়েছে; রাস্তায় বিপাশা ব্লাউজ
চাদরের ভেতর থেকে ওপরে
ভেসে উঠছে চন্দ্রমল্লিকা
এই শীত, কেউ মানবে না বললে —
কিন্তু ঋষিগোত্র, রাক্ষসগণ!
ইশ আমি বহুদিন পরে লজেন্স মুখে নেব,
হালকা ভারত
জীবনের কিছু সময় কালের গর্তে হারিয়ে যাচ্ছে-
অথচ খোঁজে পাওয়া কিছু বিদ্বেষ শুধু অগ্নিময় সন্ধ্যা;
পুড়েনি দুই একটা আত্মার নির্ঘুম আর্তনাদ-
তবুও জীবনের রাস্তার মোড়ে এত সংশয় অবসাদ;
বিবেক চেয়ে থাকে না-দৃষ্টিপাতে অশ্রু ভেজাই না !
তারপরও ভোর নামে শীতের কুয়াশা শিশির-
ভাবমুখর উত্তাপ মনে দুপুর
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৫০ বার দেখা
| ৭৮ শব্দ ১টি ছবি
কালী কালী মহাকালী কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা
আগমনী গীতিকবিতা (প্রথম পর্ব )
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
[মা কালী কখনও মা, কখনও মেয়ে। তবে ভুল হলে তিনি যেমন রেগে যান তেমনই বুকে জড়িয়ে ভালোবাসেন। তাই এই শক্তির কাছে সকলেই
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১২ বার দেখা
| ২১৪ শব্দ ১টি ছবি
চোখ থাকতে অন্ধ আমি
থাকি বদ্ধ ঘরে,
পায়ে আমার শিকল বাঁধা
হাঁটতে নিষেধ করে!
গলায় আমার সাঁড়াশি আঁটা
শব্দ করা মানা,
হাত দুটোও বাঁধা আমার
বুকে পাথর খানা!
যেন কারাগারে বন্দী আমি
চার দেয়ালের ভেতর,
নাই যে কোনও আইনের শাসন
সেই দুঃখে কাতর!
কিছু না কিছু ভাবনা রোজই শিঁকেয় তুলে রাখি
নাবালক প্রেম এই বয়সেও ঢেঁকুর তুলতে চায়
পাস্তুরিত হতে চায় পাস্তুরিত হয়!
কে জানে না
যে ঢেউ সমুদ্র মন্থন করে সেও তীরে আশ্রয় চায়
যে খেচর সমস্ত আকাশ মাথায় তুলে পুতুল নাচন নাচে
সেও সাজ প্রহরে রোজ ফিরে আপনার নীড়ে!
কেবল মানুষের কোনো
এমন কত অপেক্ষার দিন চলে গেছে
ক্ষয়ে গেছে মধ্যাহ্ন দুপুর
হারিয়ে গেছে অগুনতি হলুদ বিকেলের রোদ রং
মেঘের ডানায় উড়ে গেছে আবির মেশানো গোধূলি সন্ধে
খুন হয়েছে আমার কবিতা লেখার কোটি কোটি রাত;
সাজানো প্রহর ভেঙেছে স্বপ্ন’র কুঁড়িতেই —
আহা! শুধু কবিতা লেখার রক্তাক্ত ডায়েরিটা
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৫ বার দেখা
| ১৬০ শব্দ ১টি ছবি
এই শিশুটির নেই জামা বই
নেই তো খেলার বল,
শুধুই আছে চরম খিদে
গরম চোখের জল।
ওই শিশুটির অথৈ সুখ আর
কতই ব্যাগে বই,
খেলনা ঘরে হরেক তবু
খেলার সময় কই?
দুইটি শিশুই সুইটি ভারি
ভুঁইটি তবু কারা-
চাষ করে আর ঘাস মারা বিষ
দেয় ছড়িয়ে তারা!
একবার একটা নীল ক্যানভাস বানিয়েছিলাম
সাদা মেঘের ভেলা ভাসাবো বলে
রঙের ডানায় স্বপ্ন ছড়াবো বলে হাতে নিয়েছিলাম
রং তুলি-
তারপর
কতো আঁকা আঁকি; পাখি, ফুল, নদী
জোনাকি রাত, নিঝুম প্রকৃতি, ঘন আঁধার বন বীথী
কতো কি আঁকলাম! শুধু আঁকা হয়নি স্বপ্নের সেই ভেলা
তোমাকে আঁকতে গিয়ে চিনেছি রং,
অভিকর্ষহীনতা
চার হাজার সনের এক সকাল।
তুবা নামের এক পুরনো, অখ্যাত কবি’র পুনর্জন্ম
জন্মেই সে পারফিউমের বোতল খোঁজে
বাতাসে যান্ত্রিক গন্ধ—
স্পেসশিপ ধাঁচের বাড়ীতে সে দেখেনি মাতা-পিতার কলহাস্য।
অনেক মানুষের শংকিত মুখ দেখতে দেখতে
সে চলে গেল ধাতুতে পরিনত হওয়া উচ্চচাপযুক্ত হাইড্রোজেন অঞ্চলে
সে ভাবছে নীল গাছগুলো কি কার্বন ডাই অক্সাইড ঝরায়?
ক্লোরোফিল
অনেকদিন থেকেই চাইছি
ভ্রম আর বিভ্রমের মাঝামাঝি কিছু একটা হোক
এই যেমন দেশান্তরী আলোর নাচন হোক
জোনাকির পাখায় ভর করে গোটা ব্রহ্মাণ্ড
পরিভ্রমণ হোক!
সাশ্রয়ী মূল্যে পরিসমাপ্তি হোক সকল দেনা
যেখানে আমি নিজেই নিজেকে চিনি না
সেখানে কীভাবে সম্ভব অন্যজনকে চেনা?
কেবল
মুখ থুবড়ে পড়ে থাক আমার বুক আর মুখ
ওরা