ভাদু গানের আসর আমার গীতিকবিতা (সপ্তম পর্ব)
কথা – আঞ্চলিক সুর – অপ্রচলিত
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
চল ভাদু জল আনত্যা যাব, অজয় লদীর ওই ঘাটে।
মাঠ্যের আল্যে ছাগল চরে ফকির ডাঙার ধানখ্যাতে। ভাদু ধীরে চল,
অজয় লদীতে বহ্যাছ্যা কত্তো জল।
লদীর

আমি লিখে যেন বৃক্ষাকে খুশি করতে পারি তাকে ডেকে এনে পুড়িয়েছি ভালোবাসামাঠের শ্মশানে
ছাইসুর্মা চোখে প’রে লিখেছি পৃষ্ঠা জুড়ে আছাড়িপিছাড়ি এবার আকাশ ভেঙে উঠে যাক কিস্তিমাৎ মৃত্যুর মানে [‘সন্তানপ্রণাম’ বইতে আছে]

অট্টালিকা থেমে আছে, যতিচিহ্নের মতো;
শীত ফেটে নেমে এল অন্য রকম অন্ধকার
ধোঁয়া পালানো ভাপ পিঠায়-জলের অন্তরে
সিম্ফনির একটা ভাগ পেরিয়ে যায় পরস্পর- ইউক্যালিপটাস গাছগুলোর ফাঁকে
কাদিরকোল চাঁদ, পৌষের নবারুণ কুয়াশা
নগরীর নগরে, যে সুন্দর-ক্ষয় হয়ে গলে যাচ্ছে
একটা একটা করে সব যাত্রা, অদূর হয়ে দেখছি তারপর জ্বর

ভালোবাসা মানে, বেঁচে থাকার যেতো আশা।
ভালোবাসা মানে, কেউ সফল, কেউ নিরাশা।
ভালোবাসা মানে, চোখে দেখা ঝাপসা কুয়াশা।
ভালোবাসা মানে, একরকম ভয়ংকর সর্বনাশা। ভালোবাসা মানে, হাসি গানের কতো তামাশা।
ভালোবাসা মানে, আনন্দ উল্লাসের রঙ্গতামাশা।
ভালোবাসা মানে, কাঁদতে হয় দিনরাত হরহামেশা।
ভালোবাসা মানে, পাগলের মতো হয় বেদিশা। ভালোবাসা

শূন্য যখন শূন্য তা’কে ছোঁয়
আকাশ নীলে নীলাম্বরী সাজ
শরৎ সকালে শিউলির সুভাষ খুব
উদাসীন প্রেম কাশফুলের শাড়ি,
বেভুলা বাতাস অাঁচল ধরে টানে
লজ্জা কুসম শূন্যে ভেসে যায়
তাকিয়ে দেখি বসতভিটা হাসে
শরৎ দিনের রক্তক্ষরণ গায়। দক্ষিণ দিকে খোলা বারান্দায়
কিছুটা বাতাস গতরে বুলায় সুখ
পূর্ব দিকে খোলা দরজার চৌকাঠে
শুভ্র